আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
320 views
in সাওম (Fasting) by (17 points)
আসসালামু আলাইকুম
১/ রোজা অবস্থায় যদি ঢেকুর আসে তাহলে রোজা ভাংবে?

২/ঢেকুরের সাথে যদি মুখে খাবারের স্বাদ চলে আসে তাহলে রোজা ভাংবে?

৩/ঢেকুরের সাথে যদি সামান্য খাবার মুখে চলে আসে আর তা গিলে ফেললে রোজা ভাংবে?অল্প পরিমানে ছিলো মুখ থেকে বের করার সময় হয়নি আসার সাথে সাথেই ভিতরে গিলে ফেলা হয়েছে

৪/ রোজা অবস্থায় কফ গিলে ফেললে রোজা ভাংবে?

৫/গলায় কফ কফ ভাব থাকলেও কি রোজা ভাংবে?যদি সেই কফ বের করতে না পারা যায়?

৬/ যদি এইসব কারনে রোজা ভাংগে তাহলে করনিয় কি তাহলে কি সে খাবার খেতে পারবে নাকি রোজা অবস্থাই থাকবে  এবং রোজা কাজা হবে নাকি কাফফারা আদায় করতে হবে?

৭/মাগরিবের নামাজের সময় লুংগি এবং গেঞ্জি পরে নামাজ পরছিলাম ফরজ নামাজের শেষ রাকাতের প্রথম সেজদার সময় হঠাত আমার লুংগি টা পিছন থেকে অনেক খানি ছিরে যায় সতরের অংশ দেখা যাচ্ছিলো আমার নামাজ কি ভেংগে গেছে?ভেংগে গেলে কি করনিও আমার?
by (17 points)

৭ নং উওরে নামাজ ফাসিদ  হে সেই নামাজ কিভাবে আদায় করবো?নিয়ম টা বললে উপকৃত হতাম

1 Answer

0 votes
by (592,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/15882/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মুখ ভরে বমি হল। তিনি তখন বললেন-

ثلاث لا يفطرن الصائم : القيء، والحجامة، والحلم.

তিন বস্ত্ত রোযাভঙ্গের কারণ নয় : বমি, শিঙ্গা লাগানো ও স্বপ্নদোষ।-সুনানে কুবরা, বাইহাকী ৪/২৬৪

হাদীসে আছে, অনিচ্ছাকৃতভাবে কোনো ব্যক্তির বমি হলে তার রোযা কাযা করতে হবে না।-জামে তিরমিযী ১/১৫৩, হাদীস : ৭২০; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ২/৪১৪

তবে অনিচ্ছাকৃত বমি হওয়ার কারণে রোযা নষ্ট হয়ে গেছে মনে করে রোযা ভেঙ্গে ফেললে কাযা করতে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন,    
শরীয়তের বিধান হলো  মুখে বমি চলে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে গিলে ফেললে রোযা ভেঙ্গে যাবে। যদিও তা পরিমাণে অল্প হয়।-আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪১৫)

আর অনিচ্ছায় গিলে ফেললে রোযার কোনো ক্ষতি হবেনা। 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ঢেকুর রোজার জন্য ক্ষতিকর নয়। তখন যদি কোনো খাদ্য বা পানীয় বের হয়, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে। পুনরায় ইচ্ছাকারী  গিলে ফেললে রোজা ভেঙ্গে যাবে। আর যদি মুখ ভরে বমি হয়, তাতেও রোজা ভেঙ্গে যায়। 

(০১)
এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

(০২)
 প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তবে সেটি ফেলে দেয়ার শক্তি থাকার পরেও ইচ্ছাকৃতভাবে সেটি গিলে ফেলা যাবেনা।

(০৩)
এটি যেহেতু গলার মধ্যেই ছিলো,আর সেটি বের করে ফেলে দেওয়ার তেমন শক্তি থাকেনা।
তাই এই ছুরতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

(০৪)
না,এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

(০৫)
এতে রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।

(০৬)
রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
তাই কাজা কাফফারাও কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই।

তবে এই ছুরত গুলোতে রোযা ভেঙ্গে গিয়েছে ধরে নিয়ে কেহ যদি পানাহার করে,তাহলে সেটির কাজা আদায় করতে হবে।

(০৭)
এখানে সেই অঙ্গের এক চতুর্থাংশ অংশ বাহিরে প্রকাশ পেলে এবং তিন তাসবিহ পড়া সমপরিমাণ সময় এভাবেই খোলা থাকলে  নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
নতুবা নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।  

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 185 views
0 votes
1 answer 224 views
0 votes
1 answer 356 views
0 votes
1 answer 351 views
...