আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
268 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (50 points)
১. নগদ টাকার ক্ষেত্রে নিসাব এরজন্য রূপার সাড়ে বায়ান্ন তোলার সমপরিমাণ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাজারে অনেক রকম রূপার রয়েছে। কারো কাছে যদি কোন সোনা, রূপা না থাকে শুধু নগদ টাকা, তখন কত ক্যারেট রূপার মূল্য নিসাব ধরবে?

২. আমার ব্যাংক এক্যাউন্ট এ কিছু টাকা আছে। কিন্তু সে অর্থের মালিক আমি না, আমি চাইলেই টাকা যখন ইচ্ছা তখন খরচ করতে পারব না, মা নিয়ন্ত্রণ করে টাকাটা। এই টাকায় যাকাত কি আমার আসবে না মার? আমি ইনকাম করিনি টাকাটা।

৩. ঘরে দেখা যায় বিভিন্ন জায়গায় ১০-৫-২  টাকা অনেক পড়ে থাকে, এগুলো আসলে কে ইনকাম করেছে বলা যাবে না নিশ্চিত ভাবে। এক্ষেত্রে এই টাকা যাকাতের সময় কার মালিকানায় কিভাবে হিসাব হবে?

৪. যাকাতের জন্য দৈনন্দিন ব্যয় বাদ দিয়ে হিসাব করতে হয়, এই ব্যয় কিভাবে কখন বাদ দিয়ে হিসাব করব।

৫. বাড়িওয়ালা ঘর ভাড়া দিয়ে যে টাকা পান তার উপর যাকাত আসবে কিনা?

৬. ব্যবহারিক গয়নার উপর যাকাত আসবে? দলিলসহ আলোচনা করলে ভালো হয়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম


(০১)
বিজ্ঞজনদের বিশ্লেষণ মতে স্বর্ণ,রুপার  ক্যারেটের ক্ষেত্রে যেটি সর্বোচ্চ,সেটিই নিখাদ।
এর চেয়ে কম ক্যারেট গুলোতে খাদ থাকে।
সুতরাং  বাজারে ২৪ ক্যারেটের রুপা পাওয়া গেলে সেটির মুল্য ধরবে।
পাওয়া না গেলে ২২ ক্যারেট রূপার মূল্য নিসাব ধরবে।
তবে এতে নেসাব পরিমান না পৌছলে গরিবের উপকার হওয়ার স্বার্থে ১৮ ক্যারেট রূপার মূল্য নিসাব ধরলে যদি নেসাব পূর্ণ হয়,তাহলে সেটি ধরাই উচিত হবে। 

(০২)
এ অর্থের যে মালিক,তার উপরেই যাকাত আসবে।

(০৩)
প্রবল ধারনার উপর ভিত্তি করে কাহারো মালিকানায় দিতে হবে।
নতুবা সকলেই সন্তুষ্টি চিত্তে দাবী ছেড়ে দিয়ে কাউকে মালিক হিসেবে ধরবে।

(০৪)
যেদিন বছর পূর্ণ হনে,সেদিন আপনি দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে যাকাতের হিসেব করবেন।

(০৫)
ঘর ভাড়া যদি নেসাব পরিমান পৌছে,বা সেই ব্যাক্তি যদি নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক হয়ে থাকে,তাহলে তার উপর যাকাত আসবে।     


(০৬)
ব্যবহারিক গহনা নেসাব পরিমান হলে তার উপর যাকাত আসবে।
যাকাত আদায় না করলে কঠিন শাস্তি পেতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
عن عمرو بن شعيب عن أبيه عن جده أن امرأة أتت رسول الله صلى الله عليه و سلم ومعها ابنة لها وفي يد ابنتها مسكتان غليظتان من ذهب فقال لها ” أتعطين زكاة هذا ؟ ” قالت لا قال ” أيسرك أن يسورك الله بهما يوم القيامة سوارين من نار ؟ ” قال فخلعتهما فألقتهما إلى النبي صلى الله عليه و سلم وقالت هما لله عزوجل ولرسوله

অনুবাদ- আমর বিন শুয়াইব থেকে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিন [দাদা] বলেনঃ এক মহিলা তার কন্যাসহ রাসূল সাঃ এর খিদমতে উপস্থিত হন। তার কন্যার হাতে মোটা দুই গাছি স্বর্ণের চুড়ি [কাঁকন] ছিল। তিনি [রাসূল সাঃ] তাকে বললেনঃ তোমরা কি এটার যাকাত আদায় কর? মহিলা বলেনঃ না। রাসূল সাঃ বলেনঃ তুমি পছন্দ কর যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা এর পরিবর্তে তোমাকে এক জোড়া আগুনের কাঁকন পরিধান করান? রাবী বলেনঃ একথা শুনে মেয়েটি তার হাত থেকে তা খুলে নবী করীম সাঃ এর সামনে রেখে দিয়ে বললঃ এ দু’টি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৬৩, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৭৭৯৯, সুনানুল কুবরা লিননাসায়ী, হাদীস নং-২২৫৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২০০৫}

عن عبد الله بن شداد بن الهاد أنه قال دخلنا على عائشة زوج النبي صلى الله عليه و سلم فقالت ” دخل علي رسول الله صلى الله عليه و سلم فرأى في يدي فتخات ( خواتيم كبار ) من ورق فقال ” ما هذا يا عائشة ” ؟ فقلت صنعتهن أتزين لك يارسول الله قال ” أتؤدين زكاتهن ؟ ” قلت لا أو ماشاء الله قال ” هو حسبك من النار “

হযরত আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ ইবনুল হাদ থেকে বর্ণিত। তিন বলেন, আমরা রাসূল সাঃ এর স্ত্রী হযরত আয়শা রাঃ এর খেদমতে উপস্থিত হই। তখন তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ আমার নিকট উপস্থিত হয়ে আমার তাতে রূপার বড় বড় আংটি দেখতে পান। তিনি বলেন, হে আয়শা! এটা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উদ্দেশ্যে রূপচর্চা করার জন্য তা বানিয়েছি। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি এর যাকাত পরিশোধ করে থাক? আমি বললাম, না অথবা আল্লাহ পাকে যা ইচ্ছে ছিল। রাসূল সাঃ বললেনঃ তোমাকে দোযখে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১৫৬৫, সুনানে সুগরা লিলবায়হাকী, হাদীস নং-১২৩৩, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৭৩৩৮, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৯৭৪, মুস্তাদরাকে হাকেম, হাদীস নং-১৪৩৭}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (50 points)
হজরত, বছর শেষে কি সারা বছরের খাওয়ার, কাপড়, চিকিৎসা, বাসা ভাড়া, পড়াশুনা ইত্যাদি খরচ একসাথে যোগ করে তারপর মোট সম্পদের সাথে বিয়োগ করলেই হবে?
by (565,890 points)
বছর শেষের দিনের দৈনন্দিন খরচ বাদ দিবেন। পরবর্তী দিন গুলোর খরচ বাদ দেয়া যাবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...