আসসালামু আলাইকুম
আমি অনেক বেশি মাত্রায় ওয়াসওয়াসাজনিত সমস্যায় ভুগছি। নামাজ, ওযু, পবিত্রতা সব নিয়েই। নামাজে মনে হয় ভুল পড়লাম কিনা, বায়ু বের হলো কিনা, বা কোন এক জায়গা থেকে নাপাক সমস্ত জামাকাপড় থেকে চুলে পর্যন্ত ছড়িয়ে গেল কিনা এমন। এখন কোনটা শয়তানের ওয়াসওয়াসা আর কোনটা আসলেও হচ্ছে তা বুঝতে পারিনা। কারণ অনেক জায়গায় নাপাক লাগছে বলে মনে হলেও অনেক সময় চিহ্ন পাইনা, আবার মনে হয় যে চিহ্ন শুকিয়েও যেতে পারে কিন্তু হয়তো নাপাক ছিল। এতকিছুর মাঝে নামায পড়া খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
আমি কি কিছুদিন সবকিছুকেই শয়তান এর ওয়াসওয়াসা ধরে নিয়ে নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করতে পারি? আপনাদের মত জানতে চাচ্ছিলাম।
আমার আরো কিছু প্রশ্ন ছিল। এত বড় প্রশ্নের জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।
১। আমার প্রস্রাব/পায়খানার পরে পরিষ্কার হওয়ার সময় নাপাক পানির ছিটা কোথায় লাগে কিনা সন্দেহ হয় বলে আমি প্রতিবার পুরো নিচের অংশ ধুয়ে বের হই। এতে পানির অনেক বেশি খরচ হয়।
এভাবে না ধুয়ে বরং হাতে পানি নিয়ে মাসেহ করে দিলে কি এই ছিটেফোটার নাপাকি দূর হবে?
২। বাচ্চারা যে তোশকে প্রস্রাব করে, বা তোষকে প্রস্রাবজাতীয় নাপাকি লাগলে সেই তোশক শুকিয়ে নিলেই কি পাক হয়ে যায়? পরবর্তীতে তোশকে ভেজা কিছু লাগলে কি তা নাপাক হয়ে যায়? (সেই তোশকের উপর চাদর পারলে, চাদর ভিজলে কি চাদরও নাপাক?)
৩। পায়জামায় প্রস্রাবের ছিটেফোঁটা থাকলে বা প্রস্রাব লাগলে, সেই পায়জামা নিয়ে কাঠের চেয়ারে বসলে বা অন্য ফার্নিচার এর সাথে লাগলে তা ভিজা ন্যাকড়া দিয়ে মুছে দেয়া কি যথেষ্ট?
৪। নাপাক জিনিসের উপর হালকা ঘর্মাক্ত হাত/পা লাগলে হাত/পা নাপাক হয়ে যায়?
৫। এক ফোটা প্রস্রাব পায়জামায় লাগলে কি তা জামা/বিছানার সাথে ছোয়া লেগে তা ও নাপাক হয়ে যায়?
আবারো মাফ চেয়ে নিচ্ছি এত বড় প্রশ্নের জন্যে। দয়া করে জবাব দিবেন। আর আমার জন্যে দোয়া করবেন যাতে সুস্থ হয়ে যেতে পারি ইন শা আল্লাহ।