কোনো বিষয় সম্পর্কে শরয়ী বিধান না জানাকে ওযর বিল জাহালত বলে,এটির গ্রহনযোগ্যতা শরীয়তে রয়েছে।
ওযর বিল জাহালত এর দ্বারা শরয়ী শাস্তি ইত্যাদী তার উপর আরোপ করা হয়না।
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী ঐ জাহালত ওযর হতে পারবে,যেক্ষেত্রে সে হুকুম সম্পর্কেই অজ্ঞ।
এই জন্য কেহ যদি ফরজ ওয়াজিব বিধান কে এই জন্য না পড়ে যে সে উক্ত বিধান ফরজ ওয়াজিব হওয়া সম্পর্কে জানতোনা।
অথবা সে কোনো হারাম কাজ এই জন্য করেছে যে সে তাহার হারাম হওয়া সম্পর্কে জানতোনা,তো তার এই অজ্ঞতার শরীয়তে গ্রহনযোগ্যতা আছে।
এর ভিত্তিতে তাকে তাকে শাস্তি দেওয়া হবেনা। সে অজ্ঞতার কারনে মা'যুর।
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
وقوله صلى الله عليه وسلم : ( إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ) رواه ابن ماجه (2043)
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
★কিন্তু যে ব্যাক্তি জানে যে উক্ত কাজ করা হারাম/কুফর/শিরক ,কিন্তু সে তার শাস্তি সম্পর্কে অবগত নয়,এই ভিত্তিতে যদি সে কোনো হারাম কাজ করে,তাহলে এটাকে ওযর হিসেবে ধরা হবেনা।
কেননা সে এই কাজ হারাম জানা সত্ত্বেও করেছে।
যেমন কেহ যেনা করেছে,কিন্তু সে জানেনা যে এটা হারাম কাজ,তাহলে তার এই অজ্ঞতা অযর হিসেবে ধরা হবে।
আর যদি সে জানতো যে এটা হারাম কাজ,কিন্তু দন্ড বিধি সম্পর্কে জানেনা,তাহলে এটা ওযর হিসেবে ধরা হবেনা।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি বিন্দুমাত্র সে কাজ যে কুফরি বা শিরক,এটি না জানে,তাহলে সেই ব্যক্তির শুধু ফরজ জ্ঞান অর্জন না করার গুনাহ হবে।