আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
262 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ। ১)হায়েজ অবস্থায় তালিমে কি কোরানের কোন নির্দিষ্ট একটি আয়াত তিলাওয়াত এর মত করে কি বলা যাবে?

২)বাসায় বয়স্ক মা বাবা থাকলে কি ইতেকাফ করলে মেয়েদের গুনাহ হবে?ইতেকাফ অবস্থায় কি মেয়েরা ঘরের কাজে সাহায্য করতে পারবে?

৩)এক বোন জানতে চেয়েছে, সে বারবার পিতামাতার সাথে অনিচ্ছাকৃত খারাপ আচরণ করে ফেলে।বলে রাখা ভাল, তার পরিবার দ্বীনদার নই, যার জন্য অই বোনের সাথে নানারকম কথায়, আচরণে অনেক রূঢ় আচরণ করে, ফলে সেও সবর রাখতে পারে না।বারবার তওবা করছে, কিভাবে সে উত্তম আখলাক করবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/7218 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/793
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে। জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।
হযরত ইবনে উমর রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عمر رضي الله عنهما أن النبي صلى الله عليه وسلم  قال : " لا تقرأ الحائض ولا الجنب شيئاً من القرآن
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,হায়েযা এবং জুনবী ব্যক্তি কুরআন থেকে কিছুই পড়তে পারবে না।(সুনানু তিরমিযি-১৩১) বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/389

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াতও করা যাবে না। হ্যা, দু'আর নিয়তে বিশেষ কিছু আয়াতকে পড়া যাবে।তবে এক্ষেত্রে তিলাওয়াতের মত না পড়ে বরং দু'আর মতই পড়তে হবে।

(২)
বাসায় বয়স্ক মা বাবা থাকলে তাদের অনুমতিক্রমে মেয়েরা ইতেকাফ করতে পারবে।ইতিকাফে বসে ঘরের কাজ কাম করা যাবে না। আর মাতাপিতা নিষেধ করলে তখন কিন্তু ইতিকাফ করা যাবে না।বরং তখন মাতাপিতার ইবাদতই করতে হবে।

(৩)
সে তার মাতাপিতার নিকট ক্ষমা চাইবে।আল্লাহর কাছেও ক্ষমা চাইবে।ভবিষ্যতে সে আর এরকম কাজ করবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...