আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (33 points)
closed by
হুজুর অাপনি কাফের সম্পর্কে একটি বিষয়ের উওরে এইটি লেখেছেন

 https://ifatwa.info/14384/(এই সেই প্রশ্নের লিংক অা শা করি প্রশ্নটি দেখে অামার করা প্রশ্নটির উওর দিবেন

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,    প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ে শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেছেনঃ হাদিস অস্বীকার করা হতে পারে অপব্যাখ্যামূলক কিংবা অবিশ্বাসমূলক। অবিশ্বাসমূলক এভাবে যে, সে ব্যক্তি বলে: আমি জানি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেছেন। কিন্তু আমি সেটাকে অস্বীকার করি ও মানি না। যদি এ ধরণের অস্বীকার হয় তাহলে সে ব্যক্তি কাফের মুরতাদ (ইসলাম ত্যাগকারী); এমন ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে না। , আর যদি তার অস্বীকার করাটা অপব্যাখ্যা নির্ভর হয়; তাহলে দেখতে হবে: যদি (আরবী) ভাষার আলোকে এমন ব্যাখ্যা করার অবকাশ থাকে এবং সে ব্যক্তি শরিয়তের উৎসসমূহ ও মূলভিত্তিগুলোর জ্ঞান রাখেন তাহলে তাকে কাফের গণ্য করা যাবে না; বরং তার অভিমতটি বিদাত হলে তাকে বিদাতীদের মধ্যে গণ্য করা হবে। তার পিছনে নামায পড়া যাবে; যদি না তার পিছনে নামায না পড়ার মধ্যে কোন কল্যাণের দিক থাকে; যেমন সে ব্যক্তি পিছু হটে এসে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় চিন্তা করা; সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামায না পড়া।অাপনি এইটা বলেছেন।
১ এখন যদি অামি হুরমত বিষয়ে তেমন জানি না কিন্তু যতটুকু জানি তার ভিওিতে এই বিষয়টি অামার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে না হয়। অামি যদি এই মাসঅালা না মানি বা অবিশ্বাস করি তাহলে কি অামি কাফের হয়ে যাব?
২হুজুর হুরমত বিযয়ে যে মন্তব্যগুলো দেখেছি তা সব বিভিন্ন গ্রন্থ থেকে দেওয়া কিন্তু অনান্য মাযহাব তে কুরঅান ও সুনৃনাহ এর সরাসরি দলিল উল্লেখ করেছেন তাই যদি অামি সেই হানাফি এর বদলে হুরমত এর বিধানের ক্ষেএে ঔ  মাযহাব এর মন্তব্য মানি তাহলে কি অামি কাফের হয়ে যাব

হুজুর অাশা করি উওর দিয়ে  অামাকে পেরেশানি থেকে মুক্ত  হওয়ার জন্য অাল্লাহর রহমতে সাহায্য করবেন
closed
by (588,060 points)
আপনি এবাইটে দেখে নিবেন, মুফতি ওলিউল্লাহ সাহেব, কোন কোন দিন উত্তর দেন, সেই দিন প্রশ্ন করবেন।উনি আগামি শনিবারে আসবেন।তাই ধর্য্য সহকারে শনিবারের অপেক্ষা করুন।

1 Answer

0 votes
by (564,870 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

أخبرنا أبوحنیفة، عن حماد، عن إبراهیم، قال: إذا قبل الرجل أم أمرأته أو لمسها من شهوةٍ حرمت علیه امرأته، أخرجه محمد في الحجج ورجاله ثقات (إعلاء السنن: ۱۱/۱۳۱)

যার সারমর্ম হলো কেহ যদি তার শাশুড়িকে চুম্বন করে,অথবা উত্তেজনার সাথে স্পর্শ করে,তাহলে স্ত্রী তার উপর চিরজীবনের জন্য হারাম হয়ে যাবে।      
(ই'লাউস সুনান ১১/১৩১)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

عن أبي ہانيء رضي اللّٰہ عنہ قال: قال رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم: من نظر إلی فرج امرأۃٍ لم تحل لہ أمہا ولا ابنتہا۔ (المصنف لابن أبي شیبۃ ۳؍۴۶۹ رقم: ۱۶۲۲۹ بیروت)

সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেন,কেহ যদি কোনো মহিলার লজ্জাস্থানের দিকে দৃষ্টিপাত করে,তাহলে তার মা ও তার মেয়ে তার জন্য কোনো ভাবেই হালাল হবেনা,(তার মা ও তার মেয়েকে কোনো ভাবেই বিবাহ করা তার জন্য জায়েজ হবেনা।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত মাসয়ালার ক্ষেত্রে বিপরিত রকমের দলিল থাকায় বিভিন্ন স্কলারগন বিভিন্ন মত পেশ করেছেন।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

(০২)
এতে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...