সূর্য অস্ত যাওয়া মাত্রই ইফতার করা সুন্নত। ইফতারে বিলম্ব করা সুন্নাতের খেলাফ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ سَهْلٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ. (مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মানুষ যতদিন পর্যন্ত তাড়াতাড়ি ইফতার করবে, ততদিন কল্যাণের মধ্যে থাকবে। ’
(বুখারী ১৯৫৭, মুসলিম ১০৯৮, তিরমিযী ৬৯৯, মুয়াত্ত্বা মালিক ১০১১, মুসান্নাফ ‘আবদুর রাযযাক ৭৫৯২, ইবনু মাজাহ ১৬৯৭, আহমাদ ২২৮০৪, দারিমী ১৭৪১, ইবনু খুযায়মাহ্ ২০৫৯, মু‘জামুল কাবীর লিত্ব ত্ববারানী ৫৭১৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৮১১৮, শু‘আবূল ঈমান ৩৬৩০, ইবনু হিববান ৩৫০২, ইরওয়া ৯১৭, সহীহাহ্ ২০৮১, সহীহ আত্ তারগীব ১০৭৩, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৯৪।)
অন্য বর্ণনায় রয়েছে,
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: لَا يَزَالُ الدِّيْنُ ظَاهِرًا مَا عَجَّلَ النَّاسُ الْفِطْرَ لِأَنَّ الْيَهُوْدَ وَالنَّصَارٰى يُؤَخِّرُوْنَ. رَوَاهُ أَبُوْ دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেন ‘যতদিন মানুষ তাড়াতাড়ি ইফতার করবে ততদিন দ্বীন ইসলাম বিজয়ী থাকবে।
কেননা, ইহুদি ও নাসারাদের অভ্যাস হলো দেরিতে ইফতার করা। ’
(আবূ দাঊদ ২৩৫৩, ইবনু মাজাহ ১৬৯৮, ইবনু আবী শায়বাহ্ ৮৯৪৪, ইবনু খুযায়মাহ্ ২০৬০, ইবনু হিব্বান ৩৫০৩, শু‘আবূল ঈমান ৩৯১৬, আহমাদ ৯৮১০, মুসতাদারাক লিল হাকিম ১৫৭৩, সহীহ আত্ তারগীব ১০৭৫, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৮৯।)
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ قُرَّةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَحَبُّ عِبَادِي إِلَىَّ أَعْجَلُهُمْ فِطْرًا " .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ আমার বান্দাদের মাঝে যারা তাড়াতাড়ি ইফতার করে তারাই আমার বেশী প্রিয়।
(তিরমিজি ৭০০)
ইফতারীর সময় হওয়া মাত্র তাহা খেয়ে নিবেন,আর পরবর্তীতে সময় সুযোগ মোতাবেক খাবার খেয়ে নিবেন।