এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ যাকাতের টাকা নেওয়া আমার জন্য ঠিক হবে কি না? আর ঠিক না হলে পূর্বে যে নিয়েছি তারজন্য কি করণীয়?

Question

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ
একজন বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন
একজন ছেলে, তার বাবা মারা গেছে। তো বাবার রেখে যাওয়া টাকা তার মা ব্যাংকে রেখেছেন এবং ওনার গহনাও আছে।আলহামদুলিল্লাহ উনি এসবের যাকাত দেন।

এখন কথা হচ্ছে ছেলেটা মুকাল্লাফ। সে ছাত্র। তার পড়াশোনার খরচের জন্য তার আপন মামারা তাকে টাকা দেয়।কিন্তু সেটা তাদের যাকাতের টাকা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এ যাকাতের টাকা তার গ্রহণ করা উচিত কিনা আর উচিত না হলে পূর্বের টাকার জন্য কি করণীয়!

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/699 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।
(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বাবার রেখে যাওয়া টাকা, যা থেকে ছেলে যে অংশ পাবে, সেই অংশ যদি ৫২হাজারের কম হয়, তাহলে উক্ত ছেলে যাকাত খেতে পারবে।আর উক্ত টাকা যদি ৫২ হাজারের বেশী হয়, তাহলে যাকাত খেতে পারবে না।