ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
ঐ সময় নামাজ পড়তে সমস্যা না হলে বারান্দায় বা ২য় তলায় দুখুলুল মসজিদ পড়াই ভালো হবে।
বারান্দা বা অন্য তলা না থাকার ছুরতে বা থাকলেও সরাসরি সেই মজলিসে প্রবেশ করে থাকলে দুখুলুল মসজিদ না পড়ে বয়ানে বসাই ভালো হবে।
(০২)
হ্যাঁ, এ কথা ঠিক আছে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
আয়েশা রা. হতে বর্ণিত তিনি বলেন-
أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: كَانَ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ بَدَأَ بِالسِّوَاكِ.
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘরে প্রবেশ করতেন প্রথমে মিসওয়াক করতেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৩
শুরাইহ রাহ. বলেন-
سَأَلْتُ عَائِشَةَ، قُلْتُ: بِأَيِّ شَيْءٍ كَانَ يَبْدَأُ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ بَيْتَهُ؟ قَالَتْ: بِالسِّوَاكِ.
আমি আয়েশা রা.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘরে প্রবেশ করে প্রথমে কোন্ কাজটি করতেন? উত্তরে তিনি বলেন, প্রথমে মিসওয়াক করতেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৩
★কত সময়ের জন্য ঘরে ফিরলে রাসুলুল্লাহ সাঃ মিসওয়াক করতেন,সেটি হাদীসে নেই।
২/১ মিনিটের জন্য ঘরে ফিরলে মিসওয়াক করার দরকার নেই।
ঘরে ফিরে স্ত্রী সন্তানদের সাথে গল্প,কথাবার্তা ইত্যাদির প্রয়োজনীয়তা হলে মিসওয়াক করবেন।
(০৩)
ক,
মহান আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেনঃ
نِسَآؤُكُمْ حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُواْ حَرْثَكُمْ أَنَّى شِئْتُمْ وَقَدِّمُواْ لأَنفُسِكُمْ وَاتَّقُواْ اللّهَ وَاعْلَمُواْ أَنَّكُم مُّلاَقُوهُ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
তোমাদের স্ত্রীরা হলো তোমাদের জন্য শস্য ক্ষেত্র। তোমরা যেভাবে ইচ্ছা তাদেরকে ব্যবহার কর। আর নিজেদের জন্য আগামী দিনের ব্যবস্থা কর এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাক। আর নিশ্চিতভাবে জেনে রাখ যে, আল্লাহর সাথে তোমাদেরকে সাক্ষাত করতেই হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদেরকে সুসংবাদ জানিয়ে দাও।(সূরা বাকারা-২২৩)
আল্লাহ অত্র আয়াতে স্ত্রীর সাথে সহবাস ও স্ত্রীর নিকট থেকে ফায়দা গ্রহণের মূলনীতি মূলক আলোচনা করছেন।সুতরাং পিছনের রাস্তা ব্যতীত স্ত্রীর কাছ থেকে যেকোনো পদ্ধতিতে ফায়দা গ্রহণ করা যাবে, এ অনুমতি রয়েছে।
সুতরাং স্ত্রীর শরীরের যেকোনো অঙ্গ দ্বারা ফায়দা গ্রহণ জায়েয।এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,কোনো কারণে স্ত্রী সহবাস অসম্ভব হলে,তখন স্ত্রীর হাত দ্বারা হস্তমৈথুনের অনুমোদন রয়েছে।
,
আরো জানুনঃ
খ,
এটি বিশেষ কারনে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে এমনটি অতিরিক্ত করা হলে শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
সে সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে এমনটি করা যাবেন্ব।
(০৪)
কাপড়ের উপর দিয়ে এমনটি করা যাবে,সরাসরি নয়।
তবে হাটুর নিচের অঙ্গ দিয়ে এমনটি করা যাবে।
হায়েজ অবস্থায় স্ত্রীর সাথে মেলামেশা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
(০৫)
ক,
হ্যাঁ যাবে।
খ,
হ্যাঁ ফেলানো যাবে।
তবে দূর্গন্ধ যুক্ত স্থানে ফেলানোর ক্ষেত্রে মুখের মধ্যে সেই দূর্গন্ধের ভাব চলেই আসে,তাই এমনটি করা থেকে বুযুর্গানে দ্বীন মানা করে থাকেন।
(০৬)
ক,
হ্যাঁ গুনাহ হবে।
কেননা এগুলো গোপনীয় বিষয়, তাই গোপনই রাখতে হবে।
আর এগুলো বলা সমাজের দৃষ্টিতে অশ্লীলতা ।
খ,
তারা তো জেনে যাবেই।
এখন কথা তারা যদি দেখে ফেলে,বা কোনো আওয়াজ পায়,তবেই সমস্যা।
আপনাদের সর্বোচ্চ সতর্কতার পরেও তারা দেখে ফেললে বা কোনো আওয়াজ পেলে এতে আপনাদের গুনাহ হবেনা।
তবে সর্বোচ্চ সতর্কতা কাম্য।
(০৭)
ক,
মুখে বলা যাবেনা।
তবে মনে মনে বলা যাবে।
খ,
এ সময় মনে মনে যিকির করা যাবে।
মুখে যিকির করা যাবেনা।