আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
4,781 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (11 points)
edited by
আসসালামু-আলাইকুম।

আল্লাহর রহমতে আশা করি ভালো আছেন শায়েখ।

আমার প্রশ্ন হলোঃ
কোনো মানুষ মারা গেলে উনার বাড়িতে আলিম উলামারা দলবদ্ধ হয়ে যে কোরআন খতম করেন এবং  মাঝেমধ্যে কোনো বাড়িতে কোনো ব্যক্তি অসুস্থ হলে বাড়িতে নিয়ে যে খতম গুলো করানো হয় যেমনঃ

খতমে-শিফা,আম্বিয়া,কোরআন। ইত্যাদি।  তা কি জায়েয?????

আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিলে উপকৃত হবো শায়েখ।

জাযাকুমুল্লাহ খায়রান।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

মৃত ব্যাক্তির জন্য কুরআন শরিফ তেলাওয়াত করে ঈসালে ছওয়াব করা জায়েজ আছে। 
এতে কোনো সমস্যা নেই।   
,
ঈসাল মানে হল, পৌঁছানো। আর সওয়াব মানেতো সওয়াব, পূণ্য।

তাহলে ঈসালে সওয়াব মানে হল, সওয়াব পৌঁছানো।প্রচলিতভাবে “ঈসালে সওয়াব” বলা হয়, মৃত ব্যক্তির জন্য দুনিয়ায় কোন আমল করে সওয়াব পৌঁছানোকে বলা হয়।

পবিত্র কুরআন শরিফে আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেনঃ  
الْمَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا ۖ وَالْبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابًا وَخَيْرٌ أَمَلًا [١٨:٤٦] 

ধন ঐশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের সৌন্দর্য এবং স্থায়ী সৎকর্মসমূহ আপনার পালনকর্তার কাছে প্রতিদান প্রাপ্তি ও আশা লাভের জন্যে উত্তম। [সূরা কাহাফ-৪৬] 

স্থায়ী সৎকর্ম কী? এক হাদীসে রাসূল সাঃ ব্যাখ্যা করেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” إِذَا مَاتَ الْإِنْسَانُ انْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهُ إِلَّا مِنْ ثَلَاثٍ: إِلَّا مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ، أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهِ، أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهُ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, ব্যক্তি যখন মারা যায়, তখন তার নেক আমল করার পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি পথ ছাড়া। একটি হল, সদকায়ে জারিয়া, দ্বিতীয় হল ইলম, যদ্বারা মানুষ উপকার পায়, এবং তৃতীয় হল, নেক সন্তানের দুআ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস  নং-৮৮৪৪, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮৮০, মুসলিম, হাদীস নং-১৬৩১] 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ أُمِّي افْتُلِتَتْ نَفْسُهَا، وَأَظُنُّهَا لَوْ تَكَلَّمَتْ تَصَدَّقَتْ، فَهَلْ لَهَا أَجْرٌ إِنْ تَصَدَّقْتُ عَنْهَا؟ قَالَ: «نَعَمْ

হযরত আয়শা রাঃ থেকে বর্ণিত। এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বলল, আমার আম্মা হঠাৎ ইন্তেকাল করেছেন।[কিছু বলে যেতে পারেননি] আমার ধারণা! তিনি যদি কিছু বলার সুযোগ পেতেন, তাহলে আমাকে তার নামে সদকা করতে বলতেন। তো আমি যদি তার নামে সদকা করি, তাহলে কি এর সওয়াব তিনি পাবেন? রাসূল সাঃ বললেন, হ্যাঁ। [বুখারী, হাদীস নং-১৩৮৮] 


عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ امْرَأَةً مِنْ جُهَيْنَةَ، جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: إِنَّ أُمِّي نَذَرَتْ أَنْ تَحُجَّ فَلَمْ تَحُجَّ حَتَّى مَاتَتْ، أَفَأَحُجُّ عَنْهَا؟ قَالَ: «نَعَمْ حُجِّي عَنْهَا، أَرَأَيْتِ لَوْ كَانَ عَلَى أُمِّكِ دَيْنٌ أَكُنْتِ قَاضِيَةً؟ اقْضُوا اللَّهَ فَاللَّهُ أَحَقُّ بِالوَفَاءِ

হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। এক জুহাইনা এলাকার এক মহিলা রাসূল সাঃ এর কাছে এসে বললেন, আমার আম্মা হজ্ব করার মান্নত করেছিলেন, কিন্তু হজ্ব করার আগেই তিনি ইন্তেকাল করেছেন। আমি কি এখন তার পক্ষ থেকে তা আদায় করবো? রাসূল সাঃ ইরশাদ করলেন, হ্যাঁ, তুমি তার পক্ষ থেকে আদায় কর। তোমার মায়ের যিম্মায় যদি ঋণ থাকতো, তাহলে কি তুমি তা আদায় করতে না? তেমনি এটাও আদায় কর। কারণ আল্লাহ তাআলাই অধিক হক রাখেন যে, তার সাথে কৃত অঙ্গিকার পূর্ণ করা হবে। [বুখারী, হাদীস নং-১৮৫২] 

عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: تُوُفِّيَ رَجُلٌ فَغَسَّلْنَاهُ، وَحَنَّطْنَاهُ، وَكَفَّنَّاهُ، ثُمَّ أَتَيْنَا بِهِ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي عَلَيْهِ، فَقُلْنَا: تُصَلِّي عَلَيْهِ؟ فَخَطَا خُطًى، ثُمَّ قَالَ: ” أَعَلَيْهِ دَيْنٌ؟ ” قُلْنَا: دِينَارَانِ، فَانْصَرَفَ، فَتَحَمَّلَهُمَا أَبُو قَتَادَةَ، فَأَتَيْنَاهُ، فَقَالَ أَبُو قَتَادَةَ: الدِّينَارَانِ عَلَيَّ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” حَقُّ  الْغَرِيمُ، وَبَرِئَ مِنْهُمَا الْمَيِّتُ؟ ” قَالَ: نَعَمْ، فَصَلَّى عَلَيْهِ، ثُمَّ قَالَ بَعْدَ ذَلِكَ بِيَوْمٍ: ” مَا فَعَلَ الدِّينَارَانِ؟ “فَقَالَ: إِنَّمَا مَاتَ أَمْسِ، قَالَ: فَعَادَ إِلَيْهِ مِنَ الْغَدِ، فَقَالَ: لَقَدْ قَضَيْتُهُمَا، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” الْآنَ بَرَدَتْ عَلَيْهِ جِلْدُهُ “،

হযরত জাবের রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি মারা গেলে আমরা তার গোসল দিলাম। তারপর কাফন পড়িয়ে রাসূল সাঃ এর কাছে নিয়ে এলাম। যেন তিনি তার উপর জানাযা পড়েন। আমরা হযরতকে জানাযা পড়াতে অনুরোধ করলাম। নবীজী সাঃ কয়েক কদম আগে বাড়লেন। তারপর তিনি বললেন, তার উপর কি কোন ঋণ আছে? আমরা বললাম, দুই দিনার ঋণ আছে। একথা শুনে রাসূল সাঃ ফিরে গেলেন। তখন আবু কাতাদা রাঃ বললেন, আমি তা পরিশোধ করে দিব। ঋণের হক আদায় করে তুমি মৃতকে ঋণমুক্ত করবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, তারপর রাসূল সাঃ তার জানাযা পড়ালেন। তারপর একদিন পর রাসূল সাঃ জিজ্ঞাসা করলেন, ঋণ কি আদায় হয়েছে? আবু কাতাদা বললেন, তিনিতো গতকাল মারা গেছেন। তারপর একদিন পর আবার জিজ্ঞাসা করলেন। তখন জবাবে বলা হল, আদায় করা হয়েছে। তখন রাসূল সাঃ ইরশাদ করলেন, এখন উক্ত ব্যক্তির আত্মাকে শান্ত করেছো। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৪৫৩৬] 

عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: شَهِدْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْأَضْحَى بِالْمُصَلَّى، فَلَمَّا قَضَى خُطْبَتَهُ نَزَلَ مِنْ مِنْبَرِهِ وأُتِيَ بِكَبْشٍ فَذَبَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهِ، وَقَالَ: «بِسْمِ اللَّهِ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ، هَذَا عَنِّي، وَعَمَّنْ لَمْ يُضَحِّ مِنْ أُمَّتِي

হযরত জাবের বিন আব্দুল্লাহ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল সাঃ এর সাথে ঈদুল আযহায় নামাযে শরীক ছিলাম। যখন খুতবা শেষ হল। তখন তিনি মিম্বর থেকে নামলেন। তারপর তার কাছে একটি ভেড়া আনা হল। তারপর তিনি তা জবাই করলে নিজ হাতে। জবাইকালে বললেন, বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার, এটি আমার এবং আমার ঐ উম্মতীর পক্ষ থেকে যারা কুরবানী করতে পারেনি। [আবু দাউদ, হাদীস নং-২৮১০] 

عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْعَلَاءِ بْنِ اللَّجْلَاجِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: قَالَ لِي أَبِي: ” يَا بُنَيَّ إِذَا أَنَا مُتُّ فَأَلْحِدْنِي، فَإِذَا وَضَعْتَنِي فِي لَحْدِي فَقُلْ: بِسْمِ اللهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُولِ اللهِ، ثُمَّ سِنَّ عَلَيَّ الثَّرَى سِنًّا، ثُمَّ اقْرَأْ عِنْدَ رَأْسِي بِفَاتِحَةِ الْبَقَرَةِ وَخَاتِمَتِهَا، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ ذَلِكَ

হযরত আব্দুর রহমান বিন আলা বিন লাজলাজ, তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার পিতা আমাকে বলেছেন, হে বৎস! আমি যখন মারা যাবো, তখন আমার জন্য “লাহাদ” কবর খুড়বে। তারপর আমাকে যখন কবরে রাখবে তখন পড়বে “বিসমিল্লাহি ওয়াআলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ” তারপর আমার উপর মাটি ঢালবে। তারপর আমার মাথার পাশে সূরা বাকারার শুরু এবং শেষাংশ পড়বে। কেননা, আমি রাসূল সাঃ থেকে এমনটি বলতে শুনেছি। [আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস নং-৪৫১, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৭০৬৮] 

আল্লামা হায়ছামী রহঃ বলেনঃ
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ فِي الْكَبِيرِ، وَرِجَالُهُ مُوَثَّقُونَ.

এ হাদীস ইমাম তাবারানী তার কাবীরে নকল করেছেন, এবং তার প্রতিটি রাবী সিকা। [মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-৪২৪৩] 

ابْنَ عُمَرَ، يَقُولُ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِذَا مَاتَ أَحَدُكُمْ فَلَا تَحْبِسُوهُ، وَأَسْرِعُوا بِهِ إِلَى قَبْرِهِ، وَلْيُقْرَأْ عِنْدَ رَأْسِهِ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ، وَعِنْدَ رِجْلَيْهِ بِخَاتِمَةِ الْبَقَرَةِ فِي قَبْرِهِ

হযরত ইবনে উমর রাঃ বলেন, রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, যখন কোন ব্যক্তি মারা যায়, তখন তাকে আটকে রেখো না, বরং দ্রুত তাকে কবরস্ত কর। আর তার কবরের মাথার পাশে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা এবং পায়ের পাশে দাঁড়িয়ে সূরা বাকারার শেষ অংশ তিলাওয়াত কর। [আলমুজামুল কাবীর লিততাবরানী, হাদীস নং-১৩৬১৩, শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৮৮৫৪] 

والمعتمد فى المذاهب الاربعة ان ثواب القراءة يصل الى الاموات، لانه هبة ودعاء بالقرآن الذى تتنزل الرحمات عند تلاوته، وقد ثبت فى السنة النبوية وصول الدعاء والصدقة للميت، وذلك مجمع عليه

চার ইমামগণের নিকট যে কথাটি গ্রহণযোগ্য, তা হল, কুরআনে কারীমের  তিলাওয়াতের সওয়াবও মৃতের কাছে পৌঁছে। কেননা, এটি কুরআনে কারীমের হাদিয়া এবং দুআ।যা তিলাওয়াতকালে আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়। যেহেতু মাইয়্যেতের জন্য সদকা এবং তার জন্য দুআ করলে তা মৃতের কাছে পৌঁছার বিষয়টি হাদীসে নববী দ্বারা প্রমাণিত। এর উপরই উম্মতের ইজমা। [তাফসীরে মুনীর-১৪/১৪০, ডঃ ওহাবাতুজ জুহাইলী] 

একটি প্রশ্ন
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে

وَأَن لَّيْسَ لِلْإِنسَانِ إِلَّا مَا سَعَىٰ [٥٣:٣٩] 
এবং মানুষ তাই পায়,যা সে করে,[সূরা নজম-৩৯] 

এ আয়াত দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, ব্যক্তি যা করে কেবল এর সওয়াবই সে পাবে। একজনের সওয়াবের কাজ অন্যের জন্য কোন কাজে আসবে না।

তাই ঈসালে সওয়াব দ্বারা মৃত ব্যক্তি কোন ফায়দা পাবে না।
উত্তর

আয়াত বুঝতে হবে সালাফের বুঝ অনুপাতে। উক্ত আয়াতের দ্বারা উদ্দেশ্য কারা? আল্লামা কুরতুবী রহঃ তাফসীরে কুরতুবীতে লিখেনঃ
وَقَالَ الرَّبِيعُ بْنُ أَنَسٍ: (وَأَنْ لَيْسَ لِلْإِنْسانِ إِلَّا مَا سَعى) يَعْنِي الْكَافِرَ وَأَمَّا الْمُؤْمِنُ فَلَهُ مَا سَعَى وَمَا سَعَى لَهُ غَيْرُهُ. قُلْتُ: وَكَثِيرٌ مِنَ الْأَحَادِيثِ يَدُلُّ عَلَى هَذَا الْقَوْلِ، وَأَنَّ المؤمن يصل إليه ثَوَابِ الْعَمَلِ الصَّالِحِ مِنْ غَيْرِهِ،

রবী’ বিন আনাস  বলেন, “এবং মানুষ তাই পায়,যা সে করে” কথার দ্বারা উদ্দেশ্য হল কাফের। অর্থাৎ কাফেররা যা করে শুধু এতটুকুই সে পাবে। কিন্তু মুমিনরা সে যা করে তার সওয়াবও পায়, আবার অন্যের কৃত সওয়াব ও পায়।

আমি [ইমাম কুরতুবী] বলি, অনেক হাদীস এ বিষয়টির প্রমাণ বহন করে। নিশ্চয় মুমিনের জন্য অন্যের কৃত নেক আমলের সওয়াবও পৌঁছে। [তাফসীরে কুরতুবী-১৭/১১৪] 

উপরোক্ত দলীল প্রমাণাদীর মাধ্যমে আশা করি বিষয়টি পরিস্কার হয়ে গেছে যে, মৃতের জন্য ঈসালে সওয়াব করা কুরআন ও হাদীস এবং ইজমায়ে উম্মাহ দ্বারা প্রমাণিত।

তাই ঈসালে সওয়াবের উদ্দেশ্যে যেসব কাজ করা যায়ঃ
মৃতের নামে সদকা করা।
কুরবানী করা।
মৃতের জন্য কুরআন তিলাওয়াত করা।
মৃতের জন্য দুআ করা।
ইস্তিগফার করা।
হজ্ব করা।
ইত্যাদি পূণ্যের কাজ করে মৃত ব্যক্তির জন্য ঈসালে সওয়াব করা যায়। যা কুরআন ও হাদীসের মাধ্যমে সুষ্পষ্টরূপে প্রমাণিত।
       
★★তবে আমাদের সমাজ এক বিশেষ পদ্ধতি চালু হয়েছে,  আমাদের মৃত ব্যাক্তির বাড়িতে গিয়ে কুরআন খতম করা,তারপর দাওয়াত খাওয়া,হাদিয়া ইত্যাদি। 
এটি নাজায়েজ। 
এহেন কাজ থেকে বেঁচে থাকা জরুরী।   

শরীয়তের বিধান হলো মৃত ব্যক্তির ঈসালে সওয়াবের জন্য কুরআন মজীদ খতম করে বা কুরআন মজীদের কোনো সূরা তিলাওয়াত করে কোনো ধরনের বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয নেই। 
,
নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, সাহাবী আবদুর রহমান ইবনে শিবল রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করো না এবং এর দ্বারা আয় বৃদ্ধির চিন্তা করো না।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৫৫২৯ 
,
অন্য বর্ণনায় এসেছে, সাহাবী ইমরান ইবনে হুসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তোমরা কুরআন পড় এবং বিনিময় আল্লাহ তাআলার কাছে চাও। তোমাদের পর এমন জাতি আসবে, যারা কুরআন পড়ে এর বিনিময় মানুষের কাছে চাবে।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ১৯৯১৭ 

আরেক বর্ণনায় আছে, তাবেয়ী যাযান রাহ. বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন পড়ে মানুষের থেকে তার বিনিময় গ্রহণ করে সে যখন হাশরের মাঠে উঠবে তখন তার চেহারায় গোশত থাকবে না। শুধু হাড্ডি থাকবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৭৮২৪

(আরো দেখুন : মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক, হাদীস : ১৯৪৪৪; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৩০৬৩৪; ফাতহুল বারী ৮/৭১৯; মাজমাউয যাওয়াইদ ৭/৩৪৭; তানকীহুল ফাতাওয়াল হামীদিয়া ২/১৩৭; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২০/৫৩)
,
,
অবশ্য কোনো দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে, যেমন-রোগ-ব্যাধি থেকে আরোগ্য লাভ করা, বিপদ-আপদ দূর হওয়া বা ঘরে বরকতের জন্য আয়াতে শেফা পড়া,শরীয়ত সম্মত অন্যান্য আমল করা,কোনো সূরা তিলাওয়াত করে বা কুরআন মজীদ খতম করা জায়েজ আছে,এবং এর  বিনিময় নেওয়ারও অবকাশ আছে। 

সুন্নাত মনে না অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য আয়াতে শেফা পড়া,খতমে খাজেগান,খতমে জালালি,খতমে কুরআন করার অবকাশ রয়েছে।  এটি বিদআতের সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত হয় না। বিদআত হবার জন্য সেটিকে ধর্মীয় কাজ মনে করা, সওয়াবের কাজ মনে করতে হয়। আর উপরোক্ত কাজগুলো সওয়াবের কাজ হিসেবে নয় বরং প্রতিষেধক হিসেবে আমল করা হয়। যেমন ডাক্তার রোগের চিকিৎসা স্বরূপ পথ্য প্রদান করে থাকে। সেই উসিলায় আল্লাহ তাআলা রোগমুক্ত করে থাকেন মর্মে ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণিত। তা’ই এসব ব্যবহার করা হয় প্রতিষেধক হিসেবে। সওয়াব হিসেবে নয়।

তেমনি উপরোক্ত কাজগুলো দ্বারা কতিপয় কাংখিত বস্তু অর্জিত হয় মর্মে বুযুর্গানে দ্বীনের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রমাণিত। তাই কার্যসিদ্ধির আশায় উপরোক্ত আমলগুলো করা হয়ে থাকে। সওয়াবের জন্য নয়। তা’ই উপরোক্ত আমলগুলো রোগমুক্তিসহ অন্যান্য জায়েজ উদ্দেশ্যে করাতে কোন সমস্যা নেই।
,
,
সহীহ বুখারীর এক বর্ণনায় আছে, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, সাহাবীদের একটি জামাত জলাশয়ে বসবাসকারী একটি গোত্রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঐ গোত্রের এক ব্যক্তিকে বিচ্ছু দংশন করেছিল।  তাদের একজন এসে সাহাবীদেরকে বলল, আপনাদের মাধ্যে কি কোনো ঝাড়-ফুঁককারী আছেন? আমাদের গোত্রের এক লোককে বিচ্ছু দংশন করেছে। তখন সাহাবীগণের মধ্যে একজন সেখানে গেলেন। এরপর কিছু বকরি দানের বিনিময়ে তিনি সূরা ফাতিহা পড়লেন (এবং ফুঁক দিলেন) ফলে লোকটি আরোগ্য লাভ করল। এরপর তিনি যখন বকরিগুলো নিয়ে অন্যান্য সাহাবীদের নিকট এলেন তারা কাজটি অপছন্দ করলেন এবং বললেন, আপনি আল্লাহর কিতাবের উপর বিনিময় গ্রহণ করছেন!

অবশেষে তারা মদীনায় পৌঁছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি আল্লাহর কিতাবের উপর বিনিময় গ্রহণ করেছেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুমতি দিলেন এবং বললেন, তোমরা যে সকল জিনিসের বিনিময় গ্রহণ কর তন্মধ্যে আল্লাহ তাআলার কিতাব সবচেয়ে  উপযুক্ত (অর্থাৎ যখন এর দ্বারা ঝাড়ফুঁক করা  হয়)।-সহীহ বুখারী, হাদীস : ৫৭৩৭ (আরো দেখুন : শরহু মাআনিল আছার ২/২৪৬; উমদাতুল কারী ১২/৯৫, ২১/২৬৪; শিফাউল আলীল, পৃষ্ঠা : ১৫৭)
,
কিন্তু এ কাজকে পেশা বানানো কিছুতেই সমীচীন নয়। আর দুআ করে কোনো ধরনের বিনিময় আদান-প্রদান বৈধ নয়। চাই তা যে উদ্দেশ্যেই হোক না কেন। (ফাতহুল বারী ১১/৯৭)

উল্লেখ্য যে, যদি শুধু দুআ ও খমতকারীদের জন্যই খাবারের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে তা বিনিময় হিসেবে গণ্য হবে এবং নাজায়েয হবে। আর যদি ব্যাপকভাবে দাওয়াতের আয়োজন করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তা বিনিময় হিসেবে গণ্য হবে না এবং অন্যদের মতো খতম পড়ুয়ারাও খেতে পারবেন।
 
-মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/১৭০; রদ্দুল মুহতার ৬/৫৬; ইমদাদুল ফাতাওয়া ৩/৩৩৪; ইমদাদুল আহকাম ১/২১২; কিফায়াতুল মুফতী ২/৪১
,
একটি মূলনীতি জানা থাকলে এ বিষয়গুলো বুঝা খুবই সহজ। এক হল দ্বীন। আরেক হল দুনিয়া।

যে বস্তুর ফলাফল মৃত্যুর পর মানুষ পেতে চায়, তার নাম দ্বীন। আর যে বস্তুর ফলাফল মানুষ মৃত্যুর আগেই পেতে চায়, তাই হল দুনিয়া।

বিদআতের সম্পর্ক হল দ্বীনের সাথে। দুনিয়ার সাথে নয়। তা’ই দুনিয়াবী কোন বস্তুর ক্ষেত্রে বিদআত শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। যেমন চেয়ার টেবিল, কম্পিটউটার ইত্যাদি।

কারণ এসব কোনটিই মৃত্যুর পরের ফলাফলের জন্য কেউ নির্মিত করেনি।

আর যেসব বিষয় দ্বীনী বিষয় নয় বরং দুনিয়াবী বিষয়, সেসব ক্ষেত্রে যদি সরাসরি কুরআনের আয়াত বা হাদীস বিরোধী না পাওয়া যায়, কিংবা শরীয়ত বিরোধী আর কোন কারণ না পাওয়া যায়, তাহলে উক্ত কাজটি বৈধ হবে।

উপরোক্ত মূলনীতিটি ভাল করে অনুধাবন করলে খতমে জালালী, খতমে ইউনুস, খতমে খাজেগান ইত্যাদির হুকুমও আপনি বের করে নিতে পারবেন।

উপরোক্ত খতমের কোনটিই আখেরাতের ফায়দার জন্য করা হয় না। বরং দুনিয়াবী কোন ফায়দার জন্য করা হয়ে থাকে। যেমন বিপদমুক্তি ইত্যাদি। তাই সরাসরি কুরআনের কোন আয়াত বা হাদীস এসবের বিরোধী পেশ না করতে পারলে এসবের কোনটিকে নাজায়েজ বা হারাম বলার কোন সুযোগ নেই।

এসব খতমের অবস্থান হল, ডাক্তারদের অভিজ্ঞতালব্দ পথ্যের মত। অভিজ্ঞ ডাক্তারগণ যেমন তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে বের করেছেন যে, জ্বর হলে প্যারাসিটামল খেলে ভাল হয়, ঠান্ডা লাগলে ওরাডিন ইত্যাদি ঔষধ খেলে ভাল হতে পারে, তেমনি বুযুর্গানে দ্বীন তাদের অভিজ্ঞতার মাধ্যমে জেনেছেন যে, কিছু কিছু নির্দিষ্ট খতমের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু ফায়দা হয়ে থাকে। তাই তারা বুযুর্গানে দ্বীন থেকে বিভিন্ন খতমের প্রমাণ পাওয়া যায়।

এসবই অভিজ্ঞতালব্দ বিষয়। কোনটিই দ্বীনের বিষয় নয়। বা কুরআন ও হাদীস থেকে প্রমাণিত বিষয় নয়। এসবকে কেউ সওয়াবের কাজও মনে করে না। বরং প্রয়োজন পূরণের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।

যেমন ডাক্তারের সাজেশন অনুপাতে ঔষধ সেবন। তা’ই ডাক্তারের পরামর্শ অনুপাতে পথ্য সেবন যেমন হারাম ও বিদআত নয়, তেমনি কতিপয় দুনিয়াবী উদ্দেশ্য হাসিলের আশায় বুযুর্গদের অভিজ্ঞতালব্দ উপরোক্ত খতম পড়াও হারাম বা বিদআত নয়।

হ্যাঁ, এসবকে সুন্নত মনে করা, কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত পদ্ধতি মনে করা বিদআত। নতুবা এমনিতে আমল করতে কোন সমস্যা নেই।
,

★★তবে কিছু কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেনঃ  
আমাদের দেশের অতি প্রচলিত কর্ম কারো মৃত্যু হলে তার জন্য কুরআন খতম করা। এ কর্মটি কোনো হাদীস ভিত্তিক কর্ম নয়। কোনো মৃত মানুষের জন্য রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবীগণ কখনো কুরআন খতম করেন নি। এছাড়া কারো জন্য কুরআন খতম করলে তিনি সাওয়াব পাবেন এরূপ কোনো কথাও কোনো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীসে বর্ণিত হয় নি।
,
আমরা আগেই উল্লেখ করেছি যে, কুরআন ও হাদীসে মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সন্তানগণকে মৃত পিতামাতার জন্য দান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধ, সিয়াম পালন, হজ্জ ও উমরা পালনের কথাও হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে। মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন তিলাওয়াত, কুরআন খতম, তাসবীহ তাহলীল পাঠ ইত্যাদি ইবাদতের কোনো নির্দেশনা হাদীসে বর্ণিত হয় নি। তবে অধিকাংশ আলিম বলেছেন যে, যেহেতু দান, সিয়াম, হজ্জ, উমরা ও দোয়ার দ্বারা মৃত ব্যক্তি উপকৃত হবেন বলে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, সেহেতু আশা করা যায় যে, কুরআন তিলাওয়াত, তাসবীহ তাহলীল ইত্যাদি ইবাদত দ্বারাও তারা উপকৃত হবেন। তবে এজন্য আনুষ্ঠানিকতা, খতম ইত্যাদি সবই ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
,
আসলে সওয়াব কেউই পাবেন না। কারণ, যিনি খতম পড়াচ্ছেন তিনি ভাবছেন, তাঁদের দিয়ে টাকার বিনিময়ে আমি কোরআন পড়াচ্ছি। তিনি মনে করছেন, এ পদ্ধতিতে কোরআন পড়ানো সওয়াবের কাজ। এই পদ্ধতি নবীর (সা.) কাছ থেকে ইবাদত বা সওয়াবের কাজ হিসেবে সাব্যস্ত না হওয়ার কারণে এটি একটি বিদাতি তরিকা। বিদাত হওয়ার কারণে এখানে কোনো সওয়াব নেই, যতই আপনি ভালো কাজ করুন না কেন, পদ্ধতি ভুল হওয়ার কারণে এই তরিকার মধ্যে কোনো সওয়াব নেই। সুতরাং যিনি পড়ছেন, তিনি সওয়াব পাবেন না, সেটি মৃত ব্যক্তিও পাবেন না, আর যিনি কোরআন পড়াচ্ছেন তিনিও পাবেন না।
,
এ ছাড়া যাঁরা কোরআন পড়ছেন, তাঁরাও সওয়াব পাবেন না, যেহেতু তাঁরা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কোরআন পড়ছেন না, তাঁরা কোরআন পড়ছেন মূলত টাকার বিনিময়ে। এ জন্য তাঁদের কাজটি মূলত ইবাদত হচ্ছে না, বরং ইবাদতটি তাঁরা দুনিয়ার স্বার্থে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই তাঁদের এই ইবাদতটুকু সওয়াবের জন্য হবে না, কারণ দুনিয়ার স্বার্থে যদি কেউ ইবাদত করে থাকেন এবং সেটি যদি শুধু দুনিয়ার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই হয়ে থাকে, তাহলে এটি শিরক হয়ে যাবে। কিন্তু এর মাধ্যমে যদি দুনিয়ার কোনো উপকার হয়ে থাকে, তাহলে সেটি শিরক হবে না, তবে তাঁরা সওয়াব থেকে মাহরুম হয়ে যাবে। এই কাজটি ইবাদতের যে বিধান রয়েছে, সেই বিধানের মধ্যে আসবে না, যেহেতু এখানে বড় ধরনের ভুল আছে।
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত "কোনো মানুষ মারা গেলে উনার বাড়িতে আলিম উলামারা দলবদ্ধ হয়ে যে কোরআন খতম করেন'
প্রচলিত এই পদ্ধতিটি জায়েজ নেই। 
অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য যেগুলো পড়া, সেটা জায়েজ আছে।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
ধন্যবাদ। 
মুফতি ওলি উল্লাহ (রাহ)  
by
আমি জানি মৃত ব্যক্তির জন্য কুরআন খতম করা বিদাত। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...