জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আমাদের দেশে তৈরীরকৃত শ্যাম্পুতে হারাম উপাদান মিশ্রণ নেই বলেই জানি।
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত শ্যাম্পুটি মেইড ইন কানাডা।
এখানে এলকোহলের মিশ্রণ থাকলেও সেটি আঙ্গুর/খেজুরের তৈরী এলকোহল না হওয়ায় তাহা ব্যবহার করতে সমস্যা নেই।
তবে এখানে শুকরের চর্বি বা অন্য কোনো হারাম উপাদান আছে কিনা,সেই সম্পর্কে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
এর জন্য এ সম্পর্কে বিজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করুন।
★সুতরাং যেহেতু হারামের মিশ্রণ নিয়ে সন্দেহ রয়েছে,তাই বিজ্ঞদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত না নেয়ার আগেই ব্যবহার না করার পরামর্শ থাকবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم الْحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشُّبْهَاتِ استبرَأَ لدِينهِ وعِرْضِهِ ومَنْ وقَعَ فِي الشبُّهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ أَلَا وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُله أَلا وَهِيَ الْقَلْبُ.
নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘হালাল এবং হারাম সুস্পষ্ট, আর ঊভয়ের মধ্যে অনেক সন্দেহজনক বিষয় বা বস্তু আছে।(যেগুলি হালালের অন্তর্ভুক্ত না হারামের অন্তর্ভুক্ত,) সে সম্পর্কে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এরূপ ক্ষেত্রে যেই ব্যক্তি সন্দেহের বস্তুকে পরিহার করে চলবে, তার দ্বীন এবং আবরু-ইজ্জত, মান-সম্মান পাক-পবিত্র থাকবে। পক্ষান্তরে যেই ব্যক্তি সন্দেহের কাজে লিপ্ত হবে, সে অচিরেই হারামেও লিপ্ত হয়ে পড়বে। (ফলে তার দ্বীন এবং মান-সম্মান কলুষিত হবে।) যেমন যেই রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমার ধারে চরাবে, খুব সম্ভব তার পশু নিষিদ্ধ এলাকার ভিতরেও মুখ ঢুকিয়ে দিবে। তোমরা ম্মরণ রেখো প্রত্যেক বাদশাই নিজ পশুপালের চারণভুমি (নিষিদ্ধ এলাকা) বানিয়ে রাখেন। তদ্রূপ (সকল বাদশাহর বাদশাহ) আল্লাহ তা’আলার চারণভূমি তাঁর হারাম বস্তুসমূহকে নির্ধারিত করে রেখেছেন। ‘মনে রেখো মানুষের দেহের ভিতরে একটি গোশতের টুকরা রয়েছে, যা সঠিক থাকলে সমস্ত দেহই সঠিক থাকে। আর সেই অংশের বিকৃতি ঘটলে সম্পূর্ণ দেহেরই বিকৃতি ঘটে। সেই গোশতের টুকরাটি হল অন্তর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২)।
(০২)
শামুক খাওয়া যেহেতু নাজায়েজ, সুতরাং তার থেকে এভাবে আঠালো পদার্থ বের করে প্রশ্নে উল্লেখিত প্রডাক্টে ব্যবহার করাও নাজায়েজ হবে।
,
হ্যাঁ যদি তাহা শরীর, ত্বকের জন্য উপকারী হয়,আর অন্য কোনো হালাল প্রডাক্ট যদি পাওয়া না যায়,তাহলে চিকিৎসা হিসেবে এটির ব্যবহারের অনুমতি দেয়া যায়।