আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
228 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
edited by
১৷ স্বপ্নদোষের মাধ্যমে কাপড় নাপাক হলে চাদর কিছুদিন পর পরিবর্তন করা হয়, ঢাকায় থাকলে কাজের মহিলা কেচে দেয়৷ বাড়িতে বাবা কাপড় কাচে৷ তোষক আর ধোয়া হয়না, শুধু বিছানায় রেখে শুকানো হয়৷ কাপড় কাচার কথা বাবাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলে ভালো করেই কেচে দেয়৷ তিনি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন৷ কিন্তু কাজের মহিলাকে তো আর নাপাক কাপড় কাচার তিনবার ধোয়ার কথা বলা যায় না৷ এরপরো কি চাঁদর পাক হিসেবে মেনে নেবো? আবার আমার হাতের চামড়া পাতলা হওয়ায় মোটা কাপড় চিপড়াতে পারি না৷ চামড়া ছুলে যায়৷
২৷ এখানকার গরমে প্রায় শরীরের নিচের অংশও ঘামে, আবার টয়লেট থেকে বের হলেও গোপনাংগ, পশ্চাৎপদ ভেজা থাকে৷ আর ভেজা হাত দিয়ে লুংগি ধরায় তা কিছুটা ভেজা হয়৷ এ অবস্থায় বিছানায় শুলে কি আবার নাপাক হয়ে যেতে হবে? মানে তোষকে তো আগে নাপাক শুকিয়ে ছিল৷ আর এ নাপাক আদ্রতার কারণে বের হয়ে আসে৷ কিন্তু এটুকু পানির জন্য শুক্নো নাপাক থেকে নাপাক আসছে কিনা বোঝা তো যায় না৷ এর জন্য নাপাক হতে হবে! বাড়িতে এটা নিয়ে কথা বললে অনেক কথা শোনায়, কারণ আমার শুচিবায়ু সমস্যা অনেক, এসব নিয়ে অনেক চিন্তা আর সময় নষ্ট হয়৷
৩৷ আমি ফরয গোসলের পরে যতদূর পারি বাথরুমের ফ্লোরে পানি ঢেলে দিয়ে পরিস্কার করার চেষ্টা করি৷ তারপরো সন্দেহ হয়, নাপাক থেকে গেল কিনা। এরপর যখন পরবর্তিতে ফ্লোরে পাড়া দিয়ে তখন কি নাপাক চলে আসবে, কিন্তু আমি তো নিশ্চিত না পুরো নাপাক চলে গেছে কিনা৷ এটার জন্য যখনই বাথরুম যায়, ফ্লোর না পাড়া দিয়ে যতকষ্ট হোক পা দিয়ে স্যান্ডেল টেনে এনে তার উপর পাড়া দি৷ আর অন্য কেউ টয়লেট গেলে তো ফ্লোরে পাড়া দেয়, আবার স্যান্ডেল পড়ে৷ তাই আমি স্যান্ডেল পরলে নাপাকির ভয়ে আবার পা আর স্যান্ডেল ধুয়ে দি পা উচু করে৷ তখন এক ফোটা পানি ছিটে আসলে মনে হয়, নালাক ছিল৷ তাই আবার শুরু থেকে ধুতে হয়, অনেক পানি নষ্ট হয়৷ বাড়িতে কথা শুনছি। সমাধান দিন৷

৪৷ আমি নখ ৬-৭ দিন পরে কেটে দি৷ এরমধ্যে নখে হয়ত নাপাক কাপড় কাচার সময় সাবান ফেনা নখে ঢোকে, তাতে সবসময় নাপাক থাকে কিনা তা তো বোঝা যায় না৷ এরপর নখে যা কিছু গুতা লাগে, মনে হয় সেটা নাপাক হয়ে গেল৷ যেমন মানিব্যাগে, মোবাইলে নখের আচড় লাগলে মনে হয় নাপাকি চলে আসল৷ এই ৬-৭ দিনের নখের জন্য কি নাপাকি আসবে?


৫৷ আমার তোষকে আগে স্বপ্নদোষের নাপাক ছিল শুকনা এর উপরে নতুন পরিস্কার পবিত্র শুকনা চাঁদর বিছানো আছে৷ আমার ভাইয়ের হাতে হয়ত হালকা ভেজা ছিল৷ ওই অবস্থায় বিছানার পরে শুকনা কাপড় রেখে ভাজ করে ব্যাগ গুছায়ছে৷ রুমে ফ্যান চালু ছিল৷ সে চলে যাবার পরে বিছানার চাঁদর দেখে শুকনা মনে হল৷ আর ঠিক নাপাক জায়গায় তার হাত লাগছে কিনা নিশ্চিত না৷  এক্ষেত্রে বিছানার উপরে গুছানো কাপড়গুলো পবিত্র হিসেবে ধরবো?

1 Answer

0 votes
by (59,970 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

কাপড়ে অপবিত্র জিনিষ লেগে উক্ত কাপড়কে অপবিত্র করে ফেলে। যাকে আরবীতে নাজাসত বলে।

 

নাজাসত দুই প্রকার

 

নাজাসাতে গালিজাহ

নাজাসাতে খাফিফাহ

 

প্রথম প্রকারঃ নাজাসতে গালিজাহ

যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,

وَهِيَ نَوْعَانِ (الْأَوَّلُ) الْمُغَلَّظَةُ وَعُفِيَ مِنْهَا قَدْرُ الدِّرْهَمِ

নাজসতে গালিজাহ যা এক দিরহাম পরিমাণ হলে ক্ষমাযোগ্য।

 

(নাজাসতে গালিজাহ কি কি?)

সে সম্পর্কে বলা হয়,

كل ما يخرج من بدن الإنسان ... إذا كان سائلا. كذا في الظهيرية فإذا أصاب الثوب أكثر من قدر الدرهم يمنع جواز الصلاة. كذا في المحيط.

ভাবার্থঃ-ঐ সমস্ত জিনিষ যা মানুষের শরীর থেকে বের হয়ে ওজু গোসলকে ওয়াজিব করে দেয়। তা হল নাজাসতে গালিজাহ,যেমনঃ- পায়খানা,পেশাব,বীর্য, মযি(বীর্যের পূর্বে যা বাহির হয়),ওদি(প্রস্রাবের সময় যা বাহির হয়)ফুঁজ,বমি যখন তা মুখ ভরে হয়,(বাহরুর রায়েক)এবং আরো ও নাজাসতে গালিজাহ হল যথাক্রমে-হায়েয ও নেফাসের রক্ত,ছোট্ট বালক/বালিকার প্রস্রাব তারা আহার করুক বা না করুক। মদ,প্রবাহিত রক্ত,মৃত জানোয়ারের গোসত,ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব ও গোবর যাদের গোস্ত ভক্ষণ হারাম।গরুর গোবর,কুকুরের বিষ্টা, মোরগ এবং হাস ও পানী হাসের বিষ্ঠা। হিংস প্রাণীর বিষ্টা,বিড়ালের বিষ্টা,ইদুরের বিষ্টা। বিড়াল এবং ইদুরের প্রস্রাব যদি কাপড়ে লাগে তবে কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরামগণ মনে করেন যে,যদি তা এক দিরহামের বেশী হয় তবে নাপাক আর কিছুসংখ্যক না করেন। সাপের বিষ্টা,ও প্রস্রাব। জোকের বিষ্টা। আঠালো ও টিকটিকির রক্ত যদি তা প্রবাহিত হয়। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)

 

নাজাসতে গালিজাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে, এক দিরহাম (তথা বর্তমান সময়ের পাঁচ টাকার সিকি)পরিমাণ বা তার চেয়ে কম হলে, উক্ত কাপড়ের সাথে নামায বিশুদ্ধ হবে। যদিও তা ধৌত করা উত্তম যদি সময়-সুযোগ থাকে।

 

দ্বিতীয় প্রকারঃ নাজাসতে খাফিফাহ

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে

(والثاني المخففة) وعفي منها ما دون ربع الثوب. ....كذا في البحر الرائق وبول ما يؤكل لحمه والفرس وخرء طير لا يؤكل مخفف هكذا في الكنز.

ভাবার্থঃ নাজাসতে খাফিফাহ, যা এক চতুর্থাংশের কম হলে ক্ষমাযোগ্য। চতুর্থাংশ কিসের? সেটা নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ বলেন,কাপড় বা শরীরের যে অংশে নাজাসত লাগবে তার চতুর্থাংশ উদ্দেশ্য যেমন,আস্তিন,হাতা,এবং হাত পাঁ ইত্যাদি। এটাই বিশুদ্ধ মত।ঐ সমস্ত প্রাণীর প্রস্রাব যেগুলোর গোস্ত ভক্ষণ করা হালাল,এবং ঐ সমস্ত পাখীর বিষ্টা যেগুলোর গোসত ভক্ষণ করা হারাম। এগুলা হল নাজাসতে খাফিফাহ। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৬)

 

নাজাসতে খাফিফাহ কাপড় বা শরীরে লাগলে এক চতু্র্থাংশ পর্যন্ত মাফ। তথা ঐ কাপড় পরিধান করে নামাজ পড়লে নামায বিশুদ্ধ হবে। যদিও তা ধৌত করা উত্তম যদি হাতে সময়-সুযোগ থাকে।

হাদীস শরীফে এসেছে-

يَا عَمَّارُ إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ: مِنَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَالْقَيْءِ وَالدَّمِ وَالْمَنِيِّ

আম্মার বিন ইয়াসার রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-নিশ্চয় ৫টি কারণে কাপড় ধৌত করতে হয়, যথা-১-পায়খানা, ২-প্রশ্রাব, ৩-বমি, ৪-রক্ত, ৫-বীর্য। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-৪৫৮}

 

 

পবিত্রকরণ এর দিক দিয়ে নাজাসত দুই প্রকারঃ যথা-

দৃশ্যমান নাজাসত

অদৃশ্যমান নাজাসত

 

দৃশ্যমান নাজাসতের বিধানঃ কাপড়ে প্রথম প্রকার তথা দৃশ্যমান নাজাসত লাগলে সেই নাজাসতকে  দূর করে দিলেই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে এক্ষেত্রে নাজাসত দূর করতে ধৌত করার কোনো পরিমাণ নেই। যতবার ধৌত করলে নাজাসত দূর হবে ততবারই ধৌত করতে হবে। যদি একবার ধৌত করলে তা চলে যায় তবে একবারই ধৌত করতে হবে।

 

অদৃশ্যমান নাজাসতের বিধানঃ কাপড়ে দ্বিতীয় প্রকার তথা অদৃশ্যমান নাজাসত লাগলে, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে তিনবারই নিংড়াতে হতে এবং শেষ বার একটু শক্তভাবে নিংড়ানো হবে যাতে করে পরবর্তীতে আর কোনো পানি বাহির না হয়। (ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া;২/৫৭৪জা'মেউল ফাতাওয়া;৫/১৬৭)

 

নাজাসতকে ১০টি পদ্ধতিতে পবিত্র করা যায় যথা-

১. ধৌত করা,যেমন কাপড় ইত্যাদি।

২. মোছা, যেমন আয়না,তলোয়ার ইত্যাদি।

৩. টুকা দিয়ে নাজাসত দূর করা,যেমন গাড় বীর্য কে টুকা দিয়ে কাপড় থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা,ইত্যাদি।

৪. ঘর্ষণ, মর্দন, যেমন শরীর বিশিষ্ট নাজাসত যাকে ঘর্ষণ-মর্দন করে দূর করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।

৫. শুকিয়ে নাজাসতের আসর দূর হয়ে যাওয়া,যেমন জমিন,গাছ ইত্যাদি শুকিয়ে পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।

৬. জ্বালানো, যেমন গোবর ইত্যাদি জ্বলে ভস্ম হয়ে ছাই হয়, যা পবিত্র।ইত্যাদি।

৭. এক অবস্থা থেকে ভিন্নরূপ ধারণ করে পবিত্র হওয়া। যেমনঃ মদ থেকে সিরকায় পরিণত হওয়া যা কিনা পবিত্র। ইত্যাদি।

৮. দেবাগত,যেমন মানুষ এবং খিনযির ব্যতীত সকল প্রকার প্রাণীর চামড়া কে লবন মাখিয়ে রৌদ্রে রাখলে তা পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।

৯. যবেহ, প্রাণীকে যবেহ করার মাধ্যমে উক্ত প্রাণীর চামড়া পবিত্র হয়ে যায়। যদি এমন প্রাণীও হয় যার গোস্ত ভক্ষণ করা হারাম,তবে তার চামড়াকে পবিত্র করে দেয়,ইত্যাদি।

১০. নরখ,তথা যদি কোনো কূপে নাজসত পড়ে যায় তাহলে উক্ত কূপের মুনাসিব পরিমাণ পানি বাহিরে নিক্ষেপ করলেই উক্ত কোপ পবিত্র হয়ে যায় ইত্যাদি।

এই মোট দশ ভাবে কোনো অপবিত্র জিনিষকে পবিত্র করা যায়।

 

আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/41197/?show=41197#q41197

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিছানার চাদর পাক বলেই ধরে নিবেন। কারণ, চাদর কেচে দিলে সাধারণত তাতে কোনো ধরণের নাপাক থাকার কথা নয়।

২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে তোষকের উপর পবিত্র কিছু বিছিয়ে ঘুমাবেন। তাহলে আর এই ওয়াসওয়াসাটা হবে না। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/26427/

 

৩. আপনার একটু ওয়াসওয়াসা রোগ আছে। তাই উক্ত ফ্লোরে যখন পানি ঢেলে পরিষ্কার করে দিয়েছেন, তো মনে করবেন যে, ফ্লোর এখন পবিত্র। পবিত্র ফ্লোরেই পা দিচ্ছি। নিশ্চিত ভাবে  নাপাকি না দেখা পর্যন্ত ফ্লোর পাক ধরে নিবেন।

 

৪. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার নখ সর্বদা পাক ধরে নিবন। কারণ, নখের মধ্যে কাপড় কাচার সময় হালকা নাপাকি গেলেও পরিষ্কার পানিতে আবার কাপড় ধৌত করার সময় ঐ নাপাকি বের হয়ে যায়। আবার হাত ধৌত করা, ওযু করার সময়ও বের হয়ে যায়।

৫.হ্যাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিছানার উপরে গুছানো কাপড়গুলো পবিত্র হিসেবে ধরে নিবেন। কারণ, বিছানার চাদর তো পবিত্র ছিলো।

 

উল্লেখ্য যে, আপনার মনে হয় একটু ওয়াসওয়াসার রোগ আছে। আর ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...