উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আছারী সম্পর্কে অনেক উলামায়ে কেরাম আহলে হক তথা আহলে সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত মনে করেন।
তবে আরো উলামায়ে কেরামগন এর বিপরিত মতও পোষন করেছেন।
,
অধিকাংশদের মতে আশায়েরা মাতুরিদী,আছারী ৩ দলের আকিদাই সঠিক।
আছারী মূলত এই দুই দলের মধ্যেই বিদ্যমান রয়েছে।
তবে কেউ কেউ নাজাতপ্রাপ্ত দল 'আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত' এর মধ্য পৃথক ভাবে আছারিয়্যা এর নামও সংযোজন করেছেন।
"قال بعض العلماء هم - يعني الفرقة الناجية - أهل الحديث يعني الأثرية والأشعرية والماتريدية"
ইবনু শাতী হাম্বলী রাহ বলেন,কেউ কেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত কে তিনভাগে ভাগ করে থাকেন।(১)আশাইরাহ(২)মাতুরিদিয়্যা(৩)আছারিয়া বা আহলে হাদীস।(হামদুস-সিনান-৯৩)
★তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন শুধু মাত্র আশয়ারি,মাতুরিদি এই দুই দলকেই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেন।
তাদের মতে মূলত এই দুই দল উভয়েই আল্লাহর নবী সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরামের আকিদাসমূহ সংকলন করেছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের মাঝে এ দুজনের সংকলন ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করে।
তাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীগণ এ দুইজনের একজনের দিকে নিজেদের আকিদাগত বিষয়ে নিসবত করে থাকেন।
তাদের উভয়ের মাঝে কিছু সংখ্যক মতভেদ রয়েছে। তবে তা বলতে গেলে আক্ষরিক মতভেদ। মূল মতভেদ নয়। আর এসব মতভেদ হয়েছে এমন বিষয়ে, যে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম থেকে সুষ্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায় না।
তারা আছারীদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেননে যেসব কারনে,তারমধ্যে অন্যতম হলো
আছারীগণ বিশ্বাস করে যে, কুরআনের সকল অংশ হল অসৃষ্ট (গাইর মাখলুক)।
আশআরি মাতুরিদিরা মনে করেন যে কুরআন যেটা আল্লাহ তায়ালার কালাম,সেটা মাখলুক নয়,তবে দুনিয়াতে আমরা যেই লিখিত পান্ডুলিপি আকারে কুরআন দেখি,সেটা মাখলুক।
,
আছারীগণ বিশ্বাস করে যে, ইসলামে নির্দেশিত রীতিনীতি ও কর্তব্য পালন করা ও না করার মধ্য দিয়ে ঈমান বৃদ্ধি ও হ্রাস পায়, যেমন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়।
তারা বিশ্বাস করে মানুষের ঈমান তার অন্তরে, মৌখিক স্বীকৃতিতে এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কাজকর্মের মধ্যে নিহিত থাকে।
মাতুরিদিরা মনে করে যে ঈমান বাড়েওনা,কমেওনা
,
আল্লাহ তায়ালার আকার,অবস্থান,তার হাত পা চেহারা ইত্যাদি সংক্রান্ত আকীদার কারনেও তাদেরকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভুক্ত বলে মনে করেনা।
,
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَالِدًا، يَذْكُرُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَطَّ خَطًّا وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَمِينِهِ وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَسَارِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ فِي الْخَطِّ الأَوْسَطِ فَقَالَ " هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ (وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ) .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি একটি সরল রেখা টানলেন এবং তাঁর ডান দিকে দুটি সরল রেখা টানলেন এবং বাম দিকেও দুটি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী রেখার উপর তাঁর হাত রেখে বলেনঃ এটা আল্লাহ্র রাস্তা। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) এবং এ পথই আমার সরল পথ। অতএব তোমরা এ পথেরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরাহ আনআম ৬: ১৫৩)
(ইবনে মাজাহ ১১)
,
আল্লাহ তায়ালার আকার সংক্রান্ত জানুনঃ