আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
আমার বাবা পীরের মুরিদ এবং সেই পীরের বাংলাদেশের মসজিদগুলোর কোনো বড় পদে নিযুক্ত হওয়ায় প্রায়শই সে বিভিন্ন ফরমাল কাজের দরখাস্ত,মসজিদের বিভিন্ন খরচের ও বিভিন্ন ব্যক্তির অংশগ্রহণ ইত্যাদি অফিসিয়াল কাজ করার সময় ল্যাপটপে দরখাস্তের কিছু অংশ লিখায় আমার সাহায্য নেয় বা বিভিন্ন খরচের কাগজের অনেক ছবি অন্যের কাছে পাঠাতে আমাকে দিয়ে ছবি তুলায় কারণ সে সুন্দর করে তুলতে পারে না।এখন কথা হচ্ছেঃ

১/তারা পীরকে সিজদা,মাজারে সিজদা,কলকাতায় তাদের মসজিদে গিয়ে বিভিন্ন rituals পালন এসব দ্বীন ইসলামের বহির্ভূত কাজ করে,বিভিন্ন বিদাতী মাহফিল করে।এমন আক্বীদার মানুষের মসজিদের অফিসিয়াল এমন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর কাজে সাহায্য করা কি জায়েজ? যেই লেখা গুলোতে সাহায্য করি বা ছবি তুলে দেই ওখানে আক্বীদার কোনো কথা থাকে না,মূলত পরিচালনা সংক্রান্ত সকল তথ্য,বড় কোথাও দরখাস্ত প্রেরণ এইসব।কিন্তু এই মসজিদের সকলেই ভুল আক্বীদার এবং হাজারো মানুষ এদের বিভিন্ন মাহফিলে অংশ নেয়,তাদের এই তথ্য সংক্রান্ত কাজে এভাবে সাহায্য করতে মানা করবো আমি?

২/মানা করতে হলে আব্বুকে কিভাবে মানা করি?তাকে বুঝানোর মতো যুক্তি তর্ক দেওয়ার মত জ্ঞান আমি এখনো অর্জন করি নি,আর তার সামনে আমি এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে আমার গলা কাপা শুরু করে দিবে ভয়ে,যদিও ভয় পেতে হবে কেবল আল্লাহকেই

৩/বিভিন্ন মাহফিল থেকে সে খাবার নিয়ে আসে যাকে তারা নিয়াজ পাক বলে,আমি প্রত্যেকবার খাওয়া এড়িয়ে চলি,মাঝে মাঝে সে মনে করে আমি খেয়েছি কিন্তু আমি খাই না,একদিন মুখে ঢুকায় দিসিলো,সে চলে যাওয়ার পর আমি মুখ থেকে সব বের করে ফেলি।আমার কি এভাবেই চালাতে থাকা উচিত নাকি সত্য কথা বলে তাকে ভালো মত দাওয়াত দেওয়া উচিত?

৪/আমি খাই না কিন্তু আমার ভাইকে খেতে মানা করি না কারণ আমার কাছে সম্পূর্ণ যুক্তি নেই যে এখানে দুয়া ফুক করে কিনা বা মনের মধ্যে কোনো বিশ্বাস রাখে কিনা যে এটা খেলে খুব ভালো বা রোগ সাড়বে।কিন্তু তাদের আক্বীদাগত ভুল এবং বিদাতের মাহফিলে এটা হয় বলে আমার মন থেকে বিশ্বাস যে তাদের এই খাবারগুলো খাওয়া আমার উচিত নয়।আমার ভাইকেও আমি মানা করবো খেতে?

৪/তার কন্যা হিসেবে তাকে দাওয়াত দেওয়ার ব্যাপারে আমার দায়-দায়িত্ব কেমন?দাওয়াত না দিতে পারলে কি আমাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা পাকড়াও করবেন?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো গুনাহের কাজ নিজে করা যেমন জায়েজ নেই,অন্যকেও গুনাহের কাজে সহযোগিতা করা জায়েজ নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢] 

সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
হ্যাঁ আপনি মানা করবেন।
আপনি তাদের কোনো কাজ করে দিবেননা।

(০২)
আপনাকে বুঝাতে হবেনা।
আপনি কষ্ট করে কোনো হক্কানী আলেমের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।   
আপনার এ মেহনতের ফলে আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম জাযা দান করবেন।


(০৩)
ঐ খানা খাবেননা।
তাকে সত্য পথের দাওয়াত দিবেন।
হক্কানী আলেমের কাছে তাকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।   

(০৪)
বিদ'আতি অনুষ্ঠানের খাবার হয় বা ওরশের খাবার হয়,তাহলে আপনার ভাইকে খেতে মানা করবেন।

(০৫)
আপনি তাকে যথেষ্ট বুঝিয়েছেন। 
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পাকড়াও করবেননা।   

কোনো মাহরাম পুরুষ এর মাধ্যমে খোজ নিয়ে কোনো হক্কানী আলেমের কাছে তাকে পাঠানোর  ব্যবস্থা করতে পারলে অনেক ভালো হতো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...