বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/14185 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
«وَعَوَارِضُ الصَّوْمِ الَّتِي قَدْ يُغْتَفَرْ ... لِلْمَرْءِ فِيهَا الْفِطْرُ تِسْعٌ تُسْتَطَرْ
حَبَلٌ وَإِرْضَاعٌ وَإِكْرَاهُ سَفَرْ ... مَرَضٌ جِهَادٌ جُوعُهُ عَطَشٌ كِبَرْ» - «حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» 2/ 421)
নয়টি কারণে রোযা না রাখার অুনমোদন রয়েছে, গর্ভ,দুগ্ধপান,জোড়জবরদস্তী,সফর,অসুস্থতা,জিহাদ,অনাহার,পিপাসা,বৃদ্ধ( রদ্দুল মুহাতর-২/৪২১)
ডায়াবেটিস:
নিয়ন্ত্রিত ও অনিয়ন্ত্রিত- উভয়েই রমজানের কয়েক মাস আগে সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধের ডোজ ও সময়সূচি ঠিক করিয়ে নেবেন। রমজানের আগে কয়েকদিন একটানা সিয়াম রেখে দেখে নিবেন সিয়াম রাখার কারণে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রায় উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা।
১। সাধারণত একবেলা নেয়ার ইনসুলিন ইফতারের আগে নিয়ে ইফতার করতে হবে।দুইবেলা নেয়ার ইনসুলিনে, সকালের ডোজটা ইফতারে পানি খেয়ে তারপর ডোজ নিয়ে সাথে সাথেই ইফতার করতে হবে, এবং রাতের ডোজটা ৩০-৫০% কমিয়ে সাহরীর আগে নিতে হবে। তিন বেলা নেয়ার ইনসুলিনে, সকালের ডোজটা একইভাবে ইফতারের আগে, দুপুরের ডোজটা রাতের খাবারের আগে এবং রাতের ডোজটা অর্ধেক কমিয়ে সাহরীর আগে নিতে হবে। রাতে নেয়ার লং একটিং ইনসুলিন আগের মত একই সময়েই নেয়া যাবে। এভাবে ডোজ পরিবর্তন করার পর ইফতারের আগে, পরে, সাহরীর পরে, বিকেলে এবং বিভিন্ন সময় গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে গেলে ইনসুলিনের পরিমানটাকেও ২ বা ৪ পর্যন্ত বাড়িয়ে নিতে হবে। আর দিনের বেলা পানির অভাবে ডিহাইড্রেশন হয়ে প্রেশার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, রাতে অনেক বেশি করে পানি খেতে হবে। (ডক্টর ফিরোজ আমীন, এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট, এসোসিয়েট প্রফেসর, বারডেম)
২। ইনসুলিন-নির্ভর ডায়াবেটিক/ টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিক রোগীর যদি প্রস্রাবে এসিটোন যাওয়ার প্রবণতা থাকে তাদের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত রোজা রাখা উচিত হবে না। যাদের দিনে ৪ বেলা ব্যাজাল ইনসুলিন নেয়া লাগে, তাদের জন্য সিয়াম না রাখার রুখসত থাকবে। তবে সিয়াম রাখতে চাইলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ডোজ পরিবর্তন করে নিতে হবে।