ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একজন মানুষ দৈনিক যত টাকাই উপার্জন করুক না কেন বৎসর শেষে যদি যাকাতের নিসাব পরিমান সম্পদ তার নিকট না থাকে তাহলে তার উপর জাকাত ফরয হবে না।
عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «لَا زَكَاةَ فِي مَالٍ حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الْحَوْلُ»
হযরত আয়েশা রা থেকে বর্ণিতঃনবী কারীম সাঃ বলেনঃ-সম্পত্তিতে কোনো যাকাত নেই যতক্ষণ না এক বৎসর পূর্ণ হবে।(সুনানে ইবনে মাজা-১৭৯২)
عَنْ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ اسْتَفَادَ مَالًا فَلَا زَكَاةَ عَلَيْهِ، حَتَّى يَحُولَ عَلَيْهِ الحَوْلُ عِنْدَ رَبِّهِ»
হযরত ইবনে উমর রাঃ থেকে বর্ণিত নবী কারীম সাঃ বলেনঃ- বৎসরের মধ্যখানে অর্জিত সম্পদে জাকাত আসবেনা যতক্ষণ না মালিকের পূর্ণ সম্পত্তির একবৎসর পূর্ণ হবে।(জামে তিরমিযি-৬৩১)
জাকাতের নিসাবঃ-
সোনা হলে-সাড়ে সাত (৭.৫)ভড়ি
রোপা হলে-সাড়ে বায়ান্ন(৫২.৫)ভড়ি
এবং শুধু টাকা হলে রোপার নেসাবে বা হিসাবে যাকাত আসবে।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://muftiemdadhaque.blogspot.com/2021/04/blog-post.html
আল্লাহ-ই ভালো জানেন। আরো জানুন--https://www.ifatwa.info/638
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
আপনাদের মাসিক আয় যতই হোক না কেন? যদি ৫২ হাজার টাকা এক বৎসর আপনাদের নিকট না থাকে, তাহলে যাকাত আসবে না। আর থাকলে আসবে।
(২)
যদি এই স্বর্ণ আপনার মালিকায় হয়, এবং এই স্বর্ণ ব্যতিত আপনার আর কোনো ইনকাম না থাকে, তাহলে আপনার উপর যাকাত ফরয হবে না।
(৩)
দুজনের আলাদা হিসেবে হবে। আপনার নেসাব পূর্ণ হলে,আপনি যাকাত দিবেন।আপনার আম্মুর নেসাব পূর্ণ না হলে উনি দিবেন না।তবে দুই বা ততোধিক ব্যক্তির স্বর্ণকে একত্রিত করে হিসেব করা যাবে না।
(৪)
আপনার উপর ফরয হলে আপনার পাওয়া হাদিয়াকৃত টাকা থেকে যাকাত দিবেন।এবং আপনার আম্মু উনারটা দিবেন।
(৫)
কারো কাছ থেকে হাওলাত নিয়ে বা ঋণ করে অথবা কোনো কিছু কিংবা স্বর্ণকে বিক্রি করে হলেও যাকাত দিতে হবে। যদি যাকাত কারো উপর ফরয হয়।
(৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/699
(৭)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1811