আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
735 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
السلام عليكم ورحمه الله وبركاته
মুহতারাম,

إن الله خلق آدم على صورته (অর্থাৎ, নিশ্চয় আল্লাহ আদমকে তাঁর নিজ আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন।)
এখানে এই হাদিসের ব্যাখ্যা কি? জৈনক এক সালাফী আলেম এর ব্যাখ্যায় বলেছেন যে আল্লাহ তায়লা তার নিজের সুরাতেই আদম(আ:) কে সৃষ্টি করেছেন....সে এর প্রমাণে আরেকটি হাদিস নিয়ে এসেছে। সে বলেছে - আরেকটি সহিহ হাদিসে নাকি আছে "আল্লাহ তায়ালা আদমকে সৃষ্টি করেছেন রহমানের অর্থাৎ আল্লাহর আকৃতিতে" । তার এ ব্যাখ্যা কতটুকু সঠিক। সে আরো বলেছে যে আল্লাহ তায়লা মানুষের চেহারায় মারতে নিষেধ করেছেন। সে এর ব্যাখ্যায় বলেছে যে আল্লাহ তাআলার চেহারা আছে তাই আল্লাহ মানুষের চেহারায় মারতেও নিষেধ করেছেন। নাউজুবিল্লাহ। তার এ ব্যাখ্যা কতটুকু সঠিক। আল্লাহর সাথে মানুষের নাকি আকৃতিতে অনেক সাদৃশ্য আছে সে এটা বলছে। যেমন আল্লাহতালার নাকি হাত আছে, পা আছে, চেহারা আছে, হাতের কব্জি আছে ইত্যাদি। এগুলো নাকি সহিহ হাদিসের বর্ণনায় এসেছে। আল্লাহ তায়ালা নাকি এই সাদৃশ্যের কথাই উল্লেখ করেছেন বিভিন্ন জায়গায় - ঐ জৈনক সালাফি আলেম এমনটা বলেছে। যদিও সে বলেছে - "আমরা কখনো এখানে আল্লাহর প্রকৃত আকৃতি কিরকম তা ব্যাখ্যা করিনা। এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রকৃত অবস্থা কিরকম সেটা আমরা জানিনা বা বলিও না। আমার শুধু এগুলো যে আছে তা বিশ্বাস করি। আল্লাহ যেভাবে বলেছেন সেভাবেই বিশ্বাস করি।"
দয়া করে বিস্তারিত জানাবেন।
ধন্যবাদ।

ভিডিওর লিংক : https://youtu.be/oNluZYiEOMo

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি যা উল্লেখ করেছেন, সে সম্পর্কে আমাদের তেমন জানা নেই। আল্লাহর সাদৃশ্য কোনো জিনিষ নাই।

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন।করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...