ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে
এসেছে-
قَالَ يَغْتَسِلُ .وَعَنِ الرَّجُلِ يَرَى
أَنَّهُ قَدِ احْتَلَمَ وَلَمْ يَجِدْ بَلَلاً قَالَ لاَ غُسْلَ عَلَيْهِ
قَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ تَرَى
ذَلِكَ غُسْلٌ قَالَ" نَعَمْ إِنَّ النِّسَاءَ شَقَائِقُ الرِّجَالِ
‘তিনি বললেন, সে গোসল করবে। অপর এক ব্যক্তি
সম্পর্কে প্রশ্ন করা হল যে, তার স্বপ্নদোষ হয়েছে কিন্তু বীর্যপাতের কোন আলামাত দেখতে পাচ্ছে
না। তিনি বললেন, “তাকে গোসল করতে হবে না। উম্মু সালামা (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কোন স্ত্রীলোক যদি এমনটি দেখতে পায় (স্বপ্নদোষ হয়) তবে তাকে
কি গোসল করতে হবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, স্ত্রীলোকেরা পুরুষদেরই সদৃশ। তিরমিযী-আবু দাউদ ২৩৪
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তা যদি
মযি (বীর্যপাত না হয়) হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না এবং গোসলও ফরজ হবে না।
তবে তা বের হওয়ার কারণে ওযু ভেঙ্গে যাবে ।
২. মহিলাদেরও বীর্যপাত হয়। আর তা বুঝার উপায় হলো বীর্যপাতের পরে আর উত্তেজনা থাকে না এবং মনের মধ্যে আলাদা একটা
শান্তি অনুভূতি হয়।
৩. সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
যদি বীর্যপাত হয়ে থাকে তাহলে রোজাও ভঙ্গ হবে। আবার
গোসলও ফরজ হবে।