জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، أَنْبَأَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ عِكْرِمَةَ بْنِ خَالِدٍ الْمَخْزُومِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " كُلُّ طَلاَقٍ جَائِزٌ إِلاَّ طَلاَقَ الْمَعْتُوهِ الْمَغْلُوبِ عَلَى عَقْلِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مَرْفُوعًا إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ عَجْلاَنَ . وَعَطَاءُ بْنُ عَجْلاَنَ ضَعِيفٌ ذَاهِبُ الْحَدِيثِ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ طَلاَقَ الْمَعْتُوهِ الْمَغْلُوبِ عَلَى عَقْلِهِ لاَ يَجُوزُ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ مَعْتُوهًا يُفِيقُ الأَحْيَانَ فَيُطَلِّقُ فِي حَالِ إِفَاقَتِهِ .
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তালাক মাত্রই বলবৎ হয়, কিন্তু বুদ্ধি ও স্মৃতি নষ্ট হওয়া ব্যক্তির তালাক বলবৎ হয় না।
ইরওয়া (২০৪২)
আবূ ঈসা রহঃ বলেনঃ আমরা এ হাদীসটি শুধুমাত্র আতা ইবনু আজলানের সূত্রেই মারফু হিসাবে জেনেছি। কিন্তু তিনি হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল এবং হাদীস বর্ণনায় ভুলের শিকার হতেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ এ হাদীস অনুযায়ী মত দিয়েছেন। তাদের মতে নির্বোধ ব্যক্তির তালাক কার্যকর হয় না। কিন্তু যে উন্মাদ কখনও জ্ঞান ফিরে পায় আবার কখনও জ্ঞানহারা হয়ে পড়ে সে যদি হুশ থাকাকালে তালাক দেয় তবে তা বলবৎ হবে।
(তিরমিজি ১১৯১)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার স্ত্রীর উপর এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।
আপনি তাকে তার ইদ্দত চালাকালিন সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে নিতে চাইলে তাকে "ফিরিয়ে নিলাম" বললেই হবে।
অথবা তার সাথে স্বামী সূলভ দৈহিক আচরণ করলেও ফিরিয়ে নেয়া হয়ে যাবে।
ইদ্দতকাল অতিবাহিত হওয়ার পর ফিরিয়ে নিতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
সব ছুরতেই তাকে ফিরিয়ে নেয়া হলে আপনি আর ২ তালাকের মালিক থাকবেন।
আর আপনার স্ত্রী যেহেতু কাবিননামার ১৮ নং ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তালাক গ্রহন করেছে,সুতরাং এই ক্ষমতা আর বহাল থাকবেনা।
এই ক্ষমতা শেষ।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনাদের বিবাহের কাবিননামা কি বিবাহের ইজাব কবুল বলার পরে লেখা হয়েছিলো?
নাকি বিবাহের ইজাব কবুলের আগে লেখা হয়েছিলো?
যদি বিবাহের ইজাব কবুলের আগেই কাবিননামা লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী শরীয়তের দৃষ্টিকোণ থেকে ১৮ নং ধারা অনুপাতে নিজেকে নিজে তালাক প্রদানের ক্ষমতা পাবেনা।
এরকমটি হলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো তালাক হবেনা।
স্ত্রীর যেকোনো কথায় কোনো সমস্যাও হবেনা।