বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
প্রথম রাকাতে সূরা নাস পড়ে ফেললে দ্বিতীয় রাকাতেও সূরা নাস পাঠ করা উচিত। তবে ইচ্ছাকৃত ফরযের উভয় রাকাতে একই সূরা পাঠ করা অনুত্তম। অবশ্য এ ভুলের কারণে সাহু সিজদা দিতে হয় না।
ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা মাকরুহে।
তবে অনিচ্ছায় হয়ে গেলে সমস্যা নেই।
قَرَأَ فِي الْأُولَى – {قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ} [الناس: 1]- أَعَادَهَا فِي الثَّانِيَةِ إنْ لَمْ يَخْتِمْ نَهْرٌ لِأَنَّ التَّكْرَارَ أَهْوَنُ مِنْ الْقِرَاءَةِ مَنْكُوسًا بَزَّازِيَّةٌ، (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب صفة الصلاة-2/268)
সারমর্মঃ
কোনো ব্যাক্তি যদি প্রথম রাকাতে সুরা নাস পড়ে,তাহলে সে ২য় রাকাতেও সুরা নাস পড়বে।
(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
ثُمَّ اَتِمُّوا الصِّیَامَ اِلَی الَّیۡلِ ۚ وَ لَا تُبَاشِرُوۡہُنَّ وَ اَنۡتُمۡ عٰکِفُوۡنَ ۙ فِی الۡمَسٰجِدِ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ فَلَا تَقۡرَبُوۡہَا ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ اٰیٰتِہٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّہُمۡ یَتَّقُوۡنَ ﴿۱۸۷﴾
তারপর রাতের আগমন পর্যন্ত (সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত) সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের সাথে সংগত হয়ো না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই এগুলোর নিকটবর্তী হয়ে না। এভাবে আল্লাহ তার আয়াতসমূহ মানুষদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা তাকওয়ার অধিকারী হতে পারে।
(সুরা বাকারা ১৮৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের দেশের প্রচলিত ইসলামীক ফাউন্ডেশন এর ক্যালেন্ডারে ইফিতারীর সময়ে হাতে সতর্কতামূলক ৩ মিনিট ধরে তারপর ইফতারীর টাইম বলা হয়।
সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির যদি ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডারের সেই দিনের ইফতারীর সময়ের ৩ মিনিট আগেই গলায় পানি চলে যায়,তাহলে তার উক্ত রোযা হবেনা।
রোযার কাজা পরবর্তীতে আদায় করতে হবে।
আর যদি ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডারের সেই দিনের ইফতারীর সময়ের আগের ৩ মিনিট এর মধ্যে পানি গলায় চলে যায়,যেমন ২ মিনিট আগে,বা এক মিনিট আগে।
তাহলে তার উক্ত রোযা আদায় হয়ে যাবে।
কাজা আদায় করতে হবেনা।
(০৩)
হ্যাঁ পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ।
তবে এসময়ে হাদীসে বর্ণিত কোনো যিকিরের ফজিলত পেতে চাইলে বিনা ওযরে এভাবে দেড়ি করা ঠিক হবেনা।
বিনা ওযরে এমনটি করলে হাদীসে বর্ণিত পূর্ণ ফজিলত পাওয়া যাবেনা।