বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শিক্ষা অর্জনের নিমিত্তে সর্বোচ্ছ ১০টা বেত্রাঘাত করা যাবে।যেমন হাদীস শরীফে এসেছে......
ﺃﺑﻲ ﺑﺮﺩﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ ﻻ ﻳﺠﻠﺪ ﻓﻮﻕ ﻋﺸﺮ ﺟﻠﺪﺍﺕ ﺇﻻ ﻓﻲ ﺣﺪ ﻣﻦ ﺣﺪﻭﺩ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﻟﻜﺘﺐ » ﺻﺤﻴﺢ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ » ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﺪﻭﺩ » ﺑﺎﺏ ﻛﻢ ﺍﻟﺘﻌﺰﻳﺮ ﻭﺍﻷﺩﺏ
তরজমা- নবী কারীম সাঃ বলেনঃ-
শিষ্টচার শিক্ষা দেওয়ার জন্য সর্বোচ্ছ দশটা বেত্রাঘাত করা যাবে তবে আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা অতিক্রান্ত হওয়ার হলে এর থেকেও বেশী শাস্তি দেওয়া যাবে।(যেমন ব্যবিচারির শাস্তি ১০০বেত্রাঘাত)
**শিষ্টাচার শিক্ষা দিতে বেত্রাঘাত ব্যতীত অন্যান্য সব রকম চেষ্টাই যখন ব্যর্থ হবে সব রকম চেষ্টাই বিফল যাবে,তখন বেত্রাঘাত করার হুকুম শরীয়ত কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে প্রদান করে।
(১)দশের উর্দে হতে পারবে না।
(২)চেহারায় প্রহার করা যাবে না।
নবীজি সাঃ বলেনঃ-
ﺇﺫﺍ ﺿﺮﺏ ﺃﺣﺪﻛﻢ، ﻓﻠﻴﺠﺘﻨﺐ ﺍﻟﻮﺟﻪ، ﻭﻻ ﻳﻘﻞ ﻗﺒﺢ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺟﻬﻚ " ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ، ﻭﻫﻮ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ ﺑﺄﻟﻔﺎﻅ ﺃﺧﺮﻯ
তরজমা- যখন শরয়ী প্রয়োজনে কেউ প্রহার করবে তখন সে যেন চেহারায় প্রহার করা থেকে বিরত থাকে,এবং সে যেন তাকে (রাগবশত)এ কথা না বলে যে,আল্লাহ তোমার চেহারাকে (সমস্ত বরকত থেকে বঞ্চিত করে)অমঙ্গল করুক।
(৩)বিশেষ এমন কোন স্থানে প্রহার করা যাবে না যেখানে বেশী ব্যথা পাওয়া যায় বা অন্য কোন সমস্যার সম্ভাবনা থাকে,যেমনঃ পেট,লজ্জাস্থান,ইত্যাদি।
(৪)রাগান্বিত অবস্থায় প্রহার করা যাবে না।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আদব শিক্ষা দানের নিমিত্তে সন্তানাদিকে প্রহার করা যাবে।তবে দশের উপরে প্রহার করা যাবে না,এবং গালেও প্রহার করা যাবে না।বেত্রাঘাত করাও যাবে না, হাত দ্বারাও প্রহার করা যাবে না।
জ্বী,ইসলামের ফরয বিধান পালনের জন্য সন্তান কি মা- বাবার অবাধ্য হতে পারবে। এতে মা বাবা কষ্ট পেলেও সন্তানের কোনো গুনাহ হবে না।