আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (31 points)

১. দুনিয়াবি বিষয়ে (পরীক্ষা, চাকুরি, রোগমুক্তি) অমুসলিমদের জন্য দুয়া করা যাবে কি?

২. অমুসলিমদের ভালো খবর (চাকুরি প্রাপ্তি, ভালো ফলাফল) শুনলে কি আলহামদুলিল্লাহ বলায়া যাবে?

৩. কোন অমুসলিম দম্পতি (পুরো পরিবার সহ) যদি ইসলাম গ্রহণ করে তাহলে কি তাদের মধ্যে আগের বিবাহ বহাল থাকবে নাকি ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী নতুন করে বিয়ে করতে হবে? এক্ষেত্রে তাদের সন্তানদের ব্যাপারে বিধান কি হবে?

৪. অমুসলিম (হিন্দু) কাউকে ইফতারের জন্য বলা যাবে কি যদি উদ্দেশ্য থাকে যে ইফতারে এসে ইসলামের প্রতি তার আগ্রহ তৈরি হবে? উল্লেখ্য যে, পরবর্তীতে তাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইসলামের প্রতি দাওয়াত দেয়ার নিয়ত আছে ইনশা আল্লাহ। আমি এবং আমার আর একজন বন্ধু দাওয়াহ কোর্সটি করার পর এ কাজে অগ্রসর হবো ইনশা আল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (573,810 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/2740/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ  
অমুসলিমদের জন্য  দোয়া করার কয়েকটি ছুরত হতে পারেঃ 

(০১) অমুসলিমরা যাতে ইসলাম গ্রহণ করে, হেদায়েতপ্রাপ্ত হয় এ ধরনের কোনো দোয়া করা।
এ ধরনে দোয়া করা জায়েজ এবং উত্তম। রসূল (সা.) এ ধরনের দোয়া করেছেন।

হাদিস শরিফে এসেছে,
ইবনে উমর (রা.) থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসূল (সা.) বলেছেন:
‘হে আল্লাহ্! এই দুই জন লোকের মধ্যে যে ব্যক্তি আপনার কাছে অধিক প্রিয় তার মাধ্যমে আপনি ইসলামকে শক্তিশালী করুন: আবু জেহেল কিংবা উমর বিন খাত্তাব।’ [সুনানে তিরমিযি; হাদিস: ৩৬৮১]

(০২) অমুসলিমদের জন্য গুনাহের ক্ষমা প্রার্থণা করা কিংবা এ-জাতীয় কোন দোয়া করা।
আলেমগণের ইজমার ভিত্তিতে এটি হারাম।
ইমাম নববী বলেন: ‘পক্ষান্তরে, কাফেরের জন্য রহমত প্রার্থনা করা, ক্ষমা প্রার্থনা করা এটি কুরআনের দলিল ও ইজমার ভিত্তিতে হারাম।’ [আল-মাজমু ৫/১২০]

(০৩) অমুসলিম ব্যক্তির রোগ মুক্তি ও আরোগ্যের জন্য দোয়া করা।
এটা জায়েজ নয়। 
তবে এই দোয়ার ক্ষেত্রে যদি ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করা  উদ্দেশ্যে থাকে, তাহলে জায়েয। যেমন- তার সামনে যদি আল্লাহর নিকট দোয়া করা হয় এবং সে দোয়া যদি আল্লাহ কবুল করেন,  তাহলে হয়তবা সে ইসলাম গ্রহণ করবে।,বা ইসলামের প্রতি তার মন আকৃষ্ট হবে।
সুতরাং এসব শর্ত পাওয়া না গেলে দোয়া করা উচিত নয়। তা জায়েজ হবেনা। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত দোয়ার ক্ষেত্রে তাদেরকে যদি ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করা  উদ্দেশ্যে থাকে, তাহলে জায়েয। 
নতুবা এ ধরনের দোয়া করা জায়েজ হবেনা।

(০২)
এমনটি বলা যাবে।
তবে মনে মনে তাদেরকে ইসলামের দিকে আকৃষ্ট করা  উদ্দেশ্য থাকতে হবে।

(০৩)
যদি এমন অমুসলিম দম্পতি যাদের বিবাহ কুফরী অবস্থায় তাদের ধর্ম মোতাবেক বৈধ হয়েছিলো,যদি তারা একত্রে ইসলাম গ্রহন করে,তাহলে তাদের বিবাহ সম্পর্ক আগের মতোই বহাল থাকবে।
পুনরায় বিবাহ পড়ানোর প্রয়োজনীয়তা নেই।
তবে শর্ত হলো স্বামী স্ত্রী যেনো পরস্পরে মাহরাম না হয়।
কেননা অগ্নিপূজক দের মধ্যে মাহরামদের মাঝেও বিবাহ হয়।

اسلم المتزوجان بلا سماع شہود او فی عدۃٍ کافراً معتقدین ذلک اقرا علیہ لانا امرنا بترکھم وما یعتقدون الخ (شامیہ ص ۴۲۰: ج ۲)
সারমর্মঃ
যদি স্বামী স্ত্রী ইসলাম গ্রহন করে, কোনো সাক্ষীর শোনা ব্যাতিত,তারা তাদের বিবাহ সহীহ হওয়ার উপর বিশ্বাসী ছিলো,তাদের বিবাহ ইসলাম গ্রহনের পর বহাল থাকবে।

(০৪)
হ্যাঁ প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাকে ইফতারের দাওয়াত দেয়া যাবে।
এটি প্রশংসনীয় উদ্দ্যেগ,আলহামদুলিল্লাহ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...