আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
85 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকু! আসসালামু আলাইকুম!

আমি একটা ল্যাপটপ কিনার জন্য একটা কোম্পানিকে টাকা দিয়ে রেখেছি। কিন্তু এখনও ল্যাপটপ হাতে আসেনি। টাকা আমার অ্যাকাউন্টে আছে। এদিকে জার্মানিতে পড়াশোনার উদ্দেশ্যে যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ, তো ওখানে তাদের ব্লক এজেন্সিতে আমার লিভিং এক্সপেন্স হিসেবে টাকা জমা দেওয়া আছে। সেটা আমি যাওয়ার পর আমাকে তারা ভেঙে ভেঙে দিবে খরচ করার জন্য।
প্রশ্ন হলো, আমি সাহেবে নিসাব হলে কি এই টাকাগুলো কি হিসাব করতে হবে? জাঝাকাল্লাহু খায়রান!

মুকতাদিরুল ইসলাম যাফির

ঢাকা

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো পাওনা উসূল হওয়ার পর ওই টাকার যাকাত আদায় করা ফরয হয়। তার আগে আদায় করা জরুরি নয়, তবে আদায় করলে যাকাত আদায় হয়ে যাবে।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস ১০৩৪৭, ১০৩৫৬

উপরোক্ত ক্ষেত্রে পাওনা উসূল হতে যদি কয়েক বছর সময় অতিবাহিত হয়ে যায় তাহলে উসুল হওয়ার পর বিগত সকল বছরের যাকাত আদায় করা ফরয হয়। -মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭১১৬,৭১২৯,৭১৩১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস ১০৩৪৬,১০৩৫৬।
,

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
কম্পিউটার ক্রয়ের জন্য আপনি যেই টাকা কোম্পানিকে দিয়ে রেখেছেন,এর উপর যাকাত আসবেনা।
তবে প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে টাকা এখনো আপনার একাউন্টেই আছে।
তার মানে কি এখনো তাহা কোম্পানিকে জমা দেননি?
নাকি কোম্পানি আপনার একাউন্টেই রেখে দিয়েছে,পরে নিবে বলে?
   
যদি কোম্পানিকে জমা দিয়েই থাকেন,তাহলে এর উপর যাকাত আসবেনা।
আর যদি কোম্পানি পরে নিবে বলে আপনার একাউন্টেই রেখে দেয়,তাহলে এটিকেও যাকাতের সম্পদের মধ্যে হিসেব করবেন।

(০২)
এই টাকা তো আপনার হাতে আর নেই।
তাই এখন এটির যাকাত দিতে হবেনা।
হস্তগত হওয়ার পর পূর্বের বছর গুলোরও যাকাত দিতে হবে।     

অর্থাৎ এই টাকা যখন হস্তগত হবে,তখন সেই বছরে আপনার যেসময় যাকাত প্রদান হওয়ার দিন আসবে,সেদিন হিসেব করে এই টাকার পূর্বের বছর গুলোর আড়াই পার্সেন্ট হিসেব করে যাকাত দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...