জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত বিবাহ শুদ্ধ হয়নি।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যে অন্যত্রে যে বিবাহ হয়েছে,তাহা পরিপূর্ণ শুদ্ধ হয়েছে।
আগের বিবাহ যেহেতু শুদ্ধই হয়নি,তাই সেখানে তালাকের কোনো প্রশ্নই উঠেনা, প্রশ্নে উল্লেখিত তালাক অনার্থক বলে গন্য হবে।
পূর্বে সেই বিবাহের পর তাদের মাঝে যাবতীয় যাহা কিছু হয়েছে,সবই হারাম হয়েছে।
তবে প্রশ্নে উল্লেখ উল্লেখ রয়েছে যে তাদের মাঝে "কোনো শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন হয় নি"
তাই তাদের যেনার গুনাহ হবেনা।
তবে ফোনে কথাবার্তা ইত্যাদির গুনাহ হবে।
এই জন্য তাদের খালেস দিলে মহান আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে।
তওবার মাধ্যমে সকল গোনাহই ক্ষমা হয়ে যায়।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَأَذَانٌ مِّنَ اللَّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الْأَكْبَرِ أَنَّ اللَّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ ۙ وَرَسُولُهُ ۚ فَإِن تُبْتُمْ فَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَإِن تَوَلَّيْتُمْ فَاعْلَمُوا أَنَّكُمْ غَيْرُ مُعْجِزِي اللَّهِ ۗ وَبَشِّرِ الَّذِينَ كَفَرُوا بِعَذَابٍ أَلِيمٍ [٩:٣]
আর মহান হজ্বের দিনে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে লোকদের প্রতি ঘোষণা করে দেয়া হচ্ছে যে, আল্লাহ মুশরেকদের থেকে দায়িত্ব মুক্ত এবং তাঁর রসূলও। অবশ্য যদি তোমরা তওবা কর, তবে তা, তোমাদের জন্যেও কল্যাণকর,আর যদি মুখ ফেরাও,তবে জেনে রেখো, আল্লাহকে তোমরা পরাভূত করতে পারবে না। আর কাফেরদেরকে মর্মান্তিক শাস্তির সুসংবাদ দাও। [সূরা তওবা-৩]
عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «التَّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ، كَمَنْ لَا ذَنْبَ لَهُ»
হযরত ইবাদা বিন আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, গোনাহ থেকে তওবাকারী গোনাহ করে নাই ব্যক্তির মত হয়ে যায়। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৪২৫০]
তাওবা তিনটি জিনিসের সমন্বয়-
এক. পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হওয়া। আর অপরের হক নষ্ট করলে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া বা মাফ চেয়ে নেওয়া।
দুই. ভবিষ্যতে গোনাহ না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা।
তিন. আল্লাহ্ তাআলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করা।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাদের পূর্বের গোনাহের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে,ভবিষ্যতে আর এহেন গুনাহ না করার উপর আল্লাহর কাছে ওয়াদাবদ্ধ হতে হবে।
আরো জানুনঃ