আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
155 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (42 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমার প্রশ্ন গুলো নিম্নরুপঃ

১)স্বামী স্ত্রীর কারো একজনের যদি কুফরিগত আকিদা থাকে তাহলে কি বিবাহ জায়েজ?মানে কেও যদি রাজনীতির সাথে জড়িত থাকে এবং সে এলাকার ভালো কাজ গুলা করে এবং কোন বিচার আসলে সে প্রচলিত আইনে বিচার করলে সে কাফির হলে কি, স্বামী স্ত্রীর বিবাহ ভংগ হয়ে যাবে?

২)স্বামী স্ত্রী কুফরিগত আকিদা স্ত্রী পড়ে জানলে কি বিবাহ থাকবে নাকি ভেংগে যাবে?.

৩)হজরত সুফিয়ান ইবনে সালিম রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জেনে রেখ! কোনো মুসলমান যদি অমুসলিম নাগরিকের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন করে, কোনো অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করে, তার কোনো জিনিস বা সহায়-সম্পদ জোরপূর্বক কেড়ে নেয়; তবে কেয়ামতের দিন আল্লাহর বিচারের কাঠগড়ায় আমি তাদের বিপক্ষে অমুসলিমদের পক্ষে অবস্থান করব।’ (আবু দাউদ)

এই হাদিস টা ক সহিহ?

৪)

পাকিস্তান সরকারের গ্রান্ড মুফতী-মুফতী শফী রহ সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতের তাফসীর করতে যেয়ে বলেনঃঐ সমস্ত হুকুম যা কোরআন-সুন্নাহে বর্ণিত নেই তাতে দু-রকম বিধি-বিধান রয়েছে 

(এক)যার সম্পর্ক দ্বীন-ইসলামের সাথে তথা শরয়ী হুকুম-আহকামের সাথে।

(দুই)যার সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম শৃংখলার সাথে।

 যেই সমস্ত বিধি-বিধানের সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম-শৃংখলার সাথে তা বাস্তবায়ন করতে কোরঅান-সুন্নাহর আলোকে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বরং যার যেটা ভালো লাগবে সে সে অনুযায়ী আমল করতে পারবে বা ফায়সালা করতে পারবে।সুতরাং এক্ষেত্রে আইনপ্রনেতা ও বিচারকগণ সম্পূর্ণ স্বাধীন, স্থান-কাল বিবেচনা করে তারা যেকোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন। তাফসীরে মা'রিফুল কোরআন (উর্দু ভার্সন)-২/৪৫১ 

এইখানে আমি দ্বীন ইসলামের সাথে শরয়ি হুকুম গুলা কি কি সেটা জানতে একটু বিস্তারিত জানতা চাচ্ছি।অর্থাৎ যে গুলা কাফির সাব্যস্ত করবে।

আর যার সম্পর্ক সামাজিক নিয়ম শৃংংখলার সাথে সেটা ও জানতে চাচ্ছি।

জাযাকাল্লাহু খাইর।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/623 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻜَﺎﻓِﺮُﻭﻥ
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৪)

ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟﻈَّﺎﻟِﻤُﻮﻥَ
যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না তারাই জালেম।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪৫)

ﻭَﻣَﻦ ﻟَّﻢْ ﻳَﺤْﻜُﻢ ﺑِﻤَﺎ ﺃَﻧﺰَﻝَ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻓَﺄُﻭْﻟَـﺌِﻚَ ﻫُﻢُ ﺍﻟْﻔَﺎﺳِﻘُﻮﻥَ
যারা আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফয়সালা করে না, তারাই পাপাচারী।(সূরা মায়েদাঃআয়াতঃ৪)(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যে ব্যক্তি কুরআন সুন্নাহর আইনকে অস্বীকার করবে,কেবলমাত্র সে ব্যক্তিই কাফির হবে। তবে আল্লাহর আইনকে কেউ অস্বীকার না করে যদি ভিন্ন ধারার কোনো আইনের মাধ্যমে বিচার করে, তাহলে সে কাফির হবে না, বরং ফাসিক বা জালিম হিসেবে গণ্য হবে।
সুতরাং প্রচলিত বৃটিশ আইন বা সরকারি আইনে যখন কেউ বিচার করবে, তখন তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হবে না।

(২)
মারাত্বক আকিদা যেমন, পীর সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে, পীরগণ কবরে জিন্দা, ইত্যাদি ইত্যাদি আকিদা থাকলে ঐ ব্যক্তির সাথে তার স্ত্রীর বিয়ে অবশিষ্ট থাকবে না।বরং বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাবে।

(৩)
জ্বী, হাদিসটির প্রমাণযোগ্য। বিশুদ্ধ।

(৪)
আপনার প্রশ্নটি বুঝিনি।দয়াকরে স্পষ্ট করে উল্লেখ করুন।বিস্তারিত জানতে দেখুন-
তাফসীরে মা'রিফুল কোরআন (উর্দু ভার্সন)-২/৪৫১ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (574,050 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।৪ নং প্রশ্নটি ইডিট করে দিয়ে কমেন্টে উল্লেখ করবেন।
by
edited
আসসালামু আলাইকুম। 
২নং এর উত্তর থেকে আমার প্রশ্ন এই যে,কেও যদি না জেনে মাজারে কিছু চায় বা এই রকম ভাবে যে তারা আল্লাহর ওলী আউলিয়া মুলত শাহজালাল শাহপরান মাজারে গিয়েছিল।এখন কি সেটা কুফরি হবে?যখন সে জানতে পারে যে মাজারে যাওয়া শির্ক তখন ক্ষমা চাওয়া হয়েছে।কিন্তু অনেক বছর আগে যখন যাওয়া হইসিল তখন সেখান তাদের ওসিলা করে,তাদের জন্য দুয়া করে ছেলে সন্তান চাইসে তাদের ধারনা তারা আল্লাহর কাছে হয়ত সুপারিশ করবে।যেহহেতু তারা আল্লাহর ওলী আউলিয়া বান্দা। তখন তারা এইসব বিষয় এ অবগত ছিল না বা তারা পির পুজারি,মাজার ভক্ত ছিল না।না জেনে গিয়েছে চাইসে।যেহেতু আগে মানুষ মাজার সম্পর্কে সচেতন ছিল না।
এইভাবে কি কেও করে থাকলে বিবাহ ভংগ বা কাফির হয়ে যাবে?এখন ত অইসব এ বিশ্বাসি না বা আগের জন্য মাফ চাওয়া হইসে। তবে তাদের বিশ্বাস ছিল যে আল্লাহই দেয়ার মালিক।কিন্তু মাজারে গিয়েছে ভাবসে দুয়া করলে কবুল হবে।কারন তিন মেয়ের পর তারা একটা ছেলে সন্তান চাচ্ছিল।
এবং আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ পাক দিয়েছেন ও।
না জেনে না বুঝে এই রকম কিছু করলে কি কাফির হবে এবং বিবাহ ভংগ হবে?আগে ত মানুষ এত সচেতন ছিল না ইসলামের বিষয় গুলা নিয়ে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...