আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ

১/একটা হাদিসে আছে,অতিরিক্ত হাসাহাসি করলে অন্তর কঠিন হয়ে যায়।

এখন আমি জানতে চাইছি,ইসলামে অতিরিক্ত হাসাহাসি বলতে কি বুঝায়?

২/কোনো হাদিস প্রচারের জন্য কি সেই হাদিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে??

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঠাট্টা ও কৌতুক বেশি পরিমাণে না করা : কিছু মানুষ অতিরিক্ত ঠাট্টা ও কৌতুক করে। এর ফলে সে মানুষের নিকট মূল্যহীন হয়ে পড়ে। অথচ এটি একজন মু’মিনের বৈশিষ্ট্য নয়। আত্মার প্রশান্তির জন্য ও সুস্থ বিনোদনের জন্য এর অনুমোদন আছে। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
 "اتقوا المزاح، فإنه حمقة تورث الضعينة"
 ‘তোমরা ঠাট্টা ও কৌতুক থেকে সাবধান থাক, কেননা তা হলো নির্বুদ্ধিতা, যা বিদ্বেষ ও শত্রুতা ছড়িয়ে দেয়।

মানুষের পরিমাপ জানা : কতক মানুষ বাছ-বিচার না করেই সবার সাথে ঠাট্টা ও কৌতুক করে। অথচ জ্ঞানী ব্যক্তির (‘আলিমের) হক আছে, বড় মানুষের হক আছে, মুরুববী মানুষেরও হক আছে। এজন্য মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আগে জানা উচিত। বোকা, নির্বোধ ও পাগলের সাথে ঠাট্টা করা উচিত নয়। অনুরূপভাবে অপরিচিত ব্যক্তির সাথেও। এ বিষয়ে ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
"اتقوا المزاح، فإنه يذهب المروءة" ‘‘
তোমরা ঠাট্টা ও কৌতুক থেকে সাবধান থাক, কেননা তা ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যায়।’’
সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস বলেন,
"إقتصر فى مزاحك، فإن الإفراط فيه يذهب البهاء، ويجرىّ عليك السفهاء"
‘তুমি ঠাট্টা ও কৌতুক কম কর, কেননা তা বেশি করা সৌন্দর্য ও জ্যোতিকে নিয়ে যায়। আর তোমাকে নির্বুদ্ধিতার উপর ছেড়ে যায়।’

 ঠাট্টা ও কৌতুকের পরিমাণ তরকারীতে লবণের পরিমাণের মত হবে : এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
 لا تكثر الضحك فإن كثرة الضحك تميت القلب 
‘তোমরা বেশি বেশি হাসিও না, কারণ অতিরিক্ত হাসি অন্তরকে মেরে ফেলে।’ (সহীহুল জামি‘ ৭৪৩৫)

 ঠাট্টা ও কৌতুকের মাঝে গীবত না থাকা : এটা একটা অপবিত্র রোগ। কিছু মানুষ এটা ঠাট্টা-বিদ্রূপের ছলে করে বসে। তবুও এটা গীবত হবে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
 ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهٗ 
‘তোমার ভাইয়ের এমন বিষয় উল্লেখ করা যা সে অপছন্দ করে।’ (মুসলিম হাঃ ৭০-[২৫৮৯])

(বিস্তারিত দেখুন : ‘আবদুল মালিক আল কাসিম-এর ‘‘মা হিয়া শুরুত্বুল মিযাহিশ্ শার‘ঈ’’ নামক প্রবন্ধটি, অনলাইন থেকে সংগৃহীত, সম্পাদক)

(২)
জ্বী, সেই হাদীসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 110 views
0 votes
1 answer 249 views
...