ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
মারা যাওয়ার পর মাইয়্যতের চেহারা কালো বা পরিবর্তন হয়ে যাওয়াত উদ্দেশ্য এটি কোনোভাবেই নয় যে তার শেষ পরিনাম খারাপ হয়েছে।
অথবা সেই ব্যাক্তি ভালো ছিলোনা।
কেননা অধিকাংশ সময়েই এই বিষয়টি শারিরীক সুস্থতার কারনেই হয়,যেমনে রক্তে অক্সিজেন এর কমতি,অথবা কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় রক্ত জমা হয়ে যাওয়া,কলিজায় কোনো ত্রুটি চলে আসা,অথবা অন্য কোনো শারিরীক কারনেও হতে পারে।
তার চেহারা কালো হওয়া বা পরিবর্তন হওয়াকে শরীয়তের কোথাও এটিকে খারাও মৃত্যু বলে অবহিত করা হয়নি।
قال المواق المالكي في "التاج والإكليل" (3/ 25):
" نَقَلَ ابْنُ الْعَرَبِيِّ : إنَّمَا أُمِرَ بِتَغْطِيَةِ وَجْهِ الْمَيِّتِ لِأَنَّهُ رُبَّمَا يَتَغَيَّرُ تَغَيُّرًا وَحْشِيًّا مِنْ الْمَرَضِ ، فَيَظُنُّ مَنْ لَا مَعْرِفَةَ لَهُ مَا لَا يَجُوزُ " انتهى .
সারমর্মঃ
আমাদেরকে আদেশ করা হয়েছে মাইয়্যিতের চেহারা ঢেকে দেওয়ার।
কেননা কখনো অসুস্থতার কারনে কঠিন পরিবর্তন দেখা যেতে পারে,তখন মানুষের অন্য শরীয়ত নিষিদ্ধ কোনো ধারনা আসতে পারে।
وقال الشيخ ابن عثيمين رحمه الله : " فقد يرى ـ والعياذ بالله ـ وجهه مظلماً متغيراً كثيراً عن حياته ، فلا يجوز أن يتحدث إلى الناس ، ويقول : إني رأيت وجهه مظلماً ؛ لأنه إذا قال ذلك ظن الناس به سوءا " انتهى من "الشرح الممتع" (5/298).
সারমর্মঃ
কেহ যদি কোনো পরিবর্তিত মাইয়্যিতের চেহারা দেখে,তাহলে এটি মানুষের কাছে বলা ঠিক নয়,কেননা এতে মাইয়্যিতের প্রতি মানুষের ধারনা মন্দ হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নেককার বান্দা বান্দী মারা যাওয়ার পর চেহারা আলোকিত হলে/ফর্সা হলে,হাসসাজ্জল হলে অনেক বুযুর্গানে দ্বীন বলেছেন যে এটি তার অনেক ভালো বিষয়।
মৃত ব্যাক্তি নেককার না হলে এটিকে ভালো আলামত বলা যায়না।
কেননা অনেক কাফের মারা যাওয়ার পরেও তাদের চেহারা সুন্দর দেখা যায়।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার নানী নেককার হয়ে থাকলে এটি আপনার নানীর জন্য ভালো আলামত।
আলহামদুলিল্লাহ।