ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন
করল না, বা
তার জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত
ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত
ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত
করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
তালাক দেওয়ার অধিকার শুধু স্বামীর। হাদীস শরীফে
এসেছে-
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকটে এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তাঁর বাদীকে আমার
সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার আর আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী
বলেন, রসূলুল্লাহ
(সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মিম্বারে
আরোহণ করলেন, অতঃপর
বললেন, হে
লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন করো যে, সে
তার গোলামের সাথে তার বাদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর
তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর
ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের
অধিকার তার। [সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১]
তিন তালাক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://ifatwa.info/12994/?show=12994#q12994
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার স্বামীর নিয়ত ও কথাই
ধর্তব্য হবে। অর্থাৎ তালাক হবে না। তা ছাড়া আপনার স্বামীর কথাটা পরস্পর ঝগড়া বা মনমালিন্যের
সময়ও ছিলো না। শুধু তিন তালাকের ভিডিও দেখার সময় ছিলো এবং আপনার স্বামী জানতে চাচ্ছিলো যে, তিন
তালাকের কোন ভিত্তি আছে কিনা? আর ঐ সময় আপনি তার মুখ চেপে ধরেছেন।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো তালাক পতিত হবে
না। তাই আপনার মনের মধ্যে কোনো ধরণের ওয়াসওয়াসা রাখবেন না এবং আপনার স্বামীকেও আর এ
সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে বিরক্ত করবেন না।