আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
200 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা।

১।ধরেন শায়েখ কোন মেয়ে বিয়ে করেছে তার মা বাবা জানে না।মা জানে প্রেম করে।কিন্তুু বিয়ে সেটা জানে না।মাকে কোনভাবে বুঝাতে পারে না একটু কথা বলার জন্য মেয়ের সাথে।হাতে পায়ে ধরে একটা রুমে বসায় মাকে।আর মেয়েটা যদি বলে আপনি যেটা বলেন সেটা হবে মানে মা যেটা বলে সেটা করবে এইটা বুঝিয়েছে আরকি।তারপর যদি মেয়েটা বিয়ে করেছে সেটা বলে আর মা যদি বলে তালাক দিয়ে দিতে বা নিতে তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে? মেয়েটাকে স্বামি তালাকের অধিকার দিয়ে থাকলে? মেয়েটা যদি চাই না তালাক তবু হয়ে যাবে?আর মায়ের কথাটা কি ঐ মজলিস পর্যন্ত স্হায়ী হবে নাকি সারাজীবন?

২।ধরেন একটা মেয়েকে তার স্বামি তালাকের অধিকার  দিছে।মেয়েটি ধরেন ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।কাউকে ঠিক আছে বলতে সহ ভয় পায়।তহ স্বামীর সাথে মেসেজে কথা হচ্ছে। তহ সে মেয়েটা অভিমান  করে বলে bye,আবার স্বামি মেসেজ দিলে মেয়েটা বলে কথা বলিও না।সে অভিমান করে বলেছে।কথা গুলো বলার সময় তালাকের ওয়াসওয়াসা মাথায় ঘুরলেও সে না না বলে মনে মনে।সে চাই না তালাক আর স্বামীকে খুব ভালবাসে।স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কি তালাক হয়?

৩।ধরেন স্বামী ও স্ত্রীর কারো যদি তালাকের কথা  মনে না থাকে দিয়েছে কিনা,জানেও না।ওদের কি মাযুর ধরা হবে?

৪।ধরেন ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যাক্তি। অন্য জনের কথার উত্তরে হ্যা বলেছে।তখন মাথায় তালাকের ওয়াসওয়াসা ঘুরলে কি তালাক হবে?  অন্য জনের কথার উত্তরে হ্যা বলার পর ওয়াসওয়াসর কারনে না না বললে মনে মনে?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
"হাতে পায়ে ধরে একটা রুমে বসায় মাকে।আর মেয়েটা যদি বলে আপনি যেটা বলেন সেটা হবে মানে মা যেটা বলে সেটা করবে এইটা বুঝিয়েছে আরকি।তারপর যদি মেয়েটা বিয়ে করেছে সেটা বলে আর মা যদি বলে তালাক দিয়ে দিতে বা নিতে"

তাহলে তালাক হয়ে যাবে না। মেয়েটাকে স্বামী তালাকের অধিকার দিয়ে থাকলেও তালাক হবে না। মায়ের কথা দ্বারা তালাক হবে না।

(২)
একটা মেয়েকে তার স্বামি তালাকের অধিকার  দিছে।মেয়েটি ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত।কাউকে ঠিক আছে বলতে সহ ভয় পায়।তহ স্বামীর সাথে মেসেজে কথা হচ্ছে। তহ সে মেয়েটা অভিমান  করে বলে bye,আবার স্বামি মেসেজ দিলে মেয়েটা বলে কথা বলিও না।সে অভিমান করে বলেছে।কথা গুলো বলার সময় তালাকের ওয়াসওয়াসা মাথায় ঘুরলেও সে না না বলে মনে মনে।সে চায়না তালাক আর স্বামীকে খুব ভালবাসে।স্ত্রীর এসব কথা দ্বারা কখনো তালাক হবে না।

(৩)
স্বামী ও স্ত্রীর কারো যদি তালাকের কথা মনে না থাকে, দিয়েছে কি না? জানেও না। ওদেরকে মাযুর ধরা হবে না।

(৪)
ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যাক্তি। অন্য জনের কথার উত্তরে হ্যা বলেছে।তখন মাথায় তালাকের ওয়াসওয়াসা ঘুরলেও তালাক হবে না।  অন্য জনের কথার উত্তরে হ্যা বলার পর ওয়াসওয়াসর কারনে মনে মনে না না বললেও তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...