ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
কোন স্ত্রীকে স্বামী তালাকের অধিকার দিলে, স্ত্রী যদি বলে কথা বলিও না আমার সাথে।তারপর হঠাৎ তালাকের কথা মনে আসলে সে ভয় পায় এবং মনে মনে না না বলে।স্ত্রীর উক্ত কথা দ্বারা তালাক হবে না।
২।স্বামীর বাড়িতে এখনো স্ত্রীকে নামিয়ে নিয়ে যায়নি।স্বামী যদি বলে এখনো বউ নয় যখন বাড়িতে আসবা তখন বউ হবা, যে এখনো মানুষের মেয়ে।তখন নিয়ে দিব সব। স্বামীকে জিজ্ঞেস করতে হবে, সে কোন নিয়তে বলেছে?
উক্ত কথার ভঙ্গি থেকে বুঝা যাচ্ছে যে, এখানে কিন্তু স্বামীর উদ্দেশ্য তালাক না। তাই তালাক পতিত হবে না।
৩।
"স্বামিকে সময় দিতে না পারায় সে যদি বিরক্ত হয়ে বলে,কেন বিয়ে করছ স্বামীর হক আদায় করতে না পারলে? কথা বলিস না মাথা খারাপ,রাখ। স্ত্রী এখনো বাবার বাড়িতে থাকে। স্বামী যদি বলে তুমাকে নিয়ে আমার আরো চিন্তা করতে হবে।আরো একটু ভাবতে হবে।তুমার মা বাবাও কস্ট পাচ্ছে আর তুমিও।দেখি কি করতে পারি।মানে আমাকে নিয়ে সংসার করবে কিনা নাকি ডিভোর্স দিবে সেটা নিয়ে চিন্তা করবে সেটা বুঝিয়েছে।তারপর আমি বলি যা বলবা ভেবে বলিও।এমন কিছু কথা বললে পরে হয়ত মরে গেলেও আর পাবে না।মেসেজে কথা হচ্ছিল। এরপর স্বামি রাখ তহ বলে আর বলে বিরক্ত লাগতেছে।তারপর গালি দিছে।তারপর ব্লক করে দিছে।এরপর আমিও বলি মেরে ফেল আমাকে তখন সব কিছু থেকে মুক্ত হব।আমাকে তালাকের অধিকার দিলেও আমি তালাকের নিয়তে বলি নি, যত কিছুই হোক আমি চাই না তালাক হোক।কপালে যা আছে তা হবে সেরকম বলেছি মানে আল্লাহ যদি ওর কাছেই সুখ লিখে রাখে তাহলে তাই হবে আর যদি অন্য কোথাও লিখে রাখে তাহলে সেখানে হবে।"
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামীর আর আপনার এসব কথা দ্বারা তালাক হবে না।
৪।কোন স্ত্রী যদি রাগ করে বলে স্বামিকে তুমাকে ছেড়ে দিয়ে আরেকটা করব বিয়ে।আরো বলে যে আমার অতীত জানে আমাকে বিয়ে করবে ভালবাসবে।স্বামী যদি বলে কর গা বা করিও বা যদি বলে কর গা বিয়ে, ২ দিন রাখবে না তুমাকে ইত্যাদি। স্বামী যদি তালাকের নিয়তে না বলে বা অস্বীকার করে তাহলেও তালাক হবে না।