আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
397 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (55 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
১। কোন স্ত্রী তার স্বামীকে জিজ্ঞেস করে সে কোন দিন কেনায়া বাক্য বলার সময় সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে বলেছে কিনা?? ( তা++ এর কথা ভেবে বলেছে কিনা)  এইখানে স্ত্রী সরাসরি তা++ উচ্চারণ করেছিল কিনা তার মনে নেই।  এই প্রশ্নের উত্তর স্বামী দেয় যে সে এই নিয়তে কখনোই কিছু বলে নি৷ বা কেনায়া বাক্য বলার সময় অন্য ধরনের নিয়ত নিয়ে বলেনি। এবং স্বামী বলেছিল আর কোনদিন স্ত্রী যাতে এই প্রশ্ন না করে।
স্ত্রী হচ্ছে ওয়াসওয়াসার রোগী।  সে আরেকবার স্বামীকে একই প্রশ্ন করে।বলে যে জীবনে কোনদিন কেনায়া বাক্য বলার সময়  সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে বলোনি তো?? ((এইখানেও স্ত্রী সরাসরি তা++ উচ্চারণ করেনি প্রবল ধারণা হয়৷))  এই প্রশ্ন শুনে  স্বামী এতটাই বিরক্ত হয় সে বলে "হ্যা্ বলেছি"" স্ত্রী বলে এই কথা বললা তুমি?? স্বামী বলে আবার জিজ্ঞেস করলে কিন্তু আবারও হ্যাঁ বলবো আর এইবার বললে কিন্তু মন থেলে বলব।
এই কথার মাধ্যমে কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??
মুফতি ইমদাদুল হক হুজুর বলেছিলেন মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে না কারন স্বামীর তা+++ দেওয়ার নিয়ত ছিল না আর তার হ্যাঁ বলছি কথাটা নাকি নিয়ত না থাকাকেই বুঝায়।  কয়েকদিন আগে আপনাকে প্রশ্ন করলে আপনি বললেন মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে। এখন আমি কোনটা সত্যি ধরে নিব?? অই স্বামীর সাথে কি স্ত্রীর সহবাস জায়েয হবে? নাকি স্ত্রী পাপী হবে?? কারন স্বামী বলে সে বিরক্ত হয়ে এই কথা বলেছিল৷সে স্ত্রীর বার বার প্রশ্ন করায় খুবই বিরক্ত ছিল। তাই এইভাবে বলেছে।

২। হুজুর  আপনি বলেছিলেন কেনায়া বাক্য বলার মাধ্যমে নাকি ৩ তা+++ এর নিয়ত করলে সেটাই পতিত হয়।  নিচের ঘটনায় যদি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে থাকে তাহলে কয় তা+++ পতিত হবে দয়া করে বলবেন।
কোন একদিন স্বামী বলল স্ত্রীকে একটা বিষয় নিয়ে যাতে সে কথা না বলে। বললে ভাবতে অইদিনই সব শে*৷  তারপর স্ত্রী জিজ্ঞেস করলে স্বামী বলে তার কোন নিয়ত ছিল না।

পরবর্তীতে একদিন স্ত্রী আবার জিজ্ঞেস করে তুমি ওইদিন বা অন্য কোনদিন কি কেনায়া বাক্য বলার সময় সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে (তা*- এর কথা ভেবে) বলেছিলে??

এইবার স্বামী বিরক্ত হয়ে উত্তর দেয় হ্যাঁ বলেছি। সে বিরক্ত হয় কারন একি প্রশ্নের উত্তর আগেও দিয়েছে।
এখন এইখানে স্ত্রী যে প্রশ্ন করলো ওইদিন বা অন্যকোনদিন  স্বামী কেনায়া বাক্য বলার সময় ছেড়ে যাওয়ার নিয়ত করেছে কিনা। এতে স্বামীর উত্তরে যদি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয় তাহলে কি স্বামীর ১ম দিন বলা শর্ত আরোপ হয়ে যাবে??

৩। সেই শর্ত যদি আরোপ হয়ে যায়,,, আর সেই কাজ যদি স্ত্রী করে ফেলে তাহলে কয় তা+++ পতিত হবে?? ৩ নাকি ১??


৪।স্বামী তো পরে বলেছে যে সে বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছে। তাই তার মনে কয় তা*-- এর সংখ্যা ছিল সেটা জিজ্ঞেস করলে সে রাগ করবে। এখন স্ত্রী কয় তা--- ধরে নিবে যদি মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে থাকে??

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।

قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ


এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)


(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

তবে স্ত্রী যদি স্বামীকে স্পষ্ট ভাবে  এই ভাবে জিজ্ঞাসা করেঃ
"কেনায়া বাক্য বলার সময়  সত্যি সত্যি তালাকের নিয়তে বলোনি তো?"

এই প্রশ্নের জবাবে স্বামী "হ্যাঁ বলেছি"  বললে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে।
সেই সময়ে তালাক হবে। 
 
(২.৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি  হবেনা।
তাই শর্ত যুক্ত তালাকও হবেনা।
সুতরাং সংখ্যার কোনো প্রশ্নই উঠেনা। 
  
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি  হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
স্বামী স্ত্রীর মধ্যে  খুব ঝগড়া হয়,  ঝগড়ার এক পর্যায়ে  স্বামী স্ত্রীকে বলেন যাও একেবারে চলে যাও ,  দরকার নেই এসবের ।  তখন স্ত্রী  জিজ্ঞেস করে, তুমি কি ওসবের।নিয়তে বলেছো??  স্বামী রাগের মাথায় বলেন  হ্যা ওসবের / ও নিয়ত মনে নাই।  স্বামী জানেন  স্ত্রী  ওই নিয়ত বলত তালাক বুঝাই । পরবর্তীতে স্ত্রী  আবারও জিজ্ঞেস  করলে স্বামী কে যে তুমি কি তালাক দিলাম নিয়ত করে বলেছে  সে বলেন নাহ আমি এসব জানিনা।। তো তখন স্বামীকে স্ত্রী  জিজ্ঞেস করেন তখন যখন জিজ্ঞেস করি যে কোন ওসব  নিয়তে বলেছ নাকি তখন কেন বলছো  হ্যা।  তখন সে বলে আমি রাগ করে বলেছি আমি আল্লাহ'র কসম তালাকের নিয়ত বলিনি। স্ত্রী  তাকে বললো তুমি তো জানো ওসব বলতে আমি তালাকের নিয়ত বুঝাই।  সে বললো তুমি তো তালাক শব্দ টা বলোনি বলেছো ওসব।  এখন এটা কি তালাকের মিথ্যা স্বীকারোক্তি হবে??  আমার কি তার সাথে থাকা জায়েজ হবে?? 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...