আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكِحَ
الرَّجُلُ أُمَّهُ
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুদ (পাপের দিক থেকে) ৭০ প্রকার। এর মধ্যে সবচেয়ে ছোট (পাপের) সুদ হল মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করা! (অর্থাৎ সুদ খাওয়ার গোনাহ মায়ের সাথে ব্যভিচার করার চেয়ে ৭০ গুণ বেশী।)
(ইবনে মাজাহ ২২৭৪ , হাকেম ২/৩৭, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান ৫৫২০-৫৫২২, ইবনে আবী শাইবাহ ২২০০৫, সহীহ তারগীব ১৮৫৮)
অপর হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ ইবন হানযালা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
دِرْهَمٌ رِبًا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَثَلَاثِينَ زَنْيَةً
জেনে-শুনে এক দিরহাম পরিমাণ সুদ খাওয়া আল্লাহর নিকট ৩৬ জন নারীর সাথে ব্যভিচারের চাইতে অধিক গুনাহের কাজ। (মুসনাদে আহমাদ ২১৪৫০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে উভয়টিই কবিরা গুনাহ।
সুদের গুনাহ যেনার চেয়ে মারাত্মক বলতে এখানে যেনার থেকে বেশি গুনাহ উদ্দেশ্য নয়।
বরং এখানে উদ্দেশ্য হলোঃ
মানুষ যেমন যেনাকে অনেক মারাত্মক গুনাহ বলে মনে করে,সুদকেও যেনো মানুষ মারাত্মক গুনাহ বলে মনে করে ছেড়ে দেয়,এই জন্যই সাদৃশ্যতা দেয়া হয়েছে।
এটি কোনো ভাবেই নয় যে যেনা থেকেও সুদ বড় গুনাহ,বা যেনার গুনাহ সুদ থেকে কম।
এগুলো উদ্দেশ্য নয়।
,
এখানে মানুষকে সূদের ভয়াবহতা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।