আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
1,448 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আমার arrange marreige.আমি আমার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসি।সে অনেক ভদ্র, সুশীল ও গুনী মেয়ে। আমাদের ২বছরের সংসার। আমি ও আমার স্ত্রী আমার বাবা মার সাথেই থাকি। কিন্তু আমার বাবা মা আমার স্ত্রী ও তার বাবা মা কে সহ্য করতে পারে না। আমার স্ত্রীর উপর মানসিক অত্যাচার করে। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে তার মার বাড়িতে যেতে দেয় না ও তাদের সাথে কোন সম্পর্ক রাখতে দেয় না।আমার স্ত্রী তার সর্বোচ্চ দিয়ে আমার বাবা মার মন জয় করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ। এখন আমার বাবা মা আমার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে এবং শর্ত দিয়েছে আমার স্ত্রী যদি তার বাবা মা কে চিরজীবনের জন্য ত্যাগ করে তবেই সে সংসার করতে পারবে ।আর যদি তা না করে এবং আমি তবুও যদি তাকে নিয়ে সংসার করি তাহলে তারা আমাকে ত্যায্যপূএ করবে।এখন আমি কি করব?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 
,
শরীয়তের বিধান হলো শরয়ী ওযর ব্যাতিত স্ত্রীকে তালাক দেওয়া জায়েয নয়। 
 কেহ যদি তার স্ত্রীকে শরয়ী কারন ছাড়াই তালাক দেয়,তাহলে সে গুনাহগার হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছে  
ابغض المباح الی اللہ الطلاق
) سنن ابی داؤد ج۱ ص۳۰۳ (طبع مکتبہ امدادیہ ملتان)
রাসুল সাঃ বলেন  আল্লাহর নিকট হালাল বস্তু গুলোর মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম বস্তু হলো তালাক।
(আবু দাউদ ১/৩০৩)

পিতা মাতার বৈধ বিধান তরক করলে গোনাহ হবে।
তবে শরীয়ত বহির্ভূত কোনো আদেশ করলে পিতা মাতা সহ কারো আদেশকে মান্য করা যাবে না।

কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।
ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ

আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)
,
তাফসীর ‘দুররে মানসূর’ গ্রন্থে রয়েছে, হযরত হাসান (রা)-কে কেউ জিজ্ঞাসা করলো, মাতাপিতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার কিভাবে করা হবে? তিনি জবাবে বললেন, “তুমি তাদের প্রয়োজনে নিজের সম্পদ বিলিয়ে দেবে এবং তোমাকে তারা যে-নির্দেশ দেবে তা পালন করবে। তবে হ্যাঁ, কোনো পাপকর্মের আদেশ দিলে তা মান্য করবে না।
,
সুতরাং পিতা মাতা যদি কোনো শরয়ী কারন ছাড়াই তার স্ত্রীকে   তালাক দিতে বলে,তাহলে এই আদেশ মানা যাবেনা।
এটা গুনাহের আদেশ,কোনোভাবেই পিতামাতার গুনাহের আদেশ মানা যাবেনা।
এহেন ছুরতে স্বামী তার পিতা মাতাকে আপ্রান  চেষ্টা করে বুঝাতে থাকবে।

যদি তারা না বুঝে,তারপরেও কোনো ভাবেই স্ত্রীকে তালাক দিবেনা।
 (ফাতাওয়ায়ে উসমানী ১/১৯২,
ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৪৪৯) 
,
★★তবে বাবা মা যদি শরয়ী কোনো কারনে তালাক দিতে বলে,তাহলে তালাক দিতে হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে   
عَنْ مُعَاذٍ قَالَ: أَوْصَانِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَشْرِ كَلِمَاتٍ قَالَ: ” لَا تُشْرِكْ بِاللهِ شَيْئًا وَإِنْ قُتِلْتَ وَحُرِّقْتَ، وَلَا تَعُقَّنَّ وَالِدَيْكَ، وَإِنْ أَمَرَاكَ أَنْ تَخْرُجَ مِنْ أَهْلِكَ وَمَالِكَ،

হযরত মুয়াজ রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাঃ আমাকে দশটি বিষয়ে ওসিয়ত করেছেন। তিনি বলেছেন, তুমি নিহত বা দগ্ধও হয়ে যাও তবু আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করো না। যদি তোমার পরিবার ও সম্পদও ছেড়ে দিতে আদেশ দেন পিতা-মাতা তবু তাদের অবাধ্য হয়ো না। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২২০৭৫}

عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَتْ لِي امْرَأَةٌ كُنْتُ أُحِبُّهَا، وَكَانَ أَبِي يَكْرَهُهَا، فَقَالَ لِي: طَلِّقْهَا، فَأَبَيْتُ، فَأَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ، فَقَالَ: «طَلِّقْهَا» فَطَلَّقْتُهَا
হযরত আব্দুল্লাহ বিন উমর রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার একজন স্ত্রী ছিল। যাকে আমি ভালবাসতাম। কিন্তু আমার পিতা [হযরত উমর বিন খাত্তাব রাঃ] তাকে পছন্দ করতো না। তিনি আমাকে বললেন, তাকে তালাক দিতে।কিন্তু আমি তালাক প্রদান করতে অস্বিকৃতি জানালাম। তখন আমার পিতা রাসূল সাঃ এর কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করলে রাসূল সাঃ বললেন, তাকে তালাক দিয়ে দিতে। ফলে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করি। {মুসনাদে আবু দাউদ তায়ালিসী, হাদীস নং-১৯৩১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৭১২, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৫১৩৮}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
শেষ হাদীসটি তো আবার ভিন্ন ইঙ্গিত দিল।

পিতার অপছন্দ তাই তালাক দিতে বলায় তালাক দিতে হলো।

এর ব্যাখ্যা কী?
আল্লাহু আ'লাম
by (565,890 points)
এখানে তো স্বয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ এর আদেশ ছিলো,যাহা মানা উম্মতের উপর আবশ্যক। 
সেই ভিত্তিতে উক্ত ছাহাবি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছিলেন।

এবং এখানে তালাক দেয়ার পক্ষে শরয়ী ওযরও ছিলো। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...