আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
161 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হজরত,

কোনো হিন্দু ভাই যদি মুসলিম কোনো ভাইকে  সালাম দেয় ,তাহলে তখন ঐ মুসলিম ভাই কী করবে...

আর অনেক মুসলিম ভাই হিন্দু ভাইকে দেখলে বলে ,যে দাদা আদাব..এই কাজটি করা কী ঠিক কি-না?

এ সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলবেন উস্তাদ..

 ্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্্

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

ইবাদত বন্দেগির মত মুআমেলা ও মুআশারার ক্ষেত্রেও ইসলাম ধর্মের রয়েছে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাতন্ত্র। বিধর্মীদের সাথে উঠা বসা এবং লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে ইসলামের সুুনির্দিষ্ট নীতিমালা। 
,
সালাম ইসলামের সৌন্দর্য, একজন মুসলিম ভাইয়ের উপর অপর মুসলিম ভাইয়ের হক ও অধিকার। সুতরাং সালাম শুধু এক মুসলিম ভাই আরেক মুসলিম ভাইকেই দিতে পারবে। কোনো অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে না।

এ মর্মে রাসূলুল্লাহ ﷺ স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন,لا تبدءوا اليهود ولا النصارى بالسلام ‘তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’ (মুসলিম ২১৬৭)

 তবে সে আগে সালাম দিয়ে ফেললে উত্তরে ‘অয়া আলাইকুম’ বা ইয়াহদীকুমুল্লাহ’ অথবা “আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’ বলবে। 

কেননা, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, ﺇﺫﺍ ﺳﻠﻢ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺃﻫﻞ ﺍﻟﻜﺘﺎﺏ ﻓﻘﻮﻟﻮﺍ ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ‘আহলে কিতাবগণ তোমাদের সালাম দিলে, তার উত্তরে তোমরা শুধু ‘অয়া আলাইকুম’ বলবে।’  (বুখারি ৬২৫৮ মুসলিম ২১৬৭)

তাদের সাথে সাক্ষাৎ হলে সৌজন্য প্রদর্শন স্বরূপ তার কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে বা  অন্য কোনভাবে যেমন হাতের দ্বারা ইশারা করে কুশলবিনিময় করার অবকাশ রয়েছে। তাকে দাদা আদাবও বলা যেতে পরে। তবে কোন ভাবেই তাকে নমস্কার বা নমস্তে বলা যাবে না। (রহীমীয়া, ৬/১২৬  কিফায়াতুল মুফতী ৯/১০৬)

কেননা, নমস্কার’ বা ‘নমস্তে’ শব্দটি হিন্দুদের বিশেষ সম্ভাষণবাচক শব্দ। সুতরাং এ শব্দ বলে কোনো হিন্দুকে সম্ভাষণ করা যাবে না। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ১/৫৪)

★উল্লেখ্য যে, সাধারন অবস্থায় কাফেরদেরকে নিজের থেকে সালাম দেওয়া জয়েয নয়। কিন্তু যদি এমন কোন বিশেষ পরিস্থিতি দেখা দেয়, যখন সালাম দেওয়ার ভেতর দ্বীনী স্বার্থ হাসিলের আশা থাকে। তবে ‘আল্লাহ’ তাকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দিয়ে শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে রাখুন’- এই নিয়তে কাফেরকে সালাম দেওয়ার অবকাশ আছে।
তখন যথাসম্ভব  আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা বলবে।
প্রয়োজনবশত আসসালামু আলাইকুম বলাও  জায়েজ আছে। 

হাদীস শরীফে এসেছে  
أخرج مسلم برقم 13 – ( 2167 )  عن أبي هريرة أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال لا تبدؤوا اليهود ولا النصارى بالسلام … 
রাসুল সাঃ বলেনঃ  তোমরা ইয়াহূদী ও খৃষ্টানদের প্রথমে সালাম দেবে না।’

وأخرج البخارى (6258 ) ومسلم 6 ( 2163 ) عن  أنس بن مالك أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال إذا سلم عليكم أهل الكتاب فقولوا وعليكم . 
রাসুল সাঃ বলেনঃ  আহলে কিতাবগণ তোমাদের সালাম দিলে, তার উত্তরে তোমরা শুধু ‘অয়া আলাইকুম’ বলবে।’ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে   
وفى رد المحتار ( ويسلم) المسلم ( على أهل الذمة ) لو له حاجة إليه وإلا كره هو الصحيح –فصل فى البيع. 
যদি কোনো প্রয়োজন বশত হয়,তাহলে কাফেরকে সালাম দেওয়া যাবে।
অন্যথায় তাদেরকে সালাম জানানো মাকরুহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...