আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
181 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (2 points)
নিচের প্রশ্নটা পূর্বেই করেছিলাম, তখন উত্তরে বলা হয়েছিল যে এরকম ব্যাবসা করা জায়েজ। কিন্তু আমার একটু বুঝতে সমস্যা হচ্ছে। তাি পুনরায় প্রশ্নটা বিস্তারিতভাবে করলাম।

আমি একজনকে ১ লক্ষ টাকা দিয়েছি গরু কিনে ব্যবসা করার জন্য। সে ১ লক্ষ টাকায় ৩টি গরু কিনেছে। তার সাতে চুক্তি করেছি যে, সে ইদউল আযহা পর্যন্ত (৪/৫ মাস) গরুগুলো লালনপালন করবে এবং বিক্রি করবে। এতে যে লাভ হবে তাহার তিন ভাগের এক ভাগ আমি এবং দুই ভাগ সে নিবে। আবার লোকসান হলেও সে তিন ভাগের দুই ভাগ এবং আমি এক ভাগ বহন করবো। এরকম চুক্তিতে কি ব্যাবসা করা জায়েজ হবে?

প্রশ্নানুযায়ী লোকসান হলে তিন ভাগের এক ভাগ আমি এবং দুই ভাগ সে বহন করবে অর্থাৎ বিশ হাজার টাকা লোকসান হলে, সে আমাকে বিশ হাজার টাকার তিন ভাগের দুই ভাগ আমাকে দিবে। এটা কি জায়েজ হবে?
জায়েজ হলে ত কোন সমস্যা নেই, কিন্তু যদি নাজায়েজ হয়, তাহলে এরকম ব্যাবসার শর্ত কিরকম হওয়া উচিত একটু বিস্তারিত বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/12438 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ব্যবসা বানিজ্য সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا )
আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করোছেন এবং সুদকে হারাম করেছেন।(সূরা বাকারা-২৭৫)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু।(সূরা নিসা-২৯)

একজনের টাকা এবং অপরজনের শ্রম, এরকম ব্যবসাকে শরীয়তে মুদারাবাহ ব্যবসা বলা হয়। মুদারবাহ ব্যবসা বৈধ। তবে শর্ত হল, পার্সেন্টিস হিসেবে চুক্তি হতে হবে।

পার্সেন্টিছ হিসেবে উভয় চুক্তিকারী নিজ নিজ হিসসায় যতটুকুর জন্য সম্মত হবে, তারা ততটুকুই মুনাফা পাবে। নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা বস্তুকে নির্দিষ্ট  করা জায়েয হবে না।
قال صاحب الهداية: (وَمِنْ شَرْطِهَا أَنْ يَكُونَ الرِّبْحُ بَيْنَهُمَا مُشَاعًا لَا يَسْتَحِقُّ أَحَدُهُمَا دَرَاهِمَ مُسَمَّاةً) مِنْ الرِّبْحِ لِأَنَّ شَرْطَ ذَلِكَ يَقْطَعُ الشَّرِكَةَ بَيْنَهُمَا وَلَا بُدَّ مِنْهَا كَمَا فِي عَقْدِ الشَّرِكَةِ.(الهداية-3/226)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি মুদারাবার শর্ত মতে সে আপনাকে মুনাফা দেয়, তথা আপনার কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় যদি শরীয়তের বিধান মত চুক্তি হয়ে থাকে, তাহলে আপনাকে সে যে মুনাফা দেবে, সেই মুনাফা আপনার জন্য জায়েয হবে। কিন্তু যদি আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কোনো অর্থ বা বস্তুর চুক্তি করে থাকেন, তাহলে আপনার জন্য এ মুনাফা জয়েয হবে না।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনার জন্য প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী ব্যবসা করা বৈধ হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...