বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত ইবনু আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس رضي الله عنهما أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : " إن من خير أكحالكم الإثمد إنه يجلو البصر وينبت الشعر "
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,তোমাদের সুরমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সুরমা হল,ইসমিদ পাথরের সুরমা।কেননা তা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং ভ্রুতে নতুন লোম গজাতে সাহায্য করে।(সুনানু নাসাঈ-৫১১৩,সুনানু আবি দাউদ-৩৮৩৭)
হযরত জাবির রাযি থেকে বর্ণিত,
عن جابر، قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول: «عليكم بالإثمد عند النوم، فإنه يجلو البصر، وينبت الشعر»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘তোমরা ঘুমানোর সময়চোখে ‘ইছমাদ’ সুরমা লাগাও | এতে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি হয় এবং ভ্রুতে নতুন লোম গজায়’ (সুনানু ইবনি মাজাহ-৩৪৯৬)
অন্য বর্ণনায় তিনি বলেন, এটা চোখের ময়লা
দূর করে এবং চক্ষু পরিষ্কার করে (ত্বাবারাণী-৬৬৫) |
ইবনুল কাইয়্যিম রাহ বলেন,
" وفي الكحل حفظ لصحة العين وتقوية للنور الباصر وجلاء لها وتنظيف المادة الرديئة واستخراج لها ، مع الزينة في بعض أنواعه ، وله عند النوم مزيد فضل لاشتمالها على الكحل وسكونها عقيبة من الحركة المضرة بها وخدمة الطبيعة لها ، وللإثمد من ذلك خاصية "
সুরমা চোখের হেফাজত করে।দৃষ্টিশক্তিকে বাড়িয়ে দেয়।এবং চোখের ময়লা আবর্জনাকে দূর করে।তাছাড়া সুরমা মানুষের সুন্দর্য্যকে বাড়িয়ে দেয়।ঘুমের সময় সুরমা ব্যবহারের অতিরিক্ত ফায়দা রয়েছে।কেননা তখন চোখের ক্ষতিকারক কিছু চোখের ভিতর প্রবেশ করতে পারে না।বিশেষকরে ইসমিদ পাথরের সুরমার আলাদা ফযিলত রয়েছে।(যা'দুল মা'আদ-৪/২৮১)বিস্তারিত জানুন-২৯১২
অনেক বুজুর্গানে কেরাম নিম্নোক্ত আয়াতকে প্রতি ফরয নামাযের পর পড়ে হাতে ফুক দিয়ে চক্ষুতে মোছার পরামর্শ দিয়ে থাকেন,
فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ
এখন তোমার কাছ থেকে যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ন।(সূরা ক্বাফ-২২)