ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
সন্তানদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার করা শরীয়ত বহির্ভূত কাজ।
শরীয়ত কর্তৃক গৃহীত কারন ব্যাতিত তাদেরকে ধমকানো,প্রহার কোনোটিই জায়েজ নেই।
,
সন্তানদের সাথে যাচ্ছেতাই ব্যবহার এর কারনে কিয়ামতের ময়দানে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ فَالأَمِيرُ الَّذِي عَلَى النَّاسِ رَاعٍ عَلَيْهِمْ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُمْ وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى بَيْتِ بَعْلِهَا وَوَلَدِهِ وَهِيَ مَسْئُولَةٌ عَنْهُمْ وَالَعَبْدُ رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ " .
আবদুল্লাহ্ ইবন উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! তোমরা সকলে রাখালের ন্যায় দায়িত্বশীল এবং (কিয়ামতের দিন) প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অধীনস্থদের প্রতি দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি আমীর (নেতা) হয়েছে, তাকে তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে যে, (সে তার অধীনস্থদের সাথে) কিরূপ ব্যবহার করেছে। আর প্রত্যেক পুরুষ তার পরিবার-পরিজনদের রক্ষণাবেক্ষণকারী। তাকে তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আর স্ত্রী, তার স্বামীর ঘর-সংসার ও তার সন্তানাদির রক্ষণাবেক্ষণকারিনী, তাকে এসব ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। কাজেই, তোমরা সকলে দায়িত্বশীল রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং তোমাদের সকলকে তোমাদের অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
(আবু দাউদ ২৯১৮)
রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘আল্লাহ যে বান্দাকে কোনো জনসমষ্টির দায়িত্বশীল করেন; কিন্তু সে এমন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে যে, সে তার অধীনস্থদের ব্যাপারে খেয়ানত করেছে; আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ১৪২)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
★যদি মা-বাবা শরিয়তবিরোধী কোনো কাজের জন্য সন্তানকে আদেশ দেয়, তাহলে সন্তানরা তাদের ওই হুকুম অমান্য করে তা থেকে বিরত থাকতে হবে। কেননা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে অন্য কারো হুকুম মান্য করা যাবে না। তবে সে ক্ষেত্রেও তাদের মা-বাবার সঙ্গে অসদাচরণ করা বৈধ নয়।
কোনো মা-বাবা যদি সন্তানের ওপর অত্যাচার করে, তবে তাদের জন্য দোয়া করতে হবে। যখন তাদের মন ভালো থাকে তখন তাদের বোঝানোর চেষ্টা করতে হবে। তবে কোনো অবস্থায়ই খারাপ ব্যবহার করা যাবে না
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উক্ত আচরনের ফলে আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবেননা,ইনশাআল্লাহ।
(০২)
হ্যাঁ একেবারে কথা বন্ধ করে দিলে ৩ দিন হলে গুনাহ হবে।
প্রয়োজনে কম কথা বলবেন।
(০৩)
এতে গুনাহ হবেনা।
(০৪)
না,এতে আপনি গুনাহগার হবেননা।
(০৫)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উক্ত আচরনের ফলে আল্লাহ তায়ালা আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবেননা,ইনশাআল্লাহ।
(০৬)
তায়ালা আপনার উপর অসন্তুষ্ট হবেননা,ইনশাআল্লাহ।
জী,দোয়া করবো,ইনশাআল্লাহ।
আপনিও আল্লাহর কাছে পিতার এহেন ব্যবহার পরিবর্তন হওয়ার দোয়া চাইবেন।