ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
ঠাট্টা ও কৌতুক বেশি পরিমাণে না করা : কিছু মানুষ অতিরিক্ত ঠাট্টা ও কৌতুক করে। এর ফলে সে মানুষের নিকট মূল্যহীন হয়ে পড়ে। অথচ এটি একজন মু’মিনের বৈশিষ্ট্য নয়। আত্মার প্রশান্তির জন্য ও সুস্থ বিনোদনের জন্য এর অনুমোদন আছে। ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
"اتقوا المزاح، فإنه حمقة تورث الضعينة"
‘তোমরা ঠাট্টা ও কৌতুক থেকে সাবধান থাক, কেননা তা হলো নির্বুদ্ধিতা, যা বিদ্বেষ ও শত্রুতা ছড়িয়ে দেয়।
মানুষের পরিমাপ জানা : কতক মানুষ বাছ-বিচার না করেই সবার সাথে ঠাট্টা ও কৌতুক করে। অথচ জ্ঞানী ব্যক্তির (‘আলিমের) হক আছে, বড় মানুষের হক আছে, মুরুববী মানুষেরও হক আছে। এজন্য মানুষের ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আগে জানা উচিত। বোকা, নির্বোধ ও পাগলের সাথে ঠাট্টা করা উচিত নয়। অনুরূপভাবে অপরিচিত ব্যক্তির সাথেও। এ বিষয়ে ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ
"اتقوا المزاح، فإنه يذهب المروءة" ‘‘
তোমরা ঠাট্টা ও কৌতুক থেকে সাবধান থাক, কেননা তা ব্যক্তিত্বকে নিয়ে যায়।’’
সা‘দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস বলেন,
"إقتصر فى مزاحك، فإن الإفراط فيه يذهب البهاء، ويجرىّ عليك السفهاء"
‘তুমি ঠাট্টা ও কৌতুক কম কর, কেননা তা বেশি করা সৌন্দর্য ও জ্যোতিকে নিয়ে যায়। আর তোমাকে নির্বুদ্ধিতার উপর ছেড়ে যায়।’
ঠাট্টা ও কৌতুকের পরিমাণ তরকারীতে লবণের পরিমাণের মত হবে : এ বিষয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
لا تكثر الضحك فإن كثرة الضحك تميت القلب
‘তোমরা বেশি বেশি হাসিও না, কারণ অতিরিক্ত হাসি অন্তরকে মেরে ফেলে।’ (সহীহুল জামি‘ ৭৪৩৫)
ঠাট্টা ও কৌতুকের মাঝে গীবত না থাকা : এটা একটা অপবিত্র রোগ। কিছু মানুষ এটা ঠাট্টা-বিদ্রূপের ছলে করে বসে। তবুও এটা গীবত হবে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
ذِكْرُكَ أَخَاكَ بِمَا يَكْرَهٗ
‘তোমার ভাইয়ের এমন বিষয় উল্লেখ করা যা সে অপছন্দ করে।’ (মুসলিম হাঃ ৭০-[২৫৮৯])
(বিস্তারিত দেখুন : ‘আবদুল মালিক আল কাসিম-এর ‘‘মা হিয়া শুরুত্বুল মিযাহিশ্ শার‘ঈ’’ নামক প্রবন্ধটি, অনলাইন থেকে সংগৃহীত, সম্পাদক)
(২)
জ্বী, সেই হাদীসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।