আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+3 votes
1,140 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম

আমি ফুল পর্দা মেনে চলি,কিন্তু আমার অবস্থা এমন যে চাকরি করা অতাবশ্যক উপায় নেই এছাড়া,এখন আমি শুধু চাকরির

 সময়টুকু মুখ খুলা রেখে যদি চাকরি করি আমার কি গুনাহ হবে?কুরআন কি বলে?

আমি আসলে সঠিক উওর জানতে চাই, মুখ খুলার

কথা বলেছি কারন মুখ খুলা ছাড়া সহযে চাকরি হয় না,কোন পথে যাবো বুঝতেছিনা,এটা কি আল্লাহক

 অসুন্তুষ্টি করে চাকরি করা হবে,মনে খুদ খুদ লাগছে,

যদি উপায় থাকে কষ্ট করে জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
পর্দা করা নামায রোজা ইত্যাদির মত আল্লাহর  ফরয বিধান।আল্লাহ তা'য়ালা বলেন।
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﻗُﻞ ﻟِّﺄَﺯْﻭَﺍﺟِﻚَ ﻭَﺑَﻨَﺎﺗِﻚَ ﻭَﻧِﺴَﺎﺀ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﻳُﺪْﻧِﻴﻦَ ﻋَﻠَﻴْﻬِﻦَّ ﻣِﻦ ﺟَﻠَﺎﺑِﻴﺒِﻬِﻦَّ ﺫَﻟِﻚَ ﺃَﺩْﻧَﻰ ﺃَﻥ ﻳُﻌْﺮَﻓْﻦَ ﻓَﻠَﺎ ﻳُﺆْﺫَﻳْﻦَ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻏَﻔُﻮﺭًﺍ ﺭَّﺣِﻴﻤًﺎ
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।(সুরা আহযাবঃ৫৯)

আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেছেন, আল্লাহ তাআলা মুমিন নারীদেরকে আদেশ করেছেন যখন তারা কোনো প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবে তখন যেন মাথার উপর থেকে ওড়না/চাদর টেনে স্বীয় মুখমন্ডল আবৃত করে। আর (চলাফেরার সুবিধার্থে) শুধু এক চোখ খোলা রাখে।(ফাতহুল বারী ৮/৫৪,৭৬,১১৪)

ইবনে সীরিন বলেন, আমি (বিখ্যাত তাবেয়ী) আবীদা (সালমানী রাহ.)কে উক্ত আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, কাপড় দ্বারা মাথা ও চেহারা আবৃত করবে এবং এক চোখ খোলা রাখবে।.............বিস্তারিত জানতে দেখুন-https://www.ifatwa.info/414


প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
পর্দার সর্বমোট তিনটি স্থর রয়েছে। প্রথম ও উত্তম স্থর হিসেবে আপনি ঘরেই থাকবেন।সেখানে বসেই ইবাদত বন্দেগী করবেন।বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/572

আপনার জীবিকা নির্বাহের যদি অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকে,তাহলে আপনি ফ্রি মিক্সিং পরিবেশ ব্যতীত এমন কোনো চাকুরী খুজুন যাতে পর্দাকে সঠিক ভাবে রক্ষা করা যায়।যেমন বিভিন্ন কওমী মহিলা মাদরাসায় জেনারেল বিভাগে চাকুরীর আবেদন করতে পারেন।সেখানে পর্দা রক্ষা করে চলাচল করতে পারবেন।

যদি শতচেষ্টার পরও পর্দা সম্মত কোনো চাকুরীর ব্যবস্থা না হয়,অন্যদিকে জীবিকা নির্বাহ করার মত কোনো রাস্তাও আপনার নিকট না থাকে,তাহলে ইস্তেগফারের সাথে প্রয়োজন পর্যন্ত আপনি এই চাকুরী করতে পারবেন তথা মুখ খোলা রেখে।
তবে সাবধান! 
যখনই জীবিকা নির্বাহ করার পর্দা সম্মত কোনো ব্যবস্থা হয়ে যাবে,তখন আর এরকম চাকুরী জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
শুকরিয়া, জাযাকাল্লাহ খইর  
বিষয়টি সম্পর্কে আমারও জানা অত্যন্ত জরুরী ছিলো 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...