আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
337 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by

১)আপনাদের জানামতে কোন কোন সাবান, ফেসওয়াশ, শ্যাম্পু, ক্রিম, লিপজেল, টুথপেষ্ট, এইগুলো হালাল আর ইলুমিনাতির চিহ্ন ও নেই?  

২) ঈদ উপলক্ষে অধিকাংশ মেয়েরা যে বেপর্দা হয়ে ছবি দেয় 

,তা কি কুফর হবে? আর ঈদের জন্য দামি পোশাক কেনা কি কুফর হবে?  (ঈদ উপলক্ষে দামি পোশাক কিনা কি অপচয়ের শামিল?)  

৩) মুফতি আব্দুল ওয়াহিদ কে ইনবক্সে কিছু প্রশ্ন করেছি। দেখবেন?

 

৪) https://ifatwa.info/40566/ 

এখানে বলা আছে, " কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম মিথ্যা বলাকে হাদীসে বর্ণিত তিনটি বিষয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেন।কিন্ত বিদগ্ধ গবেষক উলামায়ে কেরাম ঐ সমস্ত বিষয়ের মধ্যেও অনুমিত প্রদান করেছেন যেথায় অন্যের ক্ষতি ব্যতীত নিজের মঙ্গল নিহিত রয়েছে।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে এই মিথ্যা বলার সময় যদি নিজের জন্য ভাল হয় কিন্তু কোন কাফেরের জন্য আর্থিক ক্ষতির কারন হয়? তখন কি মিথ্যা বলা জায়েজ থাকবে?

1 Answer

+1 vote
by (573,570 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত আমাদের দেশের সাবান শ্যাম্পু ইত্যাদিতে হারাম উপাদান মিশ্রণ নেই বলেই জানি।

কিছু প্রসাধনী সামগ্রীতে এলকোহলের মিশ্রণ থাকলেও সেটি আঙ্গুর/খেজুরের তৈরী এলকোহল না হওয়ায় তাহা ব্যবহার করতে সমস্যা নেই।       

বিস্তারিত জানুনঃ  

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত  আমাদের দেশের সাবান শ্যাম্পু ব্যবহার করতে কোনো সমস্যা নেই।  
তবে যদি কোনো সাবান/শ্যাম্পু/অন্যান্য প্রসাধনী  সামগ্রীতে হারাম মিশ্রনের কেহ সুত্র পায়,তাহলে সেই বস্তু ব্যবহার করা যাবেনা।
,  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم الْحَلَالُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشُّبْهَاتِ استبرَأَ لدِينهِ وعِرْضِهِ ومَنْ وقَعَ فِي الشبُّهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ أَلَا وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُله أَلا وَهِيَ الْقَلْبُ.

নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, ‘হালাল এবং হারাম সুস্পষ্ট, আর ঊভয়ের মধ্যে অনেক সন্দেহজনক বিষয় বা বস্তু আছে।(যেগুলি হালালের অন্তর্ভুক্ত না হারামের অন্তর্ভুক্ত,) সে সম্পর্কে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এরূপ ক্ষেত্রে যেই ব্যক্তি সন্দেহের বস্তুকে পরিহার করে চলবে, তার দ্বীন এবং আবরু-ইজ্জত, মান-সম্মান পাক-পবিত্র থাকবে। পক্ষান্তরে যেই ব্যক্তি সন্দেহের কাজে লিপ্ত হবে, সে অচিরেই হারামেও লিপ্ত হয়ে পড়বে। (ফলে তার দ্বীন এবং মান-সম্মান কলুষিত হবে।) যেমন যেই রাখাল তার পশুপালকে নিষিদ্ধ এলাকার সীমার ধারে চরাবে, খুব সম্ভব তার পশু নিষিদ্ধ এলাকার ভিতরেও মুখ ঢুকিয়ে দিবে। তোমরা ম্মরণ রেখো প্রত্যেক বাদশাই নিজ পশুপালের চারণভুমি (নিষিদ্ধ এলাকা) বানিয়ে রাখেন। তদ্রূপ (সকল বাদশাহর বাদশাহ) আল্লাহ তা’আলার চারণভূমি তাঁর হারাম বস্তুসমূহকে নির্ধারিত করে রেখেছেন। ‘মনে রেখো মানুষের দেহের ভিতরে একটি গোশতের টুকরা রয়েছে, যা সঠিক থাকলে সমস্ত দেহই সঠিক থাকে। আর সেই অংশের বিকৃতি ঘটলে সম্পূর্ণ দেহেরই বিকৃতি ঘটে। সেই গোশতের টুকরাটি হল অন্তর’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/২৭৬২)।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে মূল বিষয় হলোঃ  প্যাকেটের গায়ে যে উপাদান লেখা থাকে,সেগুলোতে যদি হারাম কোনো উপাদান না লেখা থাকে,হারাম বস্তু মিশ্রণের যদি কোনো প্রমান না থাকে,তাহলে তাহা ব্যবহার করতে  শরীয়াহ দৃষ্টিকোন থেকে সমস্যা নেই।

(০২)
এতে কুফরি হবেনা।
তবে বেপর্দা হওয়ার মারাত্মক গুনাহ তার হবে।

ঈদের জন্য দামি পোশাক কেনা কুফর হবেনা।
তবে অতিরিক্ত দামি পোশাক ক্রয় করাকে অনেকেই অপচয় বলেছেন।

(০৩)
জী,তিনি দেখবেন।

(০৪)
এই ছুরতে মিথ্যা বলা জায়েজ হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...