বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পর্দা করা নামায রোজা ইত্যাদির মত আল্লাহর ফরয বিধান।আল্লাহ তা'য়ালা বলেন।
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻗُﻞ ﻟِّﺄَﺯْﻭَﺍﺟِﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗِﻚَ ﻭَﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳُﺪْﻧِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﻣِﻦ ﺟَﻠَﺎﺑِﻴﺒِﻬِﻦَّ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻥ ﻳُﻌْﺮَﻓْﻦَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫَﻳْﻦَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।(সুরা আহযাবঃ৫৯)
আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমন্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে।(ফাতহুল বারী ৮/৫৪,৭৬,১১৪)
ইবনে সীরিন বলেন, আমি (বিখ্যাত তাবেয়ী) আবীদা (সালমানী রাহ.)কে উক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, কাপড় দ্বারা মাথা ও চেহারা আবৃত করবে এবং এক চোখ খোলা রাখবে।.............বিস্তারিত জানতে দেখুন-
https://www.ifatwa.info/414
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
পর্দার সর্বমোট তিনটি স্থর রয়েছে। প্রথম ও উত্তম স্থর হিসেবে আপনি ঘরেই থাকবেন।সেখানে বসেই ইবাদত বন্দেগী করবেন।বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/572
আপনার জীবিকা নির্বাহের যদি অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকে,তাহলে আপনি ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ ব্যতীত এমন কোনো চাকুরী খুজুন যাতে পর্দাকে সঠিক ভাবে রক্ষা করা যায়।যেমন বিভিন্ন কওমী মহিলা মাদরাসায় জেনারেল বিভাগে চাকুরীর আবেদন করতে পারেন।সেখানে পর্দা রক্ষা করে চলাচল করতে পারবেন।
যদি শতচেষ্টার পরও পর্দা সম্মত কোনো চাকুরীর ব্যবস্থা না হয়,অন্যদিকে জীবিকা নির্বাহ করার মত কোনো রাস্তাও আপনার নিকট না থাকে,তাহলে ইস্তেগফারের সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত আপনি এই চাকুরী করতে পারবেন তথা মুখ খোলা রেখে।
তবে সাবধান!
যখনই জীবিকা নির্বাহ করার পর্দা সম্মত কোনো ব্যবস্থা হয়ে যাবে,তখন আর এরকম চাকুরী জায়েয হবে না।