আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
216 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (67 points)
১। সালাতে প্রথম রাকাতে সূরা নাস পড়লে কি সুন্নাহর খেলাফ হয়? এরকম করলে কি দ্বিতীয় রাকাতেও সূরা নাস পড়তে হবে?

২। ইফতার ছিল ৫-১০ মিনিট পর, আজান দেয়নি তখনো। এমতাবস্থায় একজন রোজাদার ওজু করতে গিয়ে গলায় পানি চলে যায়। তিনি জানেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো বলেছেন সূর্য অস্ত যাওয়ার সাথে সাথে ইফতার হিসেবে কিছু খেয়ে নিতে। তাই তিনি ভেবে নেন যে তার রোজা হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় কি তার রোজা শুদ্ধ হবে? আর কি রোজা কাজা করা লাগবে?

৩। একজন ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পর সকালের জিকির করেন। তিনি কি পরিপূর্ণ সওয়াব পাবেন?

1 Answer

0 votes
by (575,070 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রথম রাকাতে সূরা নাস পড়ে ফেললে দ্বিতীয় রাকাতেও সূরা নাস পাঠ করা উচিত। তবে ইচ্ছাকৃত ফরযের উভয় রাকাতে একই সূরা পাঠ করা অনুত্তম। অবশ্য এ ভুলের কারণে সাহু সিজদা দিতে হয় না।

ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি করা মাকরুহে।
তবে অনিচ্ছায় হয়ে গেলে সমস্যা নেই।

قَرَأَ فِي الْأُولَى – {قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ} [الناس: 1]- أَعَادَهَا فِي الثَّانِيَةِ إنْ لَمْ يَخْتِمْ نَهْرٌ لِأَنَّ التَّكْرَارَ أَهْوَنُ مِنْ الْقِرَاءَةِ مَنْكُوسًا بَزَّازِيَّةٌ، (رد المحتار، كتاب الصلاة، باب  صفة الصلاة-2/268)
সারমর্মঃ 
কোনো ব্যাক্তি যদি প্রথম রাকাতে সুরা নাস পড়ে,তাহলে সে ২য় রাকাতেও সুরা নাস পড়বে।

(০২)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ  করেনঃ
    
ثُمَّ اَتِمُّوا الصِّیَامَ اِلَی الَّیۡلِ ۚ وَ لَا تُبَاشِرُوۡہُنَّ وَ اَنۡتُمۡ عٰکِفُوۡنَ ۙ فِی الۡمَسٰجِدِ ؕ تِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ فَلَا تَقۡرَبُوۡہَا ؕ کَذٰلِکَ یُبَیِّنُ اللّٰہُ اٰیٰتِہٖ لِلنَّاسِ لَعَلَّہُمۡ یَتَّقُوۡنَ ﴿۱۸۷﴾

তারপর রাতের আগমন পর্যন্ত (সূর্য অস্ত যাওয়া পর্যন্ত) সিয়াম পূর্ণ কর। আর তোমরা মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় তাদের সাথে সংগত হয়ো না। এগুলো আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই এগুলোর নিকটবর্তী হয়ে না। এভাবে আল্লাহ তার আয়াতসমূহ মানুষদের জন্য সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাতে তারা তাকওয়ার অধিকারী হতে পারে।
(সুরা বাকারা ১৮৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আমাদের দেশের প্রচলিত ইসলামীক ফাউন্ডেশন এর ক্যালেন্ডারে ইফিতারীর সময়ে হাতে সতর্কতামূলক ৩ মিনিট ধরে তারপর ইফতারীর টাইম বলা হয়।
সেই হিসেবে প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির যদি ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডারের সেই দিনের ইফতারীর সময়ের ৩ মিনিট আগেই গলায় পানি চলে যায়,তাহলে তার উক্ত রোযা হবেনা।
রোযার কাজা পরবর্তীতে আদায় করতে হবে।

আর যদি ইসলামীক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডারের সেই দিনের ইফতারীর সময়ের আগের ৩ মিনিট এর মধ্যে পানি গলায় চলে যায়,যেমন ২ মিনিট আগে,বা এক মিনিট আগে।
তাহলে তার উক্ত রোযা আদায় হয়ে যাবে।
কাজা আদায় করতে হবেনা। 

(০৩)
হ্যাঁ পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ। 
তবে এসময়ে হাদীসে বর্ণিত কোনো যিকিরের ফজিলত পেতে চাইলে বিনা ওযরে এভাবে দেড়ি করা ঠিক হবেনা।
বিনা ওযরে এমনটি করলে হাদীসে বর্ণিত পূর্ণ ফজিলত পাওয়া যাবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...