আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
81 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।আমার 18 তারিখ সকালে হায়েজ শুরু হয়েছে।  আমার হায়েজ  শুরু হওয়ার প্রথম পাঁচ দিন কোন ব্লিডিং দেখা যায় না।বাট  খয়রি খয়রি রঙ দেখা যায়। এবং এটা প্রথম পাঁচ দিন চলতে থাকে।  পাঁচ দিনের পর থেকে একটানা 12 দিন একটানা ব্লিডিং হয় । এরপরে সেরে যায়। এরকম সমস্যা আমার কয়েক মাস ধরে দেখা দিচ্ছে ।
এখন এ অবস্থায় আমার নামাজ রোজা ছেড়ে দেওয়া বা রাখার মাসয়ালা  কী?,,,,,,,,,,,,


আমার আম্মু তাহাজ্জুদ পড়া পছন্দ করেনা।  কিন্তু আমি তাহাজ্জুদ পড়তে চাই এ অবস্থায় আমি কি তাহাজ্জুদ পড়তে পারব? ?  (দুনিয়াবী পড়ালেখার ক্ষতি হবে তাই জন্য আম্মু আমায় নিষেধ করে  তবে সরাসরি নয়। আম্মু মনে করে এখন Student এখন আমাদের তাহাজ্জুদ পড়ার বয়স না,,) এখন আমি কি করব? আর আম্মু কে বোঝানো ও আমার পক্ষে Possible নয়।

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন। এ ১০দিনের ভিতর লাল,হ লুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। কারো যদি নিয়ম থাকে যে, মাসে চার বা পাঁচ দিন হায়েয আসে। এই চার বা পাঁচ দিন অতিবাহিত হয়ে যে নামাযের ওয়াক্তে রক্ত বন্ধ হবে, সে নামাযের আখের ওয়াক্তে গোসল করে উক্ত নামায পড়বে। অতঃপর আবার হায়েয দেখা দিলে নামায ছেড়ে দিবে। (আহসানুল ফাতাওয়া;২/৬৮)

 

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন। (মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

 

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً

মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।

(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭, কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮, কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)

,

আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/78

 

 সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ১০ দিন। এ ১০দিনের ভিতর লাল,হ লুদ, সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে। যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ১৮ তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন হায়েজ হিসেবে ধরে সালাত, সওম অফ করে দিবেন।  অবশ্য ১০ দিন পূর্ণ হওয়ার পরেও যদি ব্লাড আসে তাহলে সেটাকে ইস্তেহাযাহ এর ব্লাড ধরে সালাত, সওম আদায় করতে থাকবেন।

 

২. তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া সুন্নাত। তাই পড়লে অনেক অনেক সওয়াব আছে, না পড়লে কোনো গোনাহ নেই। হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে অসুস্থ কিংবা শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভবনা না থাকলে পিতা মাতা নিষেধ করার পরও তাহাজ্জুদ পড়তে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আরেকটা কাজ করতে পারেন। তা হলো যে, ফজরের নামাজের জন্য এমনি উঠতেই হয়। তাই তাহাজ্জুদের শেষ সময়ে উঠে তাহাজ্জুদ পড়তে পারেন। তাহাজ্জুদ নামাজ সম্পর্কে আরো জানুন- https://ifatwa.info/16123/?show=16123#q16123


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 251 views
...