আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
82 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
closed by
১/আমাদের দেশে অনেক পন্যের গায়ে আরবিতে হালাল লিখা ও অন্যন্য লিখা সেই খালি পেকেট কি যেখানে সেখানে ফেলা যাবে।
২/আরবি লিখা পন্যের খালি পেকেট পানি ফেলাইতে গিয়ে নাপাক যায়গায় পরে না উঠিয়ে ইচ্ছাকৃত  চলে আসি তাহলে কি কুফরি কাজ হবে?তবে অসম্মান করে না

★পরে যখন উঠাইতে যামু একজনকে দেখে চলে আসি ভাবি যে সে কি ভাববে এই চিন্তা করা কি শিরক হইছে।

★পরে পানি ফেলার পর সন্দেহ হল পানি মনে হয় নাপাক  তারপরেও ইচ্ছাকৃত চলে আসি তাহলে কি কুফরি কাজ হবে

৩/অন্য মানুষের বাচ্চারা  অনেক বেয়াদবি করে  গায়ে হাত  তোলে জোরে বেশি বেশি   তাদের কে বুঝাইলে কাজ হয় না দমক দিলে ও তাদের গার্ডিয়ান বিচার দিলে তারা তাদেরকে মারলে  কাজ হয় না পরে আবার যেই সেই তাদের কে আমি  মারলে কাজ হয়।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে তাদের কে চোখ রাঙানি ও মাইর দেওয়া যাবে কি যাতে গায়ে হাত না তোলে

৪/রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, যে আমাদের বড়দের সম্মান করে না, ছোটদের স্নেহ করে না, আলেমদের মর্যাদা বুঝে না, সে আমাদের দলভূক্ত নয় ৷

সহীহুল জামে; হাদীস নং ৫৪৪৩

★এই হাদিসের ব্যাখা কি?

★যদি একটা বাচ্চা আমাকে মারতাছে এই হাদিস মনে থাকা সত্ত্বেও তাকে মারতে যাই তাহলে কি কুফরি হবে হাদিস কে অপমান করার নিয়তে না মাইরের প্রতিশোধ নিতে। বড় দুষ্ট বাচ্চা আগে অনেকবার বুঝাইছি দমক দিছি কাজ হয়না?

★ঐ বাচ্চাকে কেউ মারলে আমি আনন্দ পাই তাহলে কি আমার গুনাহ হবে?

৫/আগে আমি খারাপ ছিলাম তখন নেসা করতাম  আমাকে ছোট বড় সবাই ভয় পেত কেউ অপমান করত না। যদি করত তাহলে তাদের গায়ে হাত তোলতাম  ।অতিরিক্ত নেসার কারনে পাগলের মতো কিছু আচরণ করি তারপর রিহাবে দেওয়া হয় তারপর রিহাব থেকে বের হয়ে আল্লাহর পথে চলার চেষ্টা করি  চুপচাপ থাকি সেই কারনে অনেকে আমার সাথে প্রতিনিয়ত মজা করে ও অপমান করে  যা আমার জন্য অনেক কষ্টদায়ক

★তারা যদি বড় হয় বুঝাইলে যদি কাজ না করে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে কি
★যদি ছোট হয় তাদের কে বুঝানো ও দমক দিলে কাজ না তাদের কে কি মারা যাবে

★আগে মসকারা করায় ছোটদের মধ্যে দুই একজনকে মারায় তারা আমার সাথে আর মসকরা ও অপমান করে না তাহলে কি এই পদ্ধতি গ্রহন করা যাবে?

★যারা আমার সাথে অপমান ও মসকারা করে তাদের সাথে অপমান ও মসকারা করে কথা বলা যাবে কি না?

★তাদের মধ্যে কেউ মসকারা করে মোটামুটি জোরে থাপ্পড় দেয় তার চেয়ে জোরে কসিয়ে থাপ্পড় দেওয়া যাবে কি?

★জনসম্মুখে এক দুইজনকে মাইর দিলে আমার ধারনা বাকি লোকজন ঠিক হয়ে যাবে তাহলে কি মাইর দেওয়া যাবে?

৬/নবী সঃএর গুণ বাচক আল আমিন তবে অন্য মানুষের নামে কোম্পানির নাম আল আমিন।সেই কোম্পানির  এর নাম আল আমিন  নিয়ে টয়লেটে গিয়ে দেখার পর ইচ্ছা করে বের না  হয়ে টয়লেটের জানালা দিয়ে ফেলে দিলে অসম্মান না করলে কি ইমানের কোন ক্ষতি হবে?

★ফাতিমা রাঃ ও অন্যন্য নবী রসুল আঃ সাহাবি রাঃ উনাদের নামে অন্য কোনো মানুষের নাম রাখা হয় সেই অন্য মানুষের নাম খাতায় বা বিভিন্ন পন্যের পেকেটে থাকে সেই নাম গুলি যেখানে সেখানে ফেলা যাবে কি না
৭/অনাকাঙ্ক্ষিত কোন কিছু ঘটলে আল্লাহ পাক কে উদ্দেশ্য না করে অনিচ্ছায়  এমনিতেই রিয়েক্ট করলে যেমন দুততুররে  খালি আমার সাথে এরকম হয়। কি ধরনের   গুনাহ হবে। ইমানের কি ক্ষতি হবে?

৮/যদি কাপড়ে প্রসাব লাগে তিন বার পানি দিয়ে দুয়ে তিন বার চিপতে হয় শেষ বার একটু শক্ত করে চিপতে হয় যাতে পানি বের না হয়।বেশি শক্ত করে চিপতে গিয়ে আমার হাত ছিলে গেছে তারপরও পানি বের হয়। যদি কাপড় দোয়ে চিপার পর একটু পানি থাকে তাহলে কি সেই কাপড় নাপাক।

৯/রমজান মাসে কি খারাপ জিন রা বন্দী থাকে?

১০/সহবাসের পর অযু করে ঘুমানো কি সুন্নাহ।
closed

1 Answer

0 votes
by (685,200 points)
selected by
 
Best answer
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হ্যাঁ ফেলা যাবে।
কেননা সেখানে আল্লাহ, রাসুল সাঃ এর নাম , কুরআনের আয়াত লেখা থাকেনা।

(০২)
এতে কুফরী হবেনা।

(০৩)
তাদেরকে মার দেয়া যাবেনা।
আপনি চোখ রাঙ্গাতে পারেন।
আপনি এহেন অবস্থায় তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

(০৪)
 হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيَعْرِفْ شَرَفَ كَبِيرِنَا "

আবূ বাকর মুহাম্মদ ইবনু আব্বাস (রহঃ) ... আমর ইবনু শুআয়ব তার পিতা তার পিতামহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে ব্যক্তি আমাদের নয় যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের মর্যাদার জ্ঞান রাখে না। সহীহ, তা'লীকুর রাগীব ১/১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

মুহাম্মদ ইবনু মারযূক বাসরী (রহঃ) ... যারবী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলতে শুনেছি যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসার উদ্দেশ্যে এক বৃদ্ধ এল। কিন্তু উপস্থিত লোকজন তাকে পথ করে দিতে দেরী করে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের দয়া করে না আর বড়দের শ্রদ্ধা করে না সে আমাদের নয়। সহীহ, সহীহাহ ২১৯৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ‘ঈসা তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। কোন কোন ‘আলিম বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (لَيْسَ مِنَّا) অর্থ আমাদের শিষ্টাচারের মধ্যে নয়। ‘আলী ইবনুল মাদীনী বলেছেনঃ ইয়াহইয়া ইবনু সা‘ঈদ বলেন, সুফ্ইয়ান সাওরী উক্ত ব্যাখ্যাকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে নয়’ অর্থ আমাদের ধর্মের নয়। অর্থাৎ যদি কেউ ছোটদের স্নেহ না করে, বড়দের শ্রদ্ধা না করে তাহলে সে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরাই আমাদের ঈমানের পরিচয়। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯২০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে ছোটদের স্নেহ না করলে,বড়দের শ্রদ্ধা না করলে সে পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল থাকবেনা।
অপূর্ণতা চলে আসা উদ্দেশ্য। 
একেবারেই সে কাফের হয়ে যাবে,এটি উদ্দেশ্য নয়।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনি চোখ রাঙ্গাতে পারেন।
আপনি এহেন অবস্থায় তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

তাদের অভিভাবককে বিচার দিবেন।

(০৫)
আপনি এগুলোর কিছুই করবেননা।
তাদের থেকে দূরে থাকবেন। 

(০৬)
হ্যাঁ এগুলো এভাবে ফেলে দেয়া যাবে।
এতে নবী সাঃ  বা ফাতেমা রাঃ এর অসম্মানী হবেনা।  

(০৭)
এতে ঈমানের ক্ষতি হবেনা।

তবে আল্লাহর শানে বেয়াদবি মূলক বাক্য বলে থাকলে তওবা করতে হবে।

(০৮)
ভালো ভাবে নিংড়ানোর পরেও অল্প পানি বের হলে সেই কাপড় পাক থাকবে।

(০৯)
শয়তান বন্ধ থাকে।
জীন নয়।

(১০)
হ্যাঁ সুন্নাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...