আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
163 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (7 points)
edited by

নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক কাউকে ঋণ দিয়েছে। 
১। হাতে থাকা বাকি সম্পদ নিসাব পরিমাণের কম হলে কি যাকাত দিতে হবে?
২। হাতে থাকা বাকি সম্পদ নিসাব পরিমাণের বেশী হলে কি যাকাত দিতে হবে?

 

'মাসূরা' অর্থ কি? মানে, দোয়া মাসূরার স্থলে কি

১। শুধু কুরআনের-হাদিসের দুআ নাকি বাংলা দুআও করা যাবে?

২। সুস্থতা চেয়ে,  জ্ঞান চেয়ে, ধৈর্য চেয়ে, অলসতা থেকে আশ্রয় চেয়ে মানে দুনিয়াবি চাওয়া নয় এ ধরনের যে হাদিসের দুআ আছে, সেসব করা যাবে?

৩। দুনিয়াবি কিছু চেয়ে হাদিস বা কুরআনের দুয়া করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1483 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
(১)دين قوي (শক্তিশালী ঋণ) এটা দ্বারা সেই টাকা বা মাল উদ্দেশ্য যা কাউকে ধার দেয়া হয়েছিলো,বা ব্যবসায়িক পণ্যর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো।কিংবা এমন কোনো গৃহপালিত পশুর বিনিময়ে কারো উপর ওয়াজিব ছিলো যে প্রাণীর উপর যাকাত ওয়াজিব ছিলো।এমন দাইনে চল্লিশ দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে।(যখন থেকে পাওনা ছিলো তখন থেকে এক বৎসর পূর্ণ হওয়ার পর যাকাত ওয়াজিব হবে তথা হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের যাকাত তখন আদায় করতে হবে।

(২)دين متوسط (মধ্যবর্তী ঋণ) ব্যবসায়িক পণ্য ব্যতীত অন্য কোনো কিছুর বিনিময়ে কারো উপর কোনো পাওন থাকলে, সে মালে যাকাত সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা রাহ থেকে দু'টি বর্ণনা পাওয়া যায়।
(ক) শক্তিশালী দাইনের মত সেই মালে যাকাত ওয়াজিব হবে।তবে চল্লিশ নয় বরং দুইশত দিরহাম পরিমাণ উসূল হওয়ার পর অতীতের সমস্ত বৎসরের যাকাত ওয়াজিব হবে।
(খ)পরবর্তী দুর্বল দাইনের মত অতীতের বৎসর সমূহের যাকাত ওয়াজিব হবে না।বরং যখন দুইশত দিরহাম পরিমাণ উসূল হবে, এরপর থেকে সেই মালে এক বৎসর অতিবাহিত হওয়ার পরেই যাকাত ওয়াজিব হবে।এবং এটাই গ্রহণযোগ্য মত।

(৩)دين ضعيف (দুর্বল ঋণ) ঐ মাল যা কোনো মালের বিনিময় হিসেবে ওয়াজিব হয়নি।যেমন মহরের টাকা।এই মাল হস্তগত হওয়ার পূর্বের বৎসর সমূহের কোনো যাকাত দিতে হবে না।(আহসানুল ফাতাওয়া-৪/২৭১)(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক যদি কাউকে ঋণ দিয়ে থাকেন,ঋণ দেয়ার পর হাতে থাকা বাকি সম্পদ নিসাব পরিমাণের কম হলে, উনাকে আর যাকাত দিতে হবে না। তবে যখনই উক্ত ঋণ উসূল হবে, তখনই উনাকে সবগুলো মালের যাকাত দিতে হবে।

২। হাতে থাকা বাকি সম্পদ নিসাব পরিমাণের বেশী হলে, এই হাতে থাকা সম্পত্তির তৎক্ষণাৎ যাকাত দিতে হবে। অার ঋণ উসূল হওয়ার পর উক্ত টাকার যাকাত দিতে হবে।

 
(৩)
মাসূরা অর্থ হল, ঐ সব দু'আ যা কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। এগুলো ঐ সব দু'আ-ই যেগুলো কুরআন-হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে।

সুস্থতা চেয়ে,  জ্ঞান চেয়ে, ধৈর্য চেয়ে, অলসতা থেকে আশ্রয় চেয়ে মানে দুনিয়াবি চাওয়া নয় এ ধরনের যে হাদিসের দুআ আছে, সেসব করা যাবে ।

দুনিয়াবি কিছু চেয়ে হাদিস বা কুরআনের দুয়া করা যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...