বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হ্যাঁ ফেলা যাবে।
কেননা সেখানে আল্লাহ, রাসুল সাঃ এর নাম , কুরআনের আয়াত লেখা থাকেনা।
(০২)
এতে কুফরী হবেনা।
(০৩)
তাদেরকে মার দেয়া যাবেনা।
আপনি চোখ রাঙ্গাতে পারেন।
আপনি এহেন অবস্থায় তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
(০৪)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ أَبَانَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَرْحَمْ صَغِيرَنَا وَيَعْرِفْ شَرَفَ كَبِيرِنَا "
আবূ বাকর মুহাম্মদ ইবনু আব্বাস (রহঃ) ... আমর ইবনু শুআয়ব তার পিতা তার পিতামহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সে ব্যক্তি আমাদের নয় যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া করে না এবং আমাদের বড়দের মর্যাদার জ্ঞান রাখে না। সহীহ, তা'লীকুর রাগীব ১/১৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
মুহাম্মদ ইবনু মারযূক বাসরী (রহঃ) ... যারবী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু-কে বলতে শুনেছি যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে আসার উদ্দেশ্যে এক বৃদ্ধ এল। কিন্তু উপস্থিত লোকজন তাকে পথ করে দিতে দেরী করে। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের দয়া করে না আর বড়দের শ্রদ্ধা করে না সে আমাদের নয়। সহীহ, সহীহাহ ২১৯৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ‘ঈসা তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। কোন কোন ‘আলিম বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কথা (لَيْسَ مِنَّا) অর্থ আমাদের শিষ্টাচারের মধ্যে নয়। ‘আলী ইবনুল মাদীনী বলেছেনঃ ইয়াহইয়া ইবনু সা‘ঈদ বলেন, সুফ্ইয়ান সাওরী উক্ত ব্যাখ্যাকে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যে নয়’ অর্থ আমাদের ধর্মের নয়। অর্থাৎ যদি কেউ ছোটদের স্নেহ না করে, বড়দের শ্রদ্ধা না করে তাহলে সে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত নয়। সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরাই আমাদের ঈমানের পরিচয়। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৫ম খন্ড, হাঃ ১৯২০)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এখানে ছোটদের স্নেহ না করলে,বড়দের শ্রদ্ধা না করলে সে পরিপূর্ণ ইসলামে দাখিল থাকবেনা।
অপূর্ণতা চলে আসা উদ্দেশ্য।
একেবারেই সে কাফের হয়ে যাবে,এটি উদ্দেশ্য নয়।
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি আপনি চোখ রাঙ্গাতে পারেন।
আপনি এহেন অবস্থায় তাদের থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।
তাদের অভিভাবককে বিচার দিবেন।
(০৫)
আপনি এগুলোর কিছুই করবেননা।
তাদের থেকে দূরে থাকবেন।
(০৬)
হ্যাঁ এগুলো এভাবে ফেলে দেয়া যাবে।
এতে নবী সাঃ বা ফাতেমা রাঃ এর অসম্মানী হবেনা।
(০৭)
এতে ঈমানের ক্ষতি হবেনা।
তবে আল্লাহর শানে বেয়াদবি মূলক বাক্য বলে থাকলে তওবা করতে হবে।
(০৮)
ভালো ভাবে নিংড়ানোর পরেও অল্প পানি বের হলে সেই কাপড় পাক থাকবে।
(০৯)
শয়তান বন্ধ থাকে।
জীন নয়।
(১০)
হ্যাঁ সুন্নাহ।