ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কে যাকাত খেতে পারবে?
وَلَا يُشْتَرَطُ النَّمَاءُ إذْ هُوَ شَرْطُ وُجُوبِ الزَّكَاةِ لَا الْحِرْمَانِ كَذَا فِي الْكَافِي. وَيَجُوزُ دَفْعُهَا إلَى مَنْ يَمْلِكُ أَقَلَّ مِنْ النِّصَابِ، وَإِنْ كَانَ صَحِيحًا مُكْتَسَبًا كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ.
অর্থাৎ-নেসাব পরিমাণ মাল(নামী তথা বাড়ন্ত হোক বা না হোক,শরীয়তে নামী মাল চার প্রকার যথা-স্বর্ণ,রূপা বা টাকা,ব্যবসার মাল,গবাদি পশু)
এর মালিক না হলে যাকাত খাওয়া যাবে যদি প্রয়োজন থাকে।তাই গায়রে নামী বা অবাড়ন্ত মালের নেসাব পরিমাণ কেউ মালিক হলে যদিও তার উপর যাকাত আসবে না তথাপিও সে যাকাতের মাল খেতে পারবে না।আর কোনো প্রকার মালই যদি কারো কাছে নেসাব পরিমাণ না থাকে তাহলে সে সুস্থ উপার্জন স্বক্ষম হওয়া সত্তেও তার জন্য যাকাতের মাল খাওয়া জায়েয আছে।(ফাতাওয়া হিন্দিয়া-১/১৮৯)
والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(অক্রমবর্ধমান)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/699
(২)
জ্বী, তোলা আর ভড়ি প্রায়ই সমান। ৭.৫ তোলা স্বর্ণ বা ৫২.৫ তোলা রোপ্য থাকলে তার উপর যাকাত আসবে।
(৩)
শেয়ার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/841
(৪)
কোনো সুন্নতকে যদি কেউ নিজে পালন করে না, তবে উক্ত সুন্নতকে সে অস্বীকারও করে না,অপছন্দও করে না। তাহলে এমনটা নিন্দনীয় কিছু নয়।হ্যা, প্রত্যেকের উচিত যথাসম্ভব সুন্নতকে পালন করে নেয়া।
(৫)
যেহেতু ঈমান ভঙ্গ হওয়া সম্পর্কে সে নিশ্চিত জানেনা, তবে সে আম ভাবে সর্বদা তাওবাহ করে থাকে, তাহলে এমতাবস্থায় আশা করা যায় যে, তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
(৬)
দাস প্রথা বিলুপ্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে।সুতরাং এর আবার দলীল কি? এটাতো ইসলাম নিষিদ্ধ করেনি।হ্যা,ইসলাম অবশ্যই নিরোৎসাহিত করেছে।দাস প্রথা না থাকার জন্য বিভিন্ন অপরাধের শাস্তি গোলাম আযাদ করাকে করা হয়েছে।