আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
220 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

১/আমি আমার স্ত্রীকে বলছি  ঘুম থেকে উঠে হাত না ধুয়ে ওযুর পাত্রে হাত দিতে নিষেধ করছে বলিনি যে রাসূলুল্লাহ সাঃ বলছে সে আমার সাথে রাগ করে আমাকে উদ্দেশ্য করে বলছে  কত কিছু বিচরাও চুপ থাক কথা বলবানা।এর দ্বারা কি সে কুফরি কাজ করছে

২/আমার স্ত্রী আমার সাথে দুষ্টামি করে আমার লজ্জাস্থান নারিয়ে আল্লাহর যিকির করে আমি নিষেধ করায় আবার করছে তারপর আমি জিজ্ঞেস করি তুমি কি আল্লাহর নাম কে অবজ্ঞার জন্য এই কাজ করছ সে বলছে না। আমিত জানিনা এভাবে করলে আল্লাহর নাম কে অসম্মান হতে পারে তাহলে কি তার ইমান ঠিক আছে

৩/যদি কোনো কুফরি কাজ অন্তরে আসে ওসওয়াসার কারনে সুধুমাত্র সেই কথা মুখ দিয়ে উচ্চারন করলে বা সেই কাজটা বাস্তবে করলে কি কাফের হয়ে যাবে।

 ৪/যদি অন্তরে কুফরি চিন্তা থাকে মুখ দিয়ে সেই কথাটা না বের হয়ে এমনিতেই জিহ্বা ঠোট নরে এবং লজ্জাস্থান চুলকানো  বাস্তবে সেই কাজ সেই নিয়তে না করে অন্য কাজ করা হয় তাহলে কি  কুফরি হবে

৫/আমি ওসওয়াসা রোগী বেশির ভাগ  কাজে সন্দেহ হয় এইটা কুফরি কাজ ঐটা কি কুফরি কাজ অনেক মানুষিক যন্ত্রণায় আছি এখন আমি যদি সিওর না হই এই কাজটা কুফরি তাহলে কি করতে পারবো

৬/কোরআন তেলাওয়াত করতে ছিলো ইফতারের সময় প্রায় ঘনিয়ে আসছে সরবত বানাতে হবে সেই সময় অন্তরে যিদ ছিলো তবে বানাতে যায় এই উদ্দেশ্য নিয়ে যে আওয়াজ করবো না দেখি আওয়াজ হয় বানানো বন্ধ করে দেই পরে আবার যাই আস্তে আস্তে নারব বলে দেখি আওয়াজ হলে বন্ধ করে দেই এই কাজটা কুফরি হবে কি?

৭/একজন ঘরে নামাজে ছিলো তার পাশ দিয়ে গিয়ে পাঞ্জাবি আনতে হবে আমি এই  উদ্দেশ্য নিয়ে পাঞ্জাবি আনতে পারব তার শরিরে লাগবে না কিন্তু সে সিজদায় থাকা অবস্থায় আমার পা তার হাতে লাগে এবং আসার সময় শরিরের অন্য যায়গায় গিয়ে লাগে  এই কাজ টা নামাজ কে অসম্মান করা ও কুফরি কাজ হয়েছে

৮/আমিত বেশির ভাগ  জানি না যে কোন কাজটা হালাল আর কোনটা হারাম।আমি ওসওয়াসা রোগী হালাল অথবা হারাম  জানা না থাকরে সব কাজেই খটকা লাগে।।আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি সিওর না হই এই কাজটা হারাম তাহলে কি করা যাবে?

৯/কোনো এক আলেম কে যেই রকম প্রশ্ন করলে উনি খুশি হবে সেই নিয়তে প্রশ্ন করলে কি শিরক হবে?
আর যদি শিরক হতে পারে এই কথাটা শরন হয় প্রশ্ন করার পর শরন হয় তাহলে কি শিরক  কাজ হবে

১০/আমাদের ইমাম  বিদ,আত পন্থি উনি কোনো  মাসআলা বললে আমল করিনা যতক্ষণ না কোনো কওমি আলেম বলবে যে এইটা করা যাবে। কিন্তু মাঝে মাঝে উনার সাথে সম্পর্ক ভালো রাখার ও বনাক খুশি করার জন্য প্রশ্ন করি তাহলে কি শিরক হবে?

১১/আমাদের ইমাম বিদ,আত পন্থী তার পিছনে নামাজ হবে কি অন্য কোনো মসজিদে আগে গিয়ে ছিলাম অনেক ফিতনা হয়েছিল ? ঘরে পরলেও ফিতনা হয়। আমি বেকার তাই বারিতে থাকি অন্য কোথায় যাই কম এখন সেই ইমামের পিছনে নামাজ জায়েজ হবে কি?

১২/আমাদের ইমাম মোনাজাতে দুরুদ ও সালাম পাঠ করার পরে এইভাবে বলে নবিজি সঃ আপনি আমাদের দোয়ার বেপারে আল্লাহর কাছে সুবারিস করুন।কারন জিজ্ঞেস  করায় বলছে যে ফিরিস্তারা দুরুদ ও সালাম নবিজি সঃ কাছে পোছায় দেয় সেই সাথে এই দোয়াটা পৌঁছে দেয়।পোটলার সাথে গিট্টাও যায় এই কাজ কি শিরক হবে।

১৩/ভুলে বা সরন না থাকে আর যদি জানা না থাকে এই কাজটা করলে  শিরক বা কুফরি কাজ হবে সেই কাজ করলে কি ইমান চলে যায়

১৪/ আমি নাপাকি নিয়ে মারাত্মক ওসওয়াসা আছি এই কারনে আমার স্ত্রী আমার উপর খেপা স্ত্রীর কাপড়ে নাপাক লাগার সন্দেহ হয়  স্ত্রীকে  খেপানোর উদ্দেশ্য করে  তিনবার কাপড় দোয়ার বেপারে বেখালে হাসি মুখে  মজা করে বলছি যে পাতলা পাঞ্জাবি জোরে চিপ দিলে  ছিরে যাবে  যখন মনে হল শরীয়তের কোনো বিষয় নিয়ে হাসি ঠাট্টা করছি কিনা তখনও মুখে হাসি ছিলো হাসি বন্ধ করব কিনা দিধাদন্ধে ছিলাম এখন কি আমার ইমান চলে গেছে।

১৫/মোবাইল টিপিতেছিলাম নামাজে যাওয়ার জন্য ইস্তেঞ্জা জুরুরি ছিল দেরি করলে যোহরের চার রাকাআত সুন্নত নামাজ আগে পরতে পারব না তখন মনে হটাৎ করে আমার মনে হয় ওসওয়াসার কারনে যিদ উঠে মনে মনে  বলছি যে যামুনা এবং বসে থাকি সাথে সাথে মনে হল কাজটা কুফরি নাকি তখন সাথে সাথে উঠে চলে যাই ইস্তেঞ্জার জন্য। এই কারনে  কি আমার কুফরির গুনাহ হবে ।

১৬/কোনো এক লোকের নিকট টাকা না গীবত ও অন্যন্য ছোট খাটো জুলুম ছিল  যখন তার কাছে মাফ চাই সে বলে তাকে রেস্টুরেন্টে খাওয়ালে মাফ করবে না হলে মাফ করবেনা আমি বলছি মজা করছ সে বলছে যে সিরিয়াস এখন মাফ পেতে হলে কি তাকে রেস্টুরেন্টে খাওয়াতে হবে।

১৭/কেউ কোরআন তেলাওয়াত করলে কি শোনা  ওয়াজিব না শোনলে বা অন্য কোনো কাজ করলে কি গুনাহ হবে
by


৬/ আমাদের ঘরে একজন কোরআন তেলাওয়াত করতে ছিলো ইফতারের সময় প্রায় ঘনিয়ে আসছে সরবত বানাতে হবে।কোরআন তিলাওয়াত এর কারনে বানাতে পারছিলাম না সেই কারনে সেই সময়  অন্তরে যিদ ছিলো বানাতে যায় তবে এই উদ্দেশ্য নিয়ে যে আওয়াজ করবো না বানাতে গিয়ে  দেখি আওয়াজ হয় বানানো বন্ধ করে দেই। পরে আবার যাই আস্তে আস্তে নারব বলে দেখি আওয়াজ হলে বন্ধ করে দেই।এইজে কোরআন তিলাওয়াত শোনার কারনে যিদ উঠে ছিলো  এই কাজটা কুফরি হবে কি ?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/669 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!
তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন। (মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
কুফরি হবে না।

(২)
কুফরি হবে না।

(৩)
কুফরি হবে না।

(৪)
কুফরি হবে না।

(৫)
যদি ঐ কাজ সম্পর্কে নিশ্চিত না হওয়া যায় যে, তা কুফরি কাজ।তাহলে ঐ কাজ করা যাবে।

(৬)
প্রশ্নটি সম্পূর্ণই অস্পষ্ট। কমেন্টে স্পষ্ট করে লিখবেন।

(৭)
না, কুফরি হবে না।

(৮)
জ্বী, আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখবেন।

(৯)
না, শিরক হবে না।

(১০)
না,শিরক হবে না।

(১১)
না, শিরক হবে না।

(১২)
ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(১৩)
না, ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না

(১৪)
শিরক হবে না।

(১৫)
না, গোনাহ হবে না।

(১৬)
যেভাবেই হোক, মাফ করিয়ে নিবেন।

(১৭)
জ্বী, শ্রবণ ওয়াজিব।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...