আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
157 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম হুজুর।  একটা বিষয় নিয়ে নিশ্চিত হতে চাই। দয়া করে বিষয়গুলোর সমাধান দিবেন হুজুর। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন ইনশাআল্লাহ।


১। কোন স্বামী একদিন একটি শর্তমূলক কথা বললো, সেদিন সে বলেছে তার কোন নিয়ত ছিল না৷ ফলে আপনিও বলেছেন তা++ হবে না।
তারপর একদিন স্ত্রী যদি জিজ্ঞেস করে ১ম দিন বা জীবনে কোনদিন কোন কেনায়া বাক্য বলার সময়  সে তা++ এর কথা চিন্তা করে বা সত্যি সত্যি ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে বলেছিল কিনা??   স্বামী বিরক্ত হয়ে বলে হ্যাঁ বলেছি,, কারন এই প্রশ্নের উত্তর সে আগেও দিয়েছে।
এইখানে স্ত্রী জিজ্ঞেস করলো যে,  ওইদিন বা জীবনে অন্য কোনদিন,,,,, এইখানে ওইদিন কথাটা স্ত্রী বলে থাকলে কি ১ম দিনের বলা শর্ত স্ত্রীর উপর পরে যেত??
২। তালা++ মিথ্যা স্বীকারোক্তি হয়ে থাকলে কি এইখানে সাথে সাথে ১ তা++ পতিত হবে? নাকি শুধু ১ম দিনের শর্ত আরোপ হবে?? আর শর্তের কারন পাওয়া গেলে তারপর তা** পতিত হবে??

৩। স্ত্রী ভুলে গেছে সে প্রশ্নটা কিভাবে করেছিল,, একবার মনে হয় জিজ্ঞেস করেছিল "" জীবনে কোন দিন কোন কেনায়া বাক্য বলার সময় ছেড়ে যাওয়ার  কথা চিন্তা করে বলেছে কিনা""
আবার মনে হয় জিজ্ঞেস করেছিল "" ওইদিন বা অন্য কোনদিন "" এইভাবে জিজ্ঞেস করেছিল।
এমন সংশয়  হলে সে কি ধরে নিবে? সাথে সাথে তা** পতিত হবার কথা?? নাকি শর্ত আরোপ হবার কথা??

৪। ওইদিন বা জীবনে কোনদিন এইভাবে স্ত্রী  কথাটা বলে থাকলে কি সাথে সাথেও তা++ পতিত হবে আবার ১ম  দিনের শর্তও আরোপ হবে??
সমাধান দেন।

৫। হুজুর কোন মহিলা যদি ভুলে যায় সে তা++ নেওয়ার মত কথা মুখে বলেছিল নাকি মনে মনে। তাহলে কি তার উপর পতিত হবে?? সে শিউর না  ওয়াসওয়াসার কারনে কথাগুলো মনে মনেই বলেছিল নাকি মুখেও বলেছিল।   এমন ও তো হতে পারে সে হয়তো মুখে বলে থাকতে পারে এখন তার মনে নেই,,৷ এমন হলে কি আল্লাহ মাফ করবেন???

 

৬। কোন মহিলা যদি ওয়াসওয়াসার  কারনে দেখতে যায় আগে সে এইভাবে উচ্চারণ করেছিল কিনা,, সে শব্দ করে বলে,,,,""নিজের উপর"""",  এইটুকু বলার পর  সে বলে "" না এইভাবে বলিনি,,না না। """ এইটুকু বলার পর থামে এক সেকেন্ড  এবং   তারপর আবার উচ্চারন করে বলে তা+++,,    এইটা ও সে উচ্চারণ করেছিল দেখার জন্য যে সে আগে এইভাবে শব্দ করে উচ্চারণ করেছিল কিনা।

এখন প্রথমে সে যে "" নিজের উপর "" বললো তারপর আবার বললো,,,,  এইভাবে বলিনি,,, না না এইটুকু বলার পর সে তা*** উচ্চারণ করলো এতে কি তার উপর তা*** পতিত হয়ে যাবে?

৭। প্রথমবার "নিজের উপর" উচ্চারণ করার পর সে বললো যে এইভাবে বলিনি,,, না, না। এইসব বলার পর সে আবার তা++ উচ্চারণ করলো,,, এইখানে তা++ উচ্চারণ করার সময় যদি সে মনে মনে ভাবতো ""নিজের উপর"" বলা কথাটার সাথেই সে তা++ বলেছে তাহলে সমস্যা হয়ে যেত?? বা মনে মনে নিয়ত চলে আসতো তাহলে কি এইভাবে কথা বলায় তা++ হয়ে যেত??

 

৮। কোন স্ত্রী কি এইভাবে বলে তার নিজের উপর তা++ নিতে পারে?? ''''"" নিজের উপর,,,, না না এইভাবে বলিনি,, না বলিনি,,,  তারপর বলে তা***"""  এইসব কথায় তার তা*** নিয়ত থাকলে পতিত হয়ে যেত এইভাবে বললে?

 

,৯।  কোন স্বামী যদি বলে মুক্তি দিয়ে দিবো নে। স্ত্রী জিজ্ঞেস করে কি দিয়ে দিবা?? স্বামী বলে মুক্তি।  তারপর স্বামী বলে  টাকা দিয়ে দিবো নে   অর্থাত যদি বলে কাবিনের টাকা দিয়ে দিবে বউকে৷ তাহলে কি তা** পতিত হয়ে যায়?? 

 

১০। হুজুর ৯ নাম্বার প্রশ্নে স্ত্রী ওয়াসওয়াসায় আছে সে আসলে কি জিজ্ঞেস করেছিল?  তার ৯৯% মনে হয় সে জিজ্ঞেস করেছিল কি দিয়ে দিবা? স্বামী বলেছিল মুক্তি। এখন সে ওয়াসওয়াসায় আছে স্বামীকে সে এইভাবে জিজ্ঞেস করেছিল কিনা""" কি দিয়ে দিয়েছ??""" তারপর স্বামী মুক* বলেছিল কিনা। 

প্রবল ধারণা হয় জিজ্ঞেস কিরেছিল কি দিয়ে দিবা?? মানে বাক্য টা ভবিষ্যৎ বোধক বলা হয়েছিল।  এখন স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে সে রাগ করবে কারন সে আগেই নিষেধ করেছে এইসব জিজ্ঞেস  করতে। সেই স্ত্রী এখন কি করতে পারে?? তার প্রবল বিশ্বাস ভবিষ্যৎ বোধক বাক্য বলা হয়েছিল৷ 

১১। হুজুর, স্বামীকে প্রশ্ন করলে হিতে বিপরীত হতে পারে, কারম সে আগেই সাবধান করেছে আর এমন কিছু জিজ্ঞেস না করতে। বা এইসব বিষয়ে কিছু না বলতে। কারন স্ত্রীর ওয়াসওয়াসায় সে বিরক্ত।  

এখন স্ত্রী যদি এই বিষয়ে স্বামীকে প্রশ্ন না করে তাহলে কি সে গুনাহগার হবে??  কারন স্ত্রীর মনে শুধু শুধুই ওয়াসওয়াসা আসে,, সে ৯৯% শিউওর ভবিষ্যৎ বোধক বাক্য বলা হয়েছিল। তাও সে ভয় পায় নাজানি অন্য ভাবে কথা হয়েছিল কিনা। 

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাকের বিষয় খুবই মারাত্মক। 
তাই এই জাতীয় কোনো বাক্য বলা ঠিক নয়।
,  
হাদীস শরীফে  এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★শরীয়তের বিধান হলো কেহ যদি তালাক না দেওয়া সত্ত্বেও তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে,তাহলেও তালাক পতিত হয়ে যাবে। 

ولو أقر بالطلاق وہو کاذب وقع في القضاء … إذا قال: أردت بہ الخبر عن الماضي کذبا، وإن لم یرد بہ الخبر عن الماضی، أو أراد بہ الکذب، أو الہزل وقع قضاء ودیانۃ۔ (البحر الرائق ۳؍ ۲۴۶ کراچی، سکب الأنہر علی ہامش مجمع الأنہر ۲؍۸ بیروت)
সারমর্মঃ
কেহ যদি তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে, আর সেই স্বীকারোক্তি যদি মিথ্যা হয়,তবুও তালাক পতিত হবে।   
    
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,

(০১)
দিনের কথা নির্দিষ্ট থাকলে সেদিন শর্ত দেয়া থাকলে শর্ত যুক্ত হবে।

(০২)
প্রশ্নের মধ্যে দিনের কথা নির্দিষ্ট থাকলে সেদিন শর্ত দেয়া থাকলে শর্ত যুক্ত হবে।
সেক্ষেত্রে শর্তের কারন পাওয়া গেলে তারপর তালাক পতিত হবে।

(৩.৪)
এক তালাক পতিত হয়েছে ধরে নিয়ে নতুন ভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিবে।

(০৫)
শিউর হতে না পারলে প্রবল ধারনা কোন দিকে,সেটি দেখবে,সেই অনুযায়ী আমল করবে।

প্রবল ধারনা  কোনোদিকেই না হলে সন্দেহ থাকলে তালাক হবেনা।
আল্লাহ মাফ করবেন।

(৬.৭.৮)
এতে তালাক হবেনা।

(০৯)
এতে তালাক হবেনা।

(১০)
তালাক হবেনা।

(১১)
এক্ষেত্রে স্ত্রী তার স্বামীকে আর এ সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...