আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
642 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (51 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।শায়েখ কোন স্ত্রীকে তার স্বামী তালাকের অধিকার  দিলে স্ত্রী যদি রাগ করে বলে "আমি তুমার বউ নই,একদম কথা বলবা না বা বউ ডাকবা না"। বউ যদি নিজের দিকে  ইন্গিত না করে এসব বলে তাহলে কি তালাক হবে?আর স্বামী যদি বলে ঠিক আছে তাহলে?  আসলে আমি জানার জন্য প্রশ্নটা করেছি।

২।কোন স্ত্রী যাকে  স্বামী তালাকের অধিকার  দিয়েছে।সে যদি রাগ করে স্বামীকে bye, কথা বলবে না একদম, মেসেজ দিবা নাএসব বলে তাহলে কি তালাক হবে?কথা গুলো মেসেজে বা মুখে বললে কি সমস্যা হবে?

৩।কোন স্ত্রী যদি রাগ করে স্বামীকে বলে এবার প্রেম করব অন্য জনের সাথে,বিয়ে করব ইত্যাদি ইত্যাদি। স্বামীও যদি বলে কর গা,আমি তাই আছি যে কেউ থাকবে না।এসব কথা  যদি স্বামি তালাকের নিয়তে না বলে তাহলে কি তালাক হবে? আর স্ত্রীও যদি নিজের দিকে ইন্গিত না করে বলে তাহলে কি তালাক হবে?

৪।আমি ৩ মাস আগে শপথ করে বলেছিলাম আমার বোরকা বোনকে পড়তে দিব না।অনেক রেগে গিয়ে বলেছিলাম।ওর উপর প্রচন্ড রেগে ছিলাম।আর কি কি বলেছি আমার মনে নেই।আমার খুব ভয় হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছ কোন এরকম বলেছি কিনা শপথ করে " পড়তে দিলে মুসলমান থাকব না"।জানি না আমি বলেছি কিনা।বোনকেও জিগ্যেস করেছি ও বলেছে ওর মনে নেই আমি কি কি বলেছিলাম।আম্মুর বোরকা আমাকে পড়তে দিয়েছিল।পুরাতন হয়ে গেছে আমি পড়ি না। বোন পড়তেছে।আমার শপথের কথা মনে ছিল না।হঠাৎ মনে পড়ায় আমি ওকে বারন করেছি না পড়ার জন্য।বলেছি দরকার পরলে আমি কিনে দিব তবু আমার বোরকা পরবি না।আমার সব জামা পরলেও আমার কোন বোরকা পরবি না।আমি বার বার বারন করার পর ও বোন আমার বোরকা মানে মা যা  দিছে আমাকে বোরকা সেইগুলো পরে যায়।এতে কি আমার শপথ ভেন্গে যাবে?শায়েখ  আমার ভয়  হচ্ছে আমি কি মুসলিম থাকব না?আমি বিবাহিত।আর এই প্রশ্নটা করায় আমার ঈমানের কি কোন ক্ষতি হবে শায়েখ?

৫।কোন স্ত্রীকে যদি তার স্বামী তুই তাই করে বলে।স্ত্রীও যদি রাগ করে বলে এমন স্বামীর সাথে থাকব না বা চাই না যে কোন ধরনের সম্মান করতে পারে না,চলে যাব।স্বামীও যদি বলে থাকিস না,যা গা।এসব কথায়,স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে কি তালাক হবে?

৬।কেউ নামাজরত অবস্হায় মনে মনে আল্লাহর সাথে কথা বললে মানে কান্নাকরে মনে মনে বুঝালে সেখানে মনে মনে তালাকের কথা চিন্তায় আসলে বা মনে মনে বললে কি তালাক হয়?

৭।কোন মেয়ে যাকে স্বামি তালাকের অধিকার দিছে।সে যদি বলে আমাকে রাগাই ও না।রাগলে কিন্তুু দুনিয়া সহ  উল্টে যাবে মানে খারাপ কিছু হবে বা করবে সেটা বুঝাচ্ছে আর কি।স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কি শর্ত যুক্ত তালাক বুঝাবে?আর পরে এমনিতে স্বামীর ওপর রাগ উঠলেও কি তালাক হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1049 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.
রাগের অবস্থাঃ-
রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।
তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।
যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী))(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)

'গার্জিয়ানকে ডাকো, তোর আর সাথে সংসার করবো না'
এরকম কথাবার্তা কেনায়া তালাকের অন্তর্ভুক্ত। সুতরা এমন কথা স্বামী তালাকের নিয়তে বললে তালাকে বায়েন বায়েন পতিত হবে।এক তালাকের নিয়ত থাকলে এক তালাক,আর তিন তালাকের নিয়ত থাকলে তিন তালাক পতিত হবে।আর ভয়প্রদর্শনের নিয়তে বললে অবশ্যই তালাক পতিত হবে না(কিতাবুন-নাওয়াযিল-৯/৪৫১)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেভাবে স্বামী কর্তৃক তালাকে জন্য কিছু শর্ত  রয়েছে,  অর্থাৎ কেনায়া তালাক নিয়ত ব্যতিত পতিত হয়না।  ঠিক সেইভাবে মহিলা কর্তৃক তালাকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সুতরাং উপরে সকল সূরতেই তালাকের নিয়ত ব্যতিত তালাক পতিত হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...