ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
পরিপূর্ণ ফজিলত ও বরকত পাওয়া যাবেনা।
তবে ফজিলত কিছু হলেও অবশ্যই পাওয়া যাবে।
(০২)
আল্লাহ তাআলার দৃষ্টিতে একটি মাত্র উপাদান রয়েছে। যা দ্বারা মানুষের মানুষের মান-মর্যাদা পরিমাপ করা যায়; মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। যে মাপকাঠি আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন-
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ اِنَّا خَلَقۡنٰکُمۡ مِّنۡ ذَکَرٍ وَّ اُنۡثٰی وَ جَعَلۡنٰکُمۡ شُعُوۡبًا وَّ قَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوۡا ؕ اِنَّ اَکۡرَمَکُمۡ عِنۡدَ اللّٰہِ اَتۡقٰکُمۡ ؕ اِنَّ اللّٰہَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ ﴿۱۳﴾
হে মানুষ! আমরা তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে, আর তোমাদেরকে বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অন্যের সাথে পরিচিত হতে পার।
তোমাদের মধ্যে সে ব্যক্তিই আল্লাহর কাছে অধিক মর্যাদাবান; যে অধিক মুত্তাকি বা আল্লাহ ভিরু।
নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সাম্যক অবহিত।
(সুরা হুজরাত : আয়াত ১৩)
★সুতরাং আল্লাহর নিকট মানুষের মর্যাদার স্তর তাকওয়ার উপর নির্ভর করে।
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبيْ هُرَيْرَةَ عَبدِ الرَّحْمَانِ بْنِ صَخْرٍ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺإنَّ الله لاَ ينْظُرُ إِلى أَجْسَادِكُمْ وَلاَ إِلَى صُوَرِكمْ وَلَكن ينْظُرُ إِلَى قُلُوبِكُمْ وَأَعمَالِكُم رواه مسلم
আবূ হুরাইরা আব্দুর রহমান বিন স্বাখর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।
(মুসলিম ৬৭০৭-৬৭০৮)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সকলের জন্য নিজের আমল শুদ্ধ করা প্রয়োজন, অধিক আমল প্রয়োজন আর আত্মশুদ্ধি প্রয়োজন।
(০৪)
এটি অনেকেই বলে থাকে।
তবে কুরআন হাদীসে এমনটি পাইনি।
(০৫)
হ্যাঁ।
(০৬)
হ্যা,আল্লাহ তায়ালা চাইলে সেই অসাধ্য কাজটিও আপনার দ্বারা হতে পারে।
(০৭)
নেক কাজে মনে আনন্দ অনুভব হওয়া,আর গুনাহের কাজে মনে টেনশন ও বাজে ভাব আসাই ঈমানের লক্ষন।
(০৮)
অবশ্যই সাধারণ মানুষও মহান আল্লাহর অনেক নিকটতম হতে পারেন।
দাওয়াত ও তাবলিগের মাধ্যমে হোক বা কোনো শায়খের অযিফা মানার মাধ্যমে হোক বা যেভাবেই হোক,ফরজ ইলম অর্জনের পাশাপাশি নিজের আমলের জিন্দেগী অনেক উন্নত করতে পারলে মহান আল্লাহর অনেক নিকটতম হওয়া যাবে।
ইনশাআল্লাহ।